চালচিত্র-চান্‌নি পসর রাইতের মানুষ ও দেশ গড়ার যুদ্ধ by শুভ রহমান

চান্‌নি পসর রাইতের মানুষটা চলে গেলেন অমাবস্যার আন্ধার না ঘুচতেই। অমর কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের জন্য গোটা জাতি কেঁদে বুক ভাসাল। শোক আর ভালোবাসার ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশ। যে মুহূর্তে দেশ গড়ার নতুন এক যুদ্ধ শুরু করেছে এ দেশ, সে মুহূর্তে তাঁকে হারাতে হলো তার সবচেয়ে প্রিয় একজন সৃজনশীল দেশ, মানুষ ও জীবনের রূপকারকে।


সবচেয়ে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে মানুষ শোকবিহ্বল হয়ে পড়ে, হয়ে পড়ে শক্তিহীন, সব কাজ তার এলোমেলো হয়ে যায়, কোনো কাজেই মন বসে না- এমন একটি হাহাকারভরা মহাশূন্যতার সময়ও সব ক্ষতি, সব শোককে জাতি শক্তিতেই পরিণত করবে- তাদের নন্দিত জীবনশিল্পীর সৃষ্টির নির্যাসই হবে তাদের প্রেরণা। অবিনশ্বর জীবনশিল্পী শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হুমায়ূন আহমেদ তো তাঁর সমগ্র সাহিত্যকর্ম দিয়ে, তাঁর চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস দিয়ে মূলত একটি রাজাকারমুক্ত, স্বপ্নময়, সুখী-সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের অকাল মৃত্যুর পেছনে যে চিকিৎসকের একটা ভুলও কাজ করেছে, এ বেদনাদায়ক সত্যটিকে দেশবাসী কখনো বিস্মৃত হবে না। তাদের প্রেরণাকে তো অকালেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এখন যে দেশবাসী নিজেদের অর্থায়নেই একটি স্বপ্নের সেতু গড়ার যুদ্ধের সূচনা করছে, এর মাধ্যমে বস্তুত তারা সেই একই চেতনা থেকে অমর জীবনশিল্পীর আরব্ধ কাজটিকেই এগিয়ে নিতে চাইছে। তাঁর অকালপ্রয়াণে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আরব্ধ কাজটিকে এগিয়ে নেওয়ার আরো তীব্র এক তাগিদ অনুভব করবে এ জাতি। বেঁচে থাকলে হুমায়ূন আহমেদের জাদুকরী কলম একবিংশ শতাব্দীর মানুষের নতুন এই দেশ গড়ার সংগ্রামকে শৈল্পিকভাবে রূপায়িত করে অমর করে রাখতে পারত।
নতুন দেশ ও সমাজ গড়ার কাজটি যাঁরা করেন, তাঁরা বস্তুত জীবনের সেতুই গড়ে তোলেন। তাঁদের অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখার জন্যই তাই উত্তর-প্রজন্ম তাঁদের নামে সেতুর নামকরণ করে থাকে। এভাবে এ দেশে বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুর সৃষ্টি। পাশের দেশ পশ্চিম বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যাসাগর সেতু। নিজ অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু গড়ার চিন্তায় আলোড়িত জাতি এ সময় হারানো হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিকে অক্ষয় রাখতেও প্রস্তাবিত সেতুর নাম হুমায়ূন আহমেদ পদ্মা বহুমুখী সেতু রেখে এই কৃতী সাহিত্যিকের প্রতি তাদের গভীরতম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটাতে পারে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু যে নিজেদের অর্থায়নেই হতে হবে, জাতির সচেতন বিবেক-বুদ্ধি ক্রমেই সে দৃঢ়সংকল্পের অবস্থানে এসে দাঁড়াচ্ছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থনীতিবিদই এখন নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু গড়ার পক্ষে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সর্বশেষ আলোচনা সভায়ও সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটেছে।
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংক তার ঋণচুক্তি বাতিল করে দেওয়ার পরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহাজোট সরকার যে দোদুল্যমানতা দেখিয়ে চলেছে, নিজেদের অর্থায়নের চিন্তাটিকে একেবারে চতুর্থ বা শেষ বিকল্প হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাংকের পুনর্বিবেচনার জন্যই তৎপর রয়েছে- সেটি সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই স্বাক্ষর হয়ে থাকছে।
উল্লিখিত চারটি বিকল্প হচ্ছে-
