বিশ্লেষণী দৃষ্টিপাত-কার অধীনে, কবে হবে দশম সংসদ নির্বাচন? by মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

ক্রমান্বয়ে এগিয়ে আসছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোন সময়ে আর কেমন সরকারের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের মধ্যে ঐকমত্য নেই। ক্ষমতাসীনেরা সব সময় নিজেদের নির্বাচিত ও জনসমর্থিত সরকার আখ্যায়িত করে মেয়াদপূর্তির পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে।


আর যাঁরা বিরোধী দলে থাকেন, তাঁরা সরকারের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি আলোকপাত করে সরকারের জনসমর্থন হ্রাসের কথা বলেন, পুনরায় জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আগামী নির্বাচনের আর কত দিন বাকি, সে ব্যাপারে দুই রকম হিসাব আছে। সাধারণ হিসাবে সরকারের মেয়াদপূর্তির পর নির্বাচন হলে এখনো বছর তিনেক বাকি। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিকতা হারালে সম্মানিত ভোটাররা চাইলে এর আগেও নির্বাচন আদায় করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। গণতান্ত্রিক সমাজে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, যার চর্চা এ দেশে একাধিকবার হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, সরকার কী জনসমর্থন হারাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, সরকারের জনপ্রিয়তা পরিমাপের একাধিক উপায় আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অথবা উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে ওই সব নির্বাচনে সরকারি দলের পারফরম্যান্স দেখে সরকারের জনপ্রিয়তা অনুধাবন করা যায়। আর একটি উপায় হলো, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও সার্বিক সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশ দেখে সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে পারে কি না, তা বুঝে নেওয়া। আবার বিভিন্ন জনমত জরিপেও সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করা যায়। এই তিন পরিমাপকে যাচাই করলে দুই বছরে মহাজোট সরকারের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এই সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম দুই বছরে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, তার মধ্যে ছিল উপজেলা নির্বাচন, ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন ও ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীরা বেশি ভোট পেলেও ওই দুটি নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সনদপত্র দেওয়া যায় না। সংসদ নির্বাচনের অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে চরম নৈরাজ্য আর সরকারি দলের নির্বাচিত এমপি-মন্ত্রীদের দাপটে যখন নির্বাচন কমিশন ও সিইসি অসন্তোষ প্রকাশ করেন, তখন সেই নির্বাচনের নেতিবাচকতা সম্পর্কে কম বলাই উত্তম। ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনে সন্ত্রাস, হোন্ডা-গুণ্ডার দাপট আর ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ায় নির্বাচনটি স্বাভাবিকতা হারায়।
সিসিসি নির্বাচনে সরকার যে রাজনৈতিক অঙ্ক কষেছিল, তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়। সরকার ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন করার সময় হলেও গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংকট আর দ্রব্যমূল্যের চাপে অতিষ্ঠ ডিসিসি নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা হাতে ব্যালট পেলে যে কী জবাব দেবেন, তা সরকার বুঝতে পারে। সে কারণে সরকার কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে প্রথমে চট্টগ্রামে সাড়ে তিন লাখ সংখ্যালঘু ভোটার এবং ১৭ বছর ধরে মেয়র পদে থাকা সরকারি দলের ডাকসাইটে প্রার্থীকে নির্বাচন করে সহজে জিতিয়ে আনা নিরাপদ মনে করে। কিন্তু সিসিসি নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় সরকারের সেই নির্বাচনী হিসাব-নিকাশের অঙ্ক মেলেনি। মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভূমিধস পরাজয়ে সরকারি দলের জনপ্রিয়তা হুমকির মুখে পড়ে। কাজেই সরকারের প্রথম দুই বছরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তা নির্বাচনী পরিমাপকে মাপলে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে বলা যায়। কারণ, উল্লিখিত তিনটি নির্বাচনের মধ্যে একমাত্র সিসিসি নির্বাচনেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বলতে যা বোঝায়, ওই নির্বাচনের আয়োজকেরা তা নির্মাণে অনেকাংশে সফল হয়েছিলেন। যদিও নির্বাচনটিতে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার নমুনা দেশের প্রধান দুই সম্মানিত নেত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলেও তাঁদের ব্যাপারে নীরব থাকা এবং কমিশনকে কিছু না জানিয়ে নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপির জনৈক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিধৃত হয়।