গণতন্ত্র-নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি by এম হাফিজউদ্দিন খান

শুরু হলো নতুন বছর। শেষ হলো ২০১০ সাল। আর দুই দিন পর বর্তমান সরকারের দুই বছর পূর্ণ হবে। এই দুই বছরের সালতামামি করলে দেখা যাবে যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের বেশ কিছু অর্জন রয়েছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় ব্যর্থতাও রয়ে গেছে।


অর্জনের মধ্যে আমরা অবশ্যই বলতে পারি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার শেষ হয়েছে এবং বিচারের রায় আংশিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। যাঁদের ধরা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে বলে আমরা শুনেছি। আমরা চাই, তাঁদের ফিরিয়ে এনে সবার শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আরেকটা হলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, সেটা এখন বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমরা এরও সাফল্য কামনা করি। শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় কাজ হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সমস্যা রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, রেমিট্যান্স আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। মানবসম্পদ রপ্তানির হার তুলনামূলকভাবে কমে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো পোশাক খাত, যেখানে অস্থিরতা ছিল, আছে এবং মনে হচ্ছে, আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ব্যালান্স অব পেমেন্টে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ রয়ে গেছে, উল্লেযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার কমেনি, যা ছিল তাই-ই রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো, কিন্তু সমস্যাও আছে। দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য দেশি-বিদেশি যে পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা প্রয়োজন, তার পুরোটা জোগানও সম্ভব হয়নি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যাও চরমে। হয়তো পাইপলাইনে অনেক প্রকল্প রয়েছে, কিন্তু তার বেশির ভাগই ভাড়ায়, যা নিয়ে বিতর্ক আছে। ছোটখাটো বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যতটা উন্নতি হয়েছে, চাহিদা তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। আমার ধারণা, বিদ্যুতের চাহিদা সম্পর্কে সঠিক কোনো হিসাব আমাদের দেশে করা হয়নি। এখন তো সব ধরনের সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে চাহিদাকেও আটকে রাখা হয়েছে। কয়লা-গ্যাস উত্তোলনের জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এসব সমস্যা থেকে কীভাবে উত্তরণ সম্ভব, সেটা ভেবে দেখা দরকার।
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ যে কষ্টে রয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তা সফল হয়নি। সিন্ডিকেট ভাঙার কথা শুনে আসছি বহু আগে থেকে, কিন্তু ভাঙার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী; পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা দায়ী। সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে অনেক কিছু বলা হচ্ছে, কিন্তু তা ভোক্তাদের কোনো উপকারে আসছে না, বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, তাদের কষ্ট রয়েই গেছে।
সালতামামিতে যে কথাটা গুরুত্ব দিয়ে বলতে চাই, সেটা হলো—সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার, বিশেষ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে পাঁচটি অঙ্গীকারকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রতিদিনই বাড়ছে এই সমস্যা।
দুর্নীতিবিরোধী অনেক কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু গত দুই বছরে এ নিয়ে তেমন কোনো কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। বরং দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে অঘোষিতভাবে স্থবির করে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের পূর্ববর্তী স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও চিফ হুইপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া রাঘববোয়াল বলে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনকে কার্যকর করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগও নেই। দুদকে যেকোনো মামলায় শাস্তি হলে সেটা হাইকোর্ট বা অ্যাপিলেট ডিভিশন পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে অনেক দীর্ঘসূত্রতা থাকে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা না হলে দুদককে কার্যকর করা যাবে না। এ কথা অবশ্য দুদকের চেয়ারম্যান নিজেও বলেছেন। সুতরাং দুদককে কার্যকর করতে হলে সংস্কার জরুরি। এর সঙ্গে কিছু আনুষ্ঠানিক আইনি ব্যবস্থা দরকার। যেমন—সংবিধানের ৭৭ ধারায় ন্যায়পালের কথা বলা হলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। কর ন্যায়পাল আলোর মুখ দেখলেও কদিন পর তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। কেন এমন করা হলো, তা জানা গেল না। দ্রুততম সময়ে সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো গঠন ভালো দিক, যার মধ্যে কয়েকটি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এসব কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে দেখভালের জন্য মনিটরিং-ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। অনেকগুলো অডিট রিপোর্টের বাস্তবায়ন ঘটেনি, যা করা জরুরি।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের যে অঙ্গীকার ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবার আগে আসে আইনের শাসন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিচার বিভাগের কর্মক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করতে হবে। বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগের পৃথক্করণ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কে অনেক অভিযোগ উঠেছে। জনমত জরিপও তাদের বিপক্ষে গেছে। র‌্যাব সম্পর্কে বিদেশি সংস্থাগুলো থেকেও অনেক কথা বলা হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অনেক হয়েছে। এর পরও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি উন্নতি হতো, তাহলেও জনগণকে কিছু একটা বলা যেত। রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাস হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়ের মধ্যে ৫.২-তে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে। এটি করতে গেলে একটা জিনিস অত্যন্ত জরুরি, সেটা হলো উচ্চতর আদালতের নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা। বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী যে প্রক্রিয়া রয়েছে, অর্থাৎ বিচার বিভাগে চাকরিতে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা ১০ বছর ওকালতি করার অভিজ্ঞতা। এই যোগ্যতা থাকলে কোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হন। অথচ ১০ বছর চাকরি করে সরকারের অন্যত্র ডেপুটি সেক্রেটারিও হওয়া যায় না। ১০ বছরের অভিজ্ঞতা কী ধরনের, সেটাও পরিষ্কার নয়। আইনজীবী হিসেবে তাঁর দক্ষতা-সততা দেখার ব্যবস্থা নেই। এখানে বরাবরই দলীয় রাজনৈতিক আনুগত্য প্রাধান্য পেয়ে আসছে। তাই বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা যায়নি।