প্রথম বিকল্প : বিশ্বব্যাংক পরিচালিত ২৩০ কোটি ডলারের ঋণ চারটি উন্নয়ন সহযোগীর তথা বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবির কাছ থেকে পাওয়ার বন্দোবস্ত পুনরুজ্জীবিত করা। গত ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তাদের প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করে দিলে ওই বন্দোবস্ত নাকচ হয়ে যায়। সরকার জাইকা সভাপতি আকিহিকো তানাকাকে ওই বন্দোবস্ত পুনরুজ্জীবনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছে। জাইকা সভাপতি ওয়াশিংটনে গিয়ে ২৩ জুলাই, ২০১২ তারিখে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দোবস্তটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করবেন বলে সরকারকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্যটি দিয়ে এটাও জানিয়েছেন, জাইকা সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তাঁকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন; কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে জাইকা সভাপতি কী বলেছেন, তা তিনি সরাসরি না বলে বলেছেন, আপনারা বুঝতেই পারেন। তবে সরকার যে চাইছে, বিশ্বব্যাংক ঋণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক, এটা তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায়ই বলেন। লক্ষণীয়, বিশ্বব্যাংক যাতে পুনর্বিবেচনা করে সে জন্য তাদের প্রতি চূড়ান্ত নমনীয়তা প্রদর্শন করা হচ্ছে, এমনকি তাদের শর্ত মোতাবেক কথিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে দেওয়াসহ চারটি শর্তই মেনে নেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বিকল্প : আরেকটি বিকল্প হচ্ছে নতুন একটি কনসোর্টিয়াম করা, যেখানে জাইকা, এডিবি আর আইডিবি থাকবে। ইতিমধ্যে ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ জেদ্দায় গিয়ে আইডিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাঁরা কথা দিয়েছেন, আইডিবি তাদের আর্থিক অঙ্গীকার বহাল রাখবে। অর্থমন্ত্রী মুহিত জানিয়েছেন, সরকার আইডিবির সঙ্গে কথা শেষ করেছে, শুধু বাকি আছে এডিবি ও জাইকার সঙ্গে আলোচনা। মুহিত আরো জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক যদি শেষ পর্যন্ত পুনর্বিবেচনা না করে, তাহলে সরকার অপর তিন উন্নয়ন সহযোগীকে তাদের আর্থিক অঙ্গীকার বহাল রাখতে বলবে। অর্থমন্ত্রী এটাও বলেছেন, বিশ্বব্যাংক শেষ পর্যন্ত একেবারেই হাত গুটিয়ে নিলে, এডিবি রাজি থাকলে এডিবিই হবে তখন প্রধান দাতা সংস্থা (লিড ডোনার)।
তৃতীয় বিকল্প : সরকার নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করতে পারে। তখন যারা সফল 'বিডার' হবে, তখন তারা প্রকল্পের একটি অংশের অর্থায়ন করবে। একটি চীনা কম্পানি এই বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া এর আগে মালয়েশিয়ার ঋণ প্রস্তাবটিও বেশ কিছুদূর এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান ডোনাররা যদি সবাই পিছিয়ে যায় সরকার বিকল্প উৎসের সন্ধান করবে। সেক্ষেত্রে সরকার ২৩০ কোটি ডলার ঋণ নাও পেতে পারে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
তৃতীয় বিকল্প হিসেবে পিপিপির (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের) চিন্তাটিও রয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, দেশের ধনিক শ্রেণী তথা সম্ভাবনাপূর্ণ জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীকেও এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকারী হিসেবে পাওয়া যাবে।
চতুর্থ বিকল্প : সব কয়টি বিকল্পে কাজ না হলে সরকার পুরোপুরি নিজেদের তথা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প গড়তে পারে। এ কথার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী যোগ করেন, সে ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা না পাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশেষজ্ঞমহল অবশ্য তাঁর সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেন এবং নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সই এ ব্যাপারে যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ শুরু করলে প্রথম অর্থবছরে লাগবে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে বাজেট বরাদ্দ আছে ৮০০ কোটি টাকা। বাকি ৫০০ কোটি টাকা বাজেট সংশোধনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য জানান, দাতাদের আস্থা ফিরে আসছে।
বস্তুত পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য সরকারের অন্য সব উৎসকে প্রাধান্য দেওয়া ও নিজেদের অর্থায়নের ব্যাপারটিকে কোনোভাবে উপেক্ষিত রাখার পেছনে এযাবৎকাল আমাদের দেশে অনুসৃত একধরনের দাসসুলভ মনোভাবই কাজ করছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। সেই ঔপনিবেশিক প্রভুদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়ার মনোভাবই এখনো এই স্বাধীনতার চার দশক পরও বৃহৎ শক্তিবর্গের সেবাদাসদের মনে কাজ করছে।
