সিসিমপুর- হালুমের গল্প লেখা

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে। খোলা জায়গায় টেবিল-চেয়ার পেতে খাতা-কলম নিয়ে হালুম বাতাস নিয়ে গল্প লিখতে বসেছে। তার মাথায় ক্রিকেট টুপি। তার সামনে বসা দুই ভেড়াবন্ধু মানিক ও রতন।


হালুম বলল, বন্ধুরা বাতাস কী করে তা নিজের চোখে দেখব আর বাতাস নিয়ে একটা বই লিখব।
এমন সময় ঝিরিঝিরি বাতাস বইতে শুরু করল। হালুম লেখা শুরু করল। হালুম লিখল, বাতাস শরীর ঠান্ডা করে। অল্প অল্প বাতাসে গাছের পাতা দোলে। তারে টাঙানো কাপড় দোল খায়।
হালুম ভেড়াবন্ধুদের বলল, বাতাস নিয়ে দারুণ একটা বই হবে, কী বলো?
মানিক বলল, নিশ্চয় নিশ্চয়!
ঠিক তখনই বাতাস একটু জোরে বইতে শুরু করেছে।
রতন বলল, বাতাস জোরে বইছে হালুম।
হালুম বলল, ধন্যবাদ। লিখে ফেলি। হালুম লিখল, বাতাস জোরে হলে গাছের পাতাও জোরে দোল খায়। তারের কাপড়ও জোরে উড়তে থাকে। বাতাস সবকিছুই দোলাতে পারে। যখন বাতাস অনেক জোরে বয় তখনই কিন্তু ঝড় হয়। ঝোড়ো বাতাস অনেক কিছুই উড়িয়ে নিতে পারে।
বাতাস আরও জোরে বইতে শুরু করল। একে একে অনেক কিছুই উড়িয়ে নিতে লাগল।
মানিক ও রতন বলল, উড়ে যাচ্ছে... উড়ে যাচ্ছে...
বাতাসের এই কাণ্ড দেখে হালুম দারুণ খুশি। সে লিখল, ঝোড়ো বাতাস বইছে। গাছটা এখন খুবই জোরে জোরে দোল খাচ্ছে। ঝোড়ো বাতাস খড়কুটো, শুকনো পাতা উড়িয়ে নিতে পারে। ঝোড়ো বাতাস তার থেকে কাপড় উড়িয়ে নিতে পারে।
তখন বাতাস এত জোরে বইতে শুরু করল যে মানিক আর রতনকেও বাতাস উড়িয়ে নিয়ে গেল।
হালুম লিখল, বাতাসের এত শক্তি যে তারা ভেড়াদেরও উড়িয়ে নিতে পারে। বাতাস আমার মাথার টুপি উড়িয়ে নিতে পারে। কলম উড়িয়ে নিতে পারে।
হালুম থেমে যায়। হায় হায়, বাতাস তার কলম উড়িয়ে নিয়ে গেল। সে এখন লিখবে কী করে। ভাবতে ভাবতেই দমকা বাতাস এসে হালুমের হাত থেকে খাতাটাও উড়িয়ে নিয়ে গেল। ধরার চেষ্টা করেও হালুম ধরতে পারল না।
উড়ে যাওয়া খাতার দিকে তাকিয়ে হালুম হেসে বলল, নিশ্চয়ই আমার লেখাটা বাতাসের খুব পছন্দ হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.