এরপর ৫.৩-এ উল্লেখ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা, সংসদ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ও আয়ের উৎস প্রতিবছর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। এটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কদিন আগে অবশ্য মাননীয় প্রধান বিচারপতি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাঁর সম্পদের পরিমাণ ও আয়ের উৎসের বিবরণ মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। সেই পদাঙ্ক যদি অন্যরা অনুসরণ করেন, তাহলে ভালো হয়। শুধু মন্ত্রী এমপি নন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে নেওয়া প্রয়োজন।
প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করা হবে বলে ইশতেহারে বলা থাকলেও বাস্তবতা হলো, দলীয়করণ আরও বেড়েছে। প্রশাসনের সর্বত্র দলীয়করণ করা হয়েছে। অনেক ভালো, সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি—এগুলোকে একটি স্বচ্ছ নীতিমালার ওপর দাঁড় করাতে হবে। সরকার নিজেই বলছে প্রশাসন স্থবির। কিন্তু তার কারণ কেউ খুঁজে দেখছেন না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার নিয়ে ইউএনডিপির সহায়তায় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, আমরা কিছুই জানি না। যদি না হয়, তা জনগণকে জানাতে হবে। এখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দূর করতে হবে। অন্যথায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।
সুশাসনে আরও একটি অন্তরায় হলো, এখন দেশের প্রশাসন পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত হয়েছে রাজধানীতে। এভাবে একটি দেশের গণতান্ত্রিক সরকার চলতে পারে না। গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হলো স্থানীয় সরকার, যা খুবই দুর্বল। উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হলেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না।
ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ অনেক দিন আগে পার হলেও সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না। সম্প্রতি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনের, তা-ও মেয়াদ পূরণের চার বছর পর। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কবে নাগাদ হবে, তা জানা যাচ্ছে না। সরকারের তরফ থেকেও এ সম্পর্কে কিছুই বলা হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার না থাকলে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, নেতৃত্বের বিকাশও ঘটে না। সংবিধানে জেলা পরিষদের বিধান থাকলেও তা ৪০ বছরে কার্যকর হয়নি। সবকিছু আইনে রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদদের মধ্যে তীব্র বিরোধ মেটানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর মধ্য দিয়ে আমরা সংবিধানকে উপেক্ষা করছি।
আরেকটি জায়গায় আমাদের অবনতি লক্ষণীয়—গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র রক্ষা পায় না। একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান মাত্র। আমাদের সংসদকে সব সময়ই অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। বিরোধী দল সংসদে যাচ্ছে না। এর পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে এমনও নয়। বিরূপ পরিস্থিতি দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকেও আন্তরিক কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও মনে হয় না। বিরোধী দলের সদস্যরা যদি মনে করেন, তাঁরা সংসদে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন না, তাহলে তাঁদের উচিত হবে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা। সংসদে যাবও না, আবার পদত্যাগও করব না—এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক কথা নয়।
সন্দেহ নেই, বিরোধী দলের ওপর কিছু নির্যাতন-নিপীড়নও হচ্ছে। রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা কমে যাচ্ছে, বাড়ছে সংঘাত। একের বিরুদ্ধে অপরের অপপ্রচার, কুৎসা, কুরুচিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনা পুরোমাত্রায় রয়ে গেছে। যেমন—ইদানীং বলা হচ্ছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানের অনুচর ছিলেন। তাঁকে নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষকের বিতর্ক অপসৃত হয়েছে। আমরাও আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু এ কথা সত্যি, জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। বীর উত্তম উপাধি তাঁকে জাতির জনকই দিয়েছেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন জাতির জনকের কাছ থেকেই। তিনি যদি পাকিস্তানের অনুচর হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণযোগ্য দালিলিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে। অথচ মন্ত্রিসভার সদস্যদের মুখ থেকেই এ ধরনের কথা উচ্চারিত হয়, যা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।
আরেকটি জিনিস দেখা যাচ্ছে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এক-এগারো থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি। রাজনীতিতে যে রকম গুণগত পরিবর্তন আমরা আশা করেছিলাম, তার কিছুই হয়নি। নির্বাচন কমিশন কিছু কিছু ভালো কাজ করেছিল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বেশ কিছু ভালো সংস্কার করা হয়েছিল, তা-ও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। যেমন—সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন হতে হবে একেবারে তৃণমূল থেকে। নির্বাচনী ব্যয় জমা দেওয়া এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। জনসাধারণের মতামতের প্রতিফলন যেমন ঘটে না, তেমনই সব দলের সমান অংশগ্রহণ ও মতামত নেওয়ার ব্যাপারটি আজও দুরাশা রয়ে গেছে।
এম হাফিজউদ্দিন খান: চেয়ারম্যান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি); তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।

No comments

Powered by Blogger.