ইলিয়াস আলী নিখোঁজ-সরকারই গুম করেছে: বিএনপি

বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী কোথায় আছেন, তা সরকার জানে। তাই অবিলম্বে ইলিয়াসকে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।


দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সৈয়দ আশরাফের প্রতি অনুরোধ করব, আপনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করুন, যাতে ইলিয়াসকে জীবিত ফেরত দেওয়া হয়। সরকারই ইলিয়াসকে গুম করেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকায় বেরিয়েছে গুলশান জোনের একজন সাব-ইন্সপেক্টর দেখেছেন, সরকারের বিশেষ সিক্রেট বাহিনী ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপরও সরকার বলছে, তাঁকে তুলে নেওয়া হয়নি।’
ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ বিরোধী দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ওই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, নিরুপায় হয়েই বিএনপি হরতাল দিচ্ছে। আট দিন হয়ে গেল, ইলিয়াসের কোনো খোঁজ নেই। তাঁকে ফিরিয়ে দিলে বিএনপি কোনো কঠোর কর্মসূচি দেবে না।
বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারাও বক্তব্য দেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, সরকার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাপাচা দিতে ইলিয়াসকে গুম করেছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো বাহিনী বা এজেন্সি ইলিয়াসকে গুম করেছে। সরকার জানে ইলিয়াস কোথায় আছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে হবে। নয় তো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
সমাবেশের সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর একক কোনো শক্তি নয়। এই দলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বরেন্য রাজনীতিবিদ তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারই এই আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই। এদের আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জামায়াতের মুজিবুর রহমান, হামিদুর রহমান আযাদ প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.