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ফলেও সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে কি না, তা কিছুটা অনুধাবন করা যাবে। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল হলেও বুঝতে পেরেছে যে দুই বছরের দলীয় পারফরম্যান্সে সাধারণ মানুষ খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। তাই পৌরসভা নির্বাচনের ফল যাতে সিসিসি নির্বাচনের ফলের অনুরূপ না হয়, সে জন্য এই নির্বাচন একা না করে ১৪ দল জোটগতভাবে করার পকিল্পনা করেছে। তবে জোটগতভাবে করা হোক, আর যেভাবেই করা হোক, পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ আর কাঁচাবাজারের উত্তাপ যে জনমতকে এই নির্বাচনে বিগড়ে দেবে না, এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে ক্ষেত্রবিশেষে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাতীয় প্রসঙ্গের চেয়ে স্থানীয় প্রসঙ্গ এবং প্রার্থী ইমেজ গুরুত্ব পায়। সরকারের মনে রাখা ভালো, জনমত যদি একবার বিপক্ষে চলে যেতে থাকে, তা খুব দ্রুতই সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলে। সে ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণ করতে পারে এমন কাজ করেই একমাত্র জনপ্রিয়তার নিম্নমুখী ধস ঠেকানো যায়। কিন্তু সরকারকে এমন কোনো কাজ করতে দেখা যাচ্ছে কী? সরকারের জনপ্রিয়তার নিম্নগামী ধারা প্রথম আলোর সাম্প্রতিক জরিপেও প্রতিফলিত হয়েছে।
সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশ দেখে মহাজোট সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে গেলেও সরকারের জনপ্রিয়তাকে হুমকিযুক্ত প্রতীয়মান হয়। সরকার দুর্নীতি দমন প্রচেষ্টা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কালো টাকার মালিকদের আরও কালো টাকা করার সুযোগ করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা যে কতটা এগিয়েছে, তা সাধারণ মানুষ যাঁরা সমাজে চলাফেরা করেন, বাজারে যান, তাঁদের না বললেও চলে। সরকার মূল্যসন্ত্রাসী সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে যে ব্যর্থ হয়েছে, তা অর্থমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী মহোদয় স্বীকার করেন। এই ব্যর্থতা সব নাগরিককে স্পর্শ করে এবং এতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।
বাণিজ্যমন্ত্রী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম রমজানের ঈদের ১৫ দিনে চিনি সিন্ডিকেট করে যাঁরা ৮০ কোটি টাকা পকেটেস্থ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার পরও শাস্তি দিতে না পারলেও মাঝেমধ্যে ব্যবসায়ীদের বকাঝকা করার সাহস দেখাতে পেরেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রকাশিত সন্ত্রাস, খুন, এনকাউন্টার-ক্রসফায়ার প্রভৃতির আশঙ্কাজনক পরিসংখ্যান দেখার পর এবং সরকারি হিসাবেই ২০১০ সালের প্রথম ১১ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১১ জন খুন হওয়ার তথ্য জানার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বেশি কিছু না বলাই শ্রেয়। কাজেই কোনো সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন আর জীবনের নিরাপত্তা সংকীর্ণ হয়ে উঠলে সাধারণ মানুষের সেই সরকারের ওপর তুষ্ট থাকার কথা নয়। এ রকম সময়ে সরকারবিরোধী প্রতিবাদী কর্মসূচিতে মানুষ ঝাঁপিয়ে না পড়লেও সমর্থন দিতে শুরু করে। আর সরকারের ওপর নাগরিকেরা বিরক্ত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে স্বাভাবিকভাবে তাঁরা সেই সরকার পরিবর্তন করতে চান। এ রকম পরিস্থিতিতে আন্দোলন কর্মসূচি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে যদি সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে, তাহলে মেয়াদপূর্তির পরই ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন