জেএমবির কমান্ডার মাহাতাব খামারু গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দ্বিতীয় শীর্ষনেতা মরহুম সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের সহযোগী হিসেবে পরিচিত মাহাতাব খামারু গ্রেফতার হয়েছে। রাজশাহী র‌্যাব বাগমারা ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোর ৪টার দিকে তাকে


গ্রেফতার করে। মাহাতাব খামারু নিজেকে যুবদলের পরিচয় দিলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আঞ্চলিক কমা-ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী র‌্যাবের জঙ্গী দমন সেলের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
মাহাতাব খামারু হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থেকে এলাকায় জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। র‌্যাব জানায়, মাহাতাব খামারু জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার। তৎকালীন বাংলা ভাইয়ের সেকেন্ড-ইন কমান্ড হিসেবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি ও নানা অপরাধে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ত্রাস সৃষ্টি, লুটপাটসহ অন্তত ৫টি মামলা রয়েছে।
তৎকালে মরহুম বাংলা ভাইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ের নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে র‌্যাব সূত্র জানায়। ২০০৪ সালে জেএমবির উত্থানের সময় রাজশাহী নগরীতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়া সেই খামারু অবশেষে ধরা পড়ল র‌্যাবের হাতে। সোমবার বিকেলে তাকে বাগমারা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করা হবে।
প্রসঙ্গত, জেএমবির মরহুম নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের সহযোগী হিসেবে পরিচিত থাকলেও গত মার্চ মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির অংগসংগঠন যুবদলে যোগ দেন। ওই সময় খামারুর একটি ব্যানার নিয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে নিজের ছবি যোগ করে ব্যানার ঝুলানোর ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে সেই সময় বিক্ষোভ সমাবেশও হয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল গফুর ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি (একাংশ) গোলাম রাব্বানীকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানারটি টানিয়েছিলেন খামারু। সেখানে নিজেকে হামিরকুৎসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবেও পরিচয় দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে আবার গোপনে চলে যায় খামারু। তবে গোপনে থাকলেও নিজেকে জঙ্গী নয়, যুবদলের নেতা বলে পরিচয় দিত মাহাতাব খামারু।
বাগমারা উপজেলা যুবদলের একাংশের সভাপতি কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, মাহতাব খামারু একজন চিহ্নিত জঙ্গী। সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা একজন জেএমবিকে দলে প্রশ্রয় দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছিলেন। তবে তিনি দাবি করেন, মাহাতাব খামারু এখন যুবদলের কেউ নয়।
জানা যায়, রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল গফুর ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি (একাংশ) গোলাম রাব্বানীকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানারটি টানিয়েছিলেন খামারু। সেখানে নিজেকে হামিরকুৎসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবেও পরিচয় দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হলে আবার গোপনে চলে যায় খামারু। তবে গোপনে থাকলেও নিজেকে জঙ্গী নয়, যুবদলের নেতা বলে পরিচয় দিত মাহাতাব খামারু।
বাগমারা উপজেলা যুবদলের একাংশের সভাপতি কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, মাহতাব খামারু একজন চিহ্নিত জঙ্গি। সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা একজন জেএমবিকে দলে প্রশ্রয় দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছিলেন। তবে তিনি দাবি করেন, মাহাতাব খামারু এখন যুবদলের কেউ নন।

No comments

Powered by Blogger.