জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারটি জিজ্ঞাসা by ফজলুল হক সৈকত

বিজয় লাভের ঊনচল্লিশ বছর পেরিয়েছি আমরা। চল্লিশ হতে আর সামান্য সময়ই বাকি। চল্লিশের হিসাবটি বারবার আমাকে ভাবিয়ে তুলছে আজকাল। জন্ম, জীবন, সমাজ, ধর্ম, মৃত্যু, গণিত—অনেক ক্ষেত্রে আমি চল্লিশের গুরুত্ব দেখেছি।
আরও অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন। চল্লিশ দিন পর আঁতুরঘর ত্যাগ, রাতে আহারের পর চল্লিশ কদম হাঁটাহাঁটি করা, কবর দেয়ার পর চল্লিশ ধাপ অতিক্রম, চল্লিশ বছরে মহানবীর নবুয়ত লাভ, মৃতব্যক্তির চল্লিশা, চল্লিশ পার হলে মানবদেহের ভাঙন শুরু, চল্লিশ সেরে এক মণ—এ রকম আরও কিছু বিষয় নিশ্চয়ই কোনো না কোনো তাত্পর্য বহন করে। তাহলে কি স্বাধীনতা লাভের চল্লিশ বছর পার হলে আমরা আমাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হতে দেখব? কে জানে এ সব কথা! আরেকটি কথা দেশে বারবার শিক্ষানীতি তৈরি হতে গিয়েও তা পথ পায়নি বিচিত্র কারণে। মাঝে মাঝে ভাবি, শিক্ষানীতির বেলায়ও কি ওই চল্লিশের ব্যাপারটি নিহিত? যদি তাই হয়, তাহলে আরেকটি সম্পূরক চিন্তাও আমাকে ভাবিয়ে তুলবে। সেটি হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ।
চল্লিশের হিসাব ধরলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অতিক্রম করতে হবে কিংবা বলা যায় অপেক্ষা করতে হবে আরও বাইশ বছর। অপেক্ষার প্রহর কীভাবে যাপন করা যায়, বিশেষত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমে-ওঠা পাহাড়প্রতিম সমস্যা ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে কিছুটা হলেও তার দায় নিয়ে ভাবতে হয় চারটি জিজ্ঞাসা ভীষণভাবে সামনে এসে দাঁড়ায়। জিজ্ঞাসাগুলোকে প্রথমে এক কাতারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে অতঃপর এ সব বিষয়ে আমার সামান্য অনুসন্ধান আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। জিজ্ঞাসা এক : আজও কেন শিক্ষকদের কোনো পদোন্নতি হলো না? জিজ্ঞাসা দুই : অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরতা কমবে কবে? জিজ্ঞাসা তিন : কলেজশিক্ষার মানোন্নয়ন করতে গিয়ে দিনে দিনে কলেজগুলোকে শিক্ষার্থীর গোডাউন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মানে কী? জিজ্ঞাসা চার : নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ কোথায়?
১৯৯২ সালে মহান জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামক দেশের সর্ববৃহত্ বিশেষায়িত এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। সারা দেশের কলেজগুলোকে একটি কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসা এবং কলেজ শিক্ষার কারিকুলাম ও পাঠ প্রদানের গুণগত মানোন্নয়ন এই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার, গত প্রায় আঠারো বছরে যারা এই বিরাট শিক্ষা পরিসরের দায়িত্ব গ্রহণ ও পালন করেছেন, তাদের মধ্যে দু’একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে, কেউই মূল বিষয়গুলো নিয়ে তেমন ভাবেননি। প্রথম থেকেই অজানা কী কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষকবিহীন প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলেছে। আর তাই আজও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ও যথেষ্ট পরিমাণে শিক্ষক এখানে নিয়োগ দেয়া যায়নি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ৭৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রভাষক; একজনও প্রফেসর নেই। বিশেষত প্রফেসর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যেমন সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রভৃতিতে শিক্ষকদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। তাহলে প্রশ্ন হলো, দীর্ঘদিন ধরে ওইসব পদ শূন্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে কীভাবে? যারা এখানে কর্মরত আছেন, তাদের পদোন্নতির কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না কী কারণে? শিক্ষকদের এখানে কোনো কাজ নেই, বসে বসে বেতন নিচ্ছেন—এমন ধরনের মুখস্থ অভিযোগ করে আসছেন প্রায় সব দায়িত্বশীল ব্যক্তি। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, তারা আজ পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি যে, শিক্ষকদের কাজ বলতে কী কী ব্যাপার বোঝাতে চান। