আবার আসছে রমজান by মাহমুদ আহমদ সুমন

বছর ঘুরে আবার আসছে পবিত্র মাহে রমজান। সময়ের আবর্তনে প্রতি বছর মহান সাধনার ব্রত নিয়ে এ মাস আমাদের সামনে হাজির হয় এক নতুন আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়ে। মানবাত্মায় সঞ্চিত সারা বছরের পাপ, পঙ্কিলতাকে ধুয়েমুছে পরিশুদ্ধ করার উত্তম মাস রমজান।


মানুষের চিন্তা-চেতনা ও হৃদয়ে রুহানিয়াত ও আধ্যাত্মিকতার সুশীতল বায়ু বইয়ে দেওয়ার জন্যই এ পবিত্র মাস বারবার আমাদের মধ্যে এসে হাজির হয়।
যেহেতু এ পবিত্র রমজান মাস খোদাকে সবচেয়ে কাছে ও একান্ত নিজের মতো করে পাওয়ার মাস, তাই এ মাসের এবাদত খোদার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আর এ মাসের এবাদত খোদাতায়ালার কাছে এতই প্রিয় যে, বান্দার এ মাসের এবাদতের প্রতিদান খোদাতায়ালা নিজেই হয়ে যান। আর আমাদের নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, মানুষ যত কাজ করে তা নিজের জন্য আর রোজা রাখা হয় আমার জন্য। সুতরাং আমি নিজেই এর পুরস্কার।
তাই আমাদের চিন্তা করা উচিত, রোজা এমন এক এবাদত যার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ। কোনো কর্মের বিনিময়ে যদি আল্লাহকে পাওয়া যায়, তাহলে এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে? এমনই এক মহান মাস আর ক'দিন পরই আমরা লাভ করতে যাচ্ছি। এ মহান মাসকে লাভ করার জন্য আমাদের অবশ্যই যে ক'টি দিন অবশিষ্ট রয়েছে, অযথা হেলাফেলায় নষ্ট না করে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আমরা জানি, শ্রেষ্ঠ নবী হজরত রাসূল করিম (সাঃ)ও শাবান মাসের ১৫ তারিখ থেকে রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতেন। এ মাস যেহেতু পবিত্র ও মহা বরকত এবং কল্যাণের মাস, এ কারণে একজন মানুষ এ মহান মাসে তার নফল এবাদতগুলো যদি সুন্দরভাবে পালন করে আর সব নেক আমল যদি আরও বাড়িয়ে দেয়, তাহলে অতি সহজেই আমরা আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে পারি। তাই আমরা দেখি, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)ও এ সুযোগকে খুবই ভালোভাবে কাজে লাগাতেন। এ মাসে তাঁর (সাঃ) এবাদতের গতি খুবই বেড়ে যেত (অন্য মাসের তুলনায়), দানের হাত ঝড়ো বেগে প্রসারিত হতো।
 

No comments

Powered by Blogger.