হবে বলে ভাবা যায়। কিন্তু যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যদি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করে নাগরিকদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব দানা বাঁধে, যদি চাল-ডাল, সয়াবিন, পেঁয়াজ-রসুন আর কাঁচাবাজারের উত্তাপ অসহনীয় হয়ে ওঠে, আর সেসবকে পুঁজি করে বিরোধী দলগুলো সরকারবিরোধী আন্দোলন শাণায়, তাহলে সরকারের পক্ষে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে। সরকার যদি দ্রুত জনপ্রিয়তা হারায়, তাহলে দশম সংসদ নির্বাচন সরকারের মেয়াদপূর্তির আগে অনুষ্ঠিত হওয়া অসম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ২০১২ সালের শেষ দিকে বা ২০১৩ সালে যেকোনো সময় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
নির্বাচন যখনই হোক, নির্বাচনের প্রসঙ্গ এলে সরকারের শরিক দল বা দলগুলো সব সময় নিজেদের নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার আখ্যা দিয়ে তাদের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে দাবি করে। আর বিরোধী দলগুলো সরকারি দলের কার্যক্রমকে অগণতান্ত্রিক ব্যাখ্যা দিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। মহাজোট সরকার গঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন। তবে মহাজোটের শরিক ছোট দলগুলো তাদের এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। আবার আওয়ামী লীগের কিছুসংখ্যক নেতাও মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আইনমন্ত্রী মনে করেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এই জাতি আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যেতে চায় না। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার যদি পাঁচ বছর দেশ চালাতে পারে, তাহলে তিন মাস বা দুই বছরও পারবে। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি সরকারি দলের নেতাদের এহেন বক্তব্যের মধ্যে ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়ে বলছে, সরকারি দল জনপ্রিয়তা হারিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। সে কারণে তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চায়।
লক্ষণীয়, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছেন, তাঁরা কিন্তু নির্বাচনী সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অবদানের নমুনা দেখাতে পারছেন না। তবে হ্যাঁ, তাঁরা চাইলে নতুন আরপিও হওয়ার কারণে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন যেমন—মনোনয়নপত্র জমাদানকালীন শোডাউন বন্ধ, রঙিন পোস্টার ছাপানো বন্ধ, দেয়ালে চিকা বা পোস্টার মারা বন্ধ প্রভৃতি দেখাতে পারেন। কিন্তু এসব পরিবর্তন ইতিবাচক হলেও শুধু এসব দিয়ে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। যত দিন নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ড-সবল ও স্বাধীন হতে না পারবে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা সুনিশ্চিত করা না যাবে, তত দিন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করা যায় না। কাজেই কমিশনের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনী সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ইতিবাচক পরিবর্তন না আনতে পারলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল ও ভোটাররা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিতে চাইবেন না। তাঁরা চাইবেন, সাংবিধানিকভাবে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে এবং সেই নির্বাচনী রায় যেন সবাই গ্রহণ করে নেয়।
আসন্ন দশম সংসদ নির্বাচন যখনই হোক, আর যে রকম সরকারই এই নির্বাচনের আয়োজক হোক না কেন, নির্বাচনটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া দরকার। তা না হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে চলমান অসমঝোতা ও সংসদীয় অকার্যকারিতা বহাল থেকে যাবে। আর অস্থিতিশীলতা ও হিংসাত্মক রাজনীতি বহাল রেখে দেশ ও মানুষের জন্য উন্নয়ন অর্জন এবং তা টেকসই করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করা যেকোনো সরকারের জন্য কঠিন হয়ে যায়।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার: অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
akhtermy@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.