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের যা যা কাজ করার কথা তার অধিকাংশেই তাদের অংশগ্রহণের কোনো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেননি কেউই। কিছু কিছু কাজে সম্পৃক্ততা রয়েছে মাত্র। কোনো কোনো কর্তাব্যক্তি আবার শিক্ষকদের কলেজে পাঠানোর মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন। ক্যাম্পাসে সীমিত পরিসরে মাস্টার্স কোর্স প্রবর্তনের দাবিও নাকচ করেছেন কোনো কোনো উপাচার্য। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিভুক্ত কলেজে প্রেরণ করার, যেখানে মূল ক্যাম্পাসেই রয়েছে শিক্ষা ও গবেষণার বিচিত্র সব দায়-দায়িত্ব, পরিকল্পনাটি সুদূরপ্রসারী কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা সেটিও ভেবে দেখা দরকার। আর সরকারি কলেজে পিএসসি এবং বেসরকারি কলেজে পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। কলেজে শিক্ষক প্রেরণ বিষয়ক কোনো আইন এদেশে এখনও প্রণয়ন বা প্রবর্তন হয়নি।
সংখ্যায় কম এবং অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক থাকায় পরীক্ষা কমিটি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম মূল্যায়ন ও পরিমার্জন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম, অ্যাকাডেমিক মনিটরিং-অধিভুক্তি-শিক্ষক নিয়োগ (কলেজসমূহে), কলেজ পরিচালনা পরিষদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব প্রভৃতি অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার পর্যন্ত আনতে হচ্ছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এতসব গুরুত্বপূর্ণ পদে ও দায়িত্বে অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা জিইয়ে রেখে আর যাই হোক অন্তত প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমত চলছে, তা বলা যায় না। প্রত্যেকেরই প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব থাকে, ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার বাড়তি সময় অনেকের থাকে না; থাকলেও মনোযোগ থাকে কম। আর প্রেষণে এলে প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্ম বুঝতে যেমন সময় লাগে, অন্যদিকে থাকে গাছাড়া মনোভাব। সব মিলিয়ে এ রকম সাময়িকভাবে বা আপাতত ধার করা লোকদের দিয়ে এ বৃহত্ প্রতিষ্ঠানের কোনো কল্যাণ আশা করা যায় না। গত সতের বছরের অর্জনের পাতা উল্টালে চিত্রগুলো আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে। মনে রাখা দরকার, নিজস্ব শিক্ষকদের কাজে লাগাতে পারলে অভ্যন্তরীণ কাজে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হবে এবং পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ টাকাও অন্য পাত্রে ঢালার প্রয়োজন পড়বে না। কাজেই অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের ওপর দায়িত্ব প্রদানের বিষয় অবিলম্বে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিবেচনায় এনে যা যা করণীয়, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।
যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কলেজগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখন অনার্স ও মাস্টার্স পাঠদানকারী কলেজে কোথাও কোনো বিষয়ে পঞ্চাশের বেশি আসন ছিল না। শিক্ষকের সংখ্যা এবং ক্লাসরুমের বিবেচনায় সে সময় ওই সংখ্যাই ছিল বেশি। কেননা, উচ্চমাধ্যমিক-ডিগ্রি (পাস)-অনার্স-মাস্টার্স প্রভৃতি কোর্স পড়ানোর জন্য একটি ডিপার্টমেন্টে চার-পাঁচ শিক্ষক দায়িত্ব পালন করতে রীতিমত হিমশিম খেতেন। কয়েকটি বড় ও নামকরা কলেজে হয়তো কিছু কিছু বিভাগে শিক্ষক সংখ্যা ছিল দশ-বারোজন। বিস্ময়ের ব্যাপার, গত সতের বছরে শিক্ষকের সংখ্যা ও পদ এক শতাংশও উন্নীত না করে, অবকাঠামোগত সুবিধা তেমন কিছুই না বাড়িয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি করে অনেক ক্ষেত্রে ২৫০ বা ৩শ’ করা হয়েছে। যে কলেজে একটি বিষয়ের জন্য মাত্র ২ বা ৩টি ক্লাসরুম বরাদ্দ আর শিক্ষকের সংখ্যা ৮ বা ১০ জন, সেখানে চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সে প্রতিবছর এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা কোনো সুস্থ পরিকল্পনার মধ্যে পড়ে কিনা, সে প্রশ্ন এখন দিনের আলোয় পরিষ্কার হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন কলেজেগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে, তখন তারা কি ভাবছে, কী বিপুল যন্ত্রণার ভার তারা জাতির মাথায় চাপিয়ে চলেছে। ভাবলে অন্তত এমন বুদ্ধিহীনতার কিংবা বোকামির অথবা অযোগ্যতার পরিচয় দিত না। কী অবাক কাণ্ড! অল্পকিছু লোকের