দেশবাসী আশা করে, জাতি এ মুহূর্তে এক মহা শোকবিহ্বল পরিবেশে যেকোনো মহৎ কর্মসম্পাদনের জন্য অনেক বেশি একাত্ম ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিমাত্রই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকেই নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু গড়ার মতো একটি মহান জাতীয় ও দেশপ্রেমিক কর্তব্য সম্পাদনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল সময় হিসেবে গণ্য করে জাতির প্রতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবে। দেশ গড়ার এমন মাহেন্দ্রক্ষণ জাতির সামনে আর আসেনি। সব বিভেদ, অনৈক্য, অকারণ বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতার রাজনীতি, অপরাজনৈতিক সংস্কৃতি- সব কিছুকে কবর দিয়ে জাতির মহত্তম আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এটাই সর্বোত্তম সময়।
বহিঃশক্তির ওপর নির্ভরতার সম্পূর্ণ অবসান ঘটিয়ে এ দেশকে সম্পূর্ণ নিজ পায়ে আপনার বলে বলীয়ান হয়ে দাঁড়ানোর এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা বিশ্বের যেসব দেশ এই নীতি অবলম্বন করে আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত, তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে বলব। লাতিন আমেরিকার ভেনিজুয়েলা সেসব দেশের অন্যতম। ইন্টারনেট সূত্রে পাওয়া কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
ভেনিজুয়েলার দৃষ্টান্ত : ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ ২০০৭ সালের ১ মে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশে আমূল রাজনৈতিক সংস্কার ও 'অর্থনৈতিক তৃতীয় পন্থা' গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন, ভেনিজুয়েলার আর ওয়াশিংটনের আধিপত্যে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই। ১৯৯৯ সালে শাভেজের ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই ভেনিজুয়েলা বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করতে শুরু করে। সম্প্রতি ভেনিজুয়েলা নির্দিষ্ট সময়ের পাঁচ বছর আগেই বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভেনিজুয়েলা ৮০ লাখ ডলার বাঁচায়। সেই সঙ্গে শাভেজের নির্বাচনের পরপরই আইএমএফের কাছেও দেশের সমুদয় ঋণ শোধ করে দেয়।
ভেনিজুয়েলার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আমাদেরও বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করা এবং ক্রমান্বয়ে তাদের কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প ঋণ পরিশোধ করার দিকে মনোনিবেশ করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রতিশ্রুত ঋণ গ্রহণ না করে নিজেদের অর্থায়নে সেতু গড়ার কাজ শুরুর মাধ্যমে তার সূচনা করা যায়। নজর দিতে পারি কম্বোডিয়ার দিকেও।
কম্বোডিয়ার দৃষ্টান্ত : কম্বোডিয়া সরকার সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ঋণ সে দেশের উন্নয়নের জন্য আর অনুকূল নয় বলে ঋণ গ্রহণ করতে চাইছে না। ইতিমধ্যে চীন, ইনার মঙ্গোলিয়া কম্বোডিয়ায় ঋণ প্রদানে এগিয়ে এসেছে।
ভিয়েতনাম : ভিয়েতনামের দৃষ্টান্তটি একটু ভিন্ন ধরনের। ভিয়েতনাম মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হচ্ছে এবং তারা গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাংকের এযাবৎকাল প্রদত্ত সর্ববৃহৎ ঋণসুবিধা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশও মধ্য-আয়ের দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে; কিন্তু বিশ্বব্যাংক কেন ঋণদানে নানা রকম টালবাহানা করছে এবং কথিত রাজনৈতিক চাপ প্রদানের কৌশল নিয়েছে, তা নিজস্ব অবস্থান সুদৃঢ় ও স্বচ্ছ করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ সুস্পষ্ট করতে পারে। সম্ভবত ভিয়েতনাম যে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেখানে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ওপর ঠিকভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তা কথার কথাই রয়ে গেছে।
আমাদের মনে হয়, সমগ্র জাতি এখন একটা দৃঢ়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে এসে দাঁড়াচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ প্রভৃতি বিভিন্ন অসম ও অসম্মানজনক শর্তের বেড়াজাল নিয়ে আসা আন্তর্জাতিক অর্থলগি্নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রমান্বয়ে সম্পর্ক শিথিল করে এবং এ দেশীয় উৎসগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব স্বাধীন অর্থনীতি গড়ে তোলা ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অনুকূল সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ দেশ দিন গুনছে দুঃসময়ের আঁধার ঘুচে যাওয়া এক চির জ্যোৎস্নালোকিত প্রহরের জন্যই।
২৩.৭.২০১২

No comments

Powered by Blogger.