হুমায়ূন আহমেদ ও মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব

কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ ও স্থপতি মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে মন্ত্রিসভার সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করেন।


নয় মাস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার পর গত ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। সোমবার সকালে তার মরদেহ দেশে পৌঁছান। এর আগে গত ১৪ জুলাই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, যাঁকে বাংলাদেশে স্থাপত্যকলার ‘আধুনিক রূপকার’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২০১২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা এটি উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত জুন পর্যন্ত ১৫৬টি মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৫০টি, ২০১০ সালে ৪৫টি, ২০১১ সালে ৩৯টি এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২২টি মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মন্ত্রিসভাগুলোতে বিভিন্ন বিষয় সর্বমোট ৭৯৫টি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
এ আমলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের হার ৯২ শতাংশ। মোট সিদ্ধান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৫৫টি। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৯৭৪টি। এর মধ্যে ২০০৯ সালে গৃহীত ৩১৬টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩১১টি সিদ্ধান্ত। ২০১০ সালে গৃহীত ৩১১টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৯৯টি। ২০১১ সালের গৃহীত ২৭৪টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪৫টি এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত গৃহীত ১৫৪টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ১১৯টি সিদ্ধান্ত। মোট ৯২ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ায় মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় জানানো হয়, বিগত সরকারের আমলে ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৬০ শতাংশ সিদ্ধান্ত Ÿাস্তবায়ন করা হয়। এ সময়ে তারা মোট ১৫০টি মন্ত্রিসভা বৈঠক করে। এর মধ্যে ৫৪৪টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৩৯৫টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়।

No comments

Powered by Blogger.