খামখেয়ালিকে রীতিমত প্রশ্রয় দিয়ে, বিদ্যাপীঠগুলোকে নীরবে আমরা বিদ্যার্থীদের গুদামঘরে পরিণত করছি। আমাদের মনে হয়, আর দেরি না করে এখনই এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা দরকার। কলেজগুলোতে হয় দ্রুত অবকাঠামো ও শিক্ষক সংখ্যা প্রয়োজনীয় পরিমাণে ও সংখ্যায় উন্নীত করতে হবে, নয়তো বন্ধ করতে হবে আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার মতো দায়িত্ববর্জিত সিদ্ধান্ত। জানি না, এ পাগলাঘোড়ার রশি কে টেনে ধরবে? ঠিক হিসাব করে বলা যায় না, আর কতদিন পর আমাদের বোধোদয় হবে! অপেক্ষার প্রহর গুনতে আমাদের কোনো আলস্যও নেই! সচেতন পাঠক হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ কিছু প্রতিবেদন, উপসম্পাদকীয় এবং সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। বিগত জোট সরকারের আমলের নিয়োগ অবৈধ নাকি তার আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালের নিয়োগ অবৈধ, তা নিয়েও এক ধরনের ধোঁয়াশা বিরাজমান। কেউ কেউ বলছেন, জোট আমলের কোনো কোনো নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি ‘ঘুপচি’। কারও কারও মতে, আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কেবল ফাইল-নোটের মাধ্যমে। আমাদের জানা মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ-সংক্রান্ত ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এবং সিলেকশন বোর্ডের সম্পৃক্ততা এবং দায়িত্বই প্রধান। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জোট সরকারের সময়ে নিয়োগ সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা আবিষ্কারের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর আগেও ওই দুই আমলের নিয়োগ নিয়ে কিছু তদন্ত হয়েছে; মামলা হয়েছে; রায়ও হয়েছে। আমাদের জিজ্ঞাসা হলো, প্রতিষ্ঠানটির পুরো নিয়োগ-প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি কেন গঠন হচ্ছে না, যে কমিটি বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সময় বিবেচনা না করে সব নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করতে পারে? যখন বারবার রাজনৈতিক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে, তখন তো রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু নিয়োগ হতেই পারে! তার মানে তো আর এই নয় যে, ভিন্নমতের বা আলাদা আদর্শের কোনো রাজনৈতিক সরকারের শাসনামলে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের ওপর প্রতিহিংসার চোখ প্রসারিত করতে হবে। বরং এমন ধারণা পরোক্ষভাবে কেবল অশুভ আর অপসংস্কৃতিকেই লালন করে বলে আমাদের মনে হয়। আমাদের কালের নিয়োগ সব ঠিকঠাক আছে আর অন্যদের আমলের নিয়োগ নিয়মমাফিক হয়নি, এমন ধারণা নিয়ে তো রাষ্ট্র চলতে পারে না। আমরা সবাই সরলভাবে অবগত আছি যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি দল বা জোট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে, সব দল বা গোষ্ঠী দায়িত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে না। তার মানে এই নয় যে, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভের পর পুরো দেশ ওই দল বা জোটের হয়ে যায়; বরং দলটি কিংবা জোটটিই হয়ে পড়ে পুরো দেশের। ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে দেশের সব মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করবেন, এমন প্রত্যাশা কি অস্বাভাবিক? নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, এই সত্য সহজ প্রত্যাশিত কথাটি আমরা নির্বিকারের মতো বারবার ভুলে বসে থাকি।
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রায় আঠারোশ’ প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক বিষয়ের মানোন্নয়ন এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করছে, তার ঘাড়ে এত অপূর্ণতার ভার আর এত বিভ্রান্তি-সংশয়-সঙ্কট জিইয়ে না রেখে বরং তা যথাসম্ভব দ্রুত দূর করে জাতীয় অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য এখন দরকার সত্ ও সাহসী পদক্ষেপ। আমরা যত তাড়াতাড়ি হস্তক্ষেপের মানসিকতা পরিহার করে পদক্ষেপের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠব, ততই স্বাধীনতার স্বাদ আমাদের দরজায় উঁকি দেয়ার পরিবেশ পাবে!
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং আহ্বায়ক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ

No comments

Powered by Blogger.