রমজানে আওয়ামী লীগ-ইফতার আর আগস্টের কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ দল by জাহাঙ্গীর আলম

আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোর কাউন্সিল দ্রুত সম্পন্ন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও রোজার মাসে এসব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থাকছে না। দলীয় সূত্র জানায়, রোজার মাসজুড়ে ইফতার মাহফিল এবং আগস্ট মাসের বিভিন্ন দিবসভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি।


এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের পাশাপাশি শোকের মাস আগস্টে মাসব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী, ১৭ আগস্ট সারা দেশের ৬৪ জেলায় জঙ্গিদের একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন। এসব দিবস পালনে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আলাদাভাবে প্রত্যেক দিন আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও সংগঠনের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হবে। ১ আগস্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হবে। তাতে নিজ দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ছাড়াও ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাশাপাশি বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দাওয়াত দেওয়া হবে। তবে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানোর সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সোমবার বিচারপতি, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হয়। আগামী ৩ আগস্ট পেশাজীবী অর্থাৎ সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া দলীয়ভাবে রাজধানী ঢাকায় ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। বাধ্যতামূলক না হলেও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইফতারের আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হচ্ছে। এ কমিটির তিন বছর মেয়াদে ৭২টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির মধ্যে একটিরও কাউন্সিল হয়নি। যদিও সবগুলো কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। ৪৬৫টি উপজেলা কমিটির মধ্যে মাত্র চারটির কাউন্সিল হয়েছে। সংগঠনের এ রকম পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক রাজনীতি চাঙা করার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা ও উপজেলা কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তৃণমূলের কাউন্সিল শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রোজা ও আগস্ট মাস একসঙ্গে হওয়ায় এ সময়ে সাংগঠনিক রাজনীতি বাদ দিয়ে দিবসভিত্তিক কর্মসূচি ও ইফতার-রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে দলটি।

No comments

Powered by Blogger.