এক কোটিতে একটি

এমন ঘটনা এক কোটিতে মেলে একটি। তা সেই তাক লাগানো ঘটনাটা কী? যমজ চার শিশুর জন্ম। চারজনই দেখতে হুবহু এক রকম। নাম রাখা হয়েছে আনাবেল, হান্না, জেসিকা ও হেইডি। তবে ওরা একসঙ্গে থাকলে কার নাম কী, আপনজনেরা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে বোঝা মুশকিল।


২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে জন্ম এই চার যমজ বোনের। বাবা শন ও মা লিসা কেলি। উভয়ই ক্লিভল্যান্ডের বিলিংহামের বাসিন্দা। ক্যামেরন নামের এক ছেলেও আছে তাঁদের। বছর দশেক বয়স।
চার যমজ বোনকে নিয়ে ভালোই দিন কাটছে ভাই ক্যামেরনের। তবে ঝক্কি-ঝামেলা যত যায় মা লিসার ওপর দিয়ে। আগে যখন ছোট ছিল, চার মেয়েকে সামলাতে তেমন বেগ পেতে হতো না। এখন আড়াই বছর হয়ে গেছে। চার বোনই বেজায় দুরন্ত। কাজেই ওদের সামলানো খুব দায়।
মা লিসা কেলি জানান, তাঁর চার মেয়ের ভেতর হেইডি বেশ মাতব্বর। চলনে-বলনে অন্য তিন বোনের চেয়ে প্রভাব বেশি ওর। আর দুষ্টুও বেশি। সবচেয়ে শান্ত আনাবেল। অন্যরা চার বোনকে চট করে আলাদা করতে না পারলেও মা-বাবা অভ্যস্ত চোখে চিনতে পারেন কে কোনজন।
দিনের বেশির ভাগ সময় চার মেয়ের পেছনেই কাটাতে হয় মাকে। সেই ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয় তাঁর কর্মব্যস্ততা। শন ও ক্যামেরনও তাঁকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে। এক হিসুর ধকল কাটাতেই যায় বেশ খানিকটা সময়। প্রতিদিন গড়ে ২০টা করে প্যান্ট বদলাতে হয়। টিস্যু পেপার যায় পুরো এক রোল। চার মেয়ের পেছনে প্রায় দুই লিটার করে দুধ লাগে। আলু লাগে কেজি খানেক। এভাবে দোকানে চারজনের পেছনে প্রতি সপ্তাহে দিতে হয় গড়ে ২০০ পাউন্ড করে। আর যদি দোকানে পোশাকসহ বিভিন্ন কেনাকাটা করতে হয়, সেখানেও গুনতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ।
ঝামেলা হয় পার্কে বেড়াতে গেলে। একজন এদিকে যায় তো আরেকজন ওদিকে ছোটে। এ সময় ওদের সামলাতে গিয়ে মায়ের বেশ খানিকটা ব্যায়াম হয়ে যায়। পার্কে বেড়াতে যাওয়া লোকজন অবাক চোখে দেখে একই পোশাক পরা এক রকমের ফুটফুটে চার শিশুকে। তবে কষ্ট যা-ই হোক, প্রতিদিন রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর মা-বাবা যখন ওদের মুখের দিকে তাকান, মনটা অনাবিল শান্তিতে ভরে ওঠে তখন। নিষ্পাপ দেবশিশুর মতো লাগে ওদের।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: ডেইলি মেইলসহ অন্যান্য ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.