শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন গুলতেকিন

বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে শেষ মুহূর্তে দেশে আসার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন গুলতেকিন। হুমায়ূন আহমেদের লাশ বহনকারী এমিরেটসের ফ্লাইটে একই সঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে গতকাল তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন ১ আগস্ট। দেশে পৌঁছবেন ৩ আগস্ট সকালে। গুলতেকিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল দেশে ফেরার কথা ছিল তার।


এমনটাই যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার প্রাক্কালে বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু একই বিমানে হুমায়ূন আহমেদের লাশ আসবে জানায় তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি না হতেই তিনি এটি করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বনানীর ৩ নম্বর রোডের বাসায় গিয়ে জানা গেছে, ফোনে গুলতেকিন নোভা, শীলা ও নুহাশের খোঁজ নিয়েছেন। তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। মানসিকভাবে শক্ত হতে বলেছেন। বনানীর বাসায় গুলতেকিন মেজ মেয়ে শীলা, তার স্বামী-সন্তান ও নুহাশকে নিয়ে বসবাস করেন। বড় মেয়ে নোভা, তার স্বামী ও সন্তানরা থাকেন বনানীর ৫ নম্বরে। ওই ফ্ল্যাটে নুহাশের ঘরে হুমায়ূন আহমেদ, গুলতেকিন ও নুহাশের একটি ছবি ছাড়া আর কোন স্মৃতি নেই। গুলতেকিন বিপাশা দেশে না থাকায় তাদের ঘরে কেউ থাকেন না। সেখানে দেখা যায় নুহাশের রুম ছাড়া কোথাও হুমায়ূনের চিহ্ন নেই। গুলতেকিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তাদের কৈশোর বয়সের দুরন্ত প্রেমের পরিণতি হিসেবে তারা ঘর বেঁধেছিলেন। একে একে জন্ম নিয়েছিল তাদের চার সন্তান। তিল তিল করে গড়া সংসার শাওনের কারণে ভেঙে যায়। সূত্র জানায়, গুলতেকিন হুমায়ূনকে ভীষণ ভালোবাসতেন। এত ভালোবাসতেন যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু সেই হুমায়ূনের কাছ থেকে তিনি কষ্ট পাবেন, এটা মেনে নিতে পারেননি। তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, গুলতেকিন ভীষণ আত্মসম্মানী মেয়ে। শাওনকে হুমায়ূন বিয়ে করার কারণে ভীষণ অপমানবোধ করেন। এ কারণে হুমায়ূন ধানমন্ডিতে থাকেন বলে গুলতেকিন বনানীতে ৩ নম্বরের আই ব্লকে ওঠেন। স্কলাস্টিকা স্কুলে শিক্ষকতা করেন গুলতেকিন। সেখান থেকে ছুটি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে বড় মেয়ে বিপাশার কাছে গেছেন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী কমিশনার মেরিনা বলেন, গুলতেকিন এমিরেটসের ফ্লাইটে আসবেন বলে তথ্য ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।

No comments

Powered by Blogger.