একাই এক শ ড্যারিয়াস!

ওই যে কথায় বলে না, একাই এক শ। ড্যারিয়াসকে দেখলে তা-ই মনে হবে। তবে সে মানুষের ঘরে জন্ম নেওয়া কোনো পালোয়ান নয়। একটা খরগোশ। খরগোশের কথা শুনে অবশ্য অনেকের ঠোঁটের কোণে ফুটতে পারে বাঁকা হাসির রেখা।


ওমা, এক রত্তি খরগোশকে নিয়ে কত কথা, কত গপ্পো! কিন্তু ওর চেহারা-সুরত দেখলে সে হাসি উড়ে যাবে। লেজ থেকে নাকের ডগা পর্যন্ত চার ফুট চার ইঞ্চি লম্বা সে। ওজন ৫০ পাউন্ডের বেশি। কোলে নিতে যাও, জান বেরিয়ে যাবে। এমন ঢাউস খরগোশ আছে কোথাও? না, দ্বিতীয়টি নেই। এ জন্যই তো বিশ্বের সবচেয়ে বড় খরগোশ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় নাম উঠে গেছে ড্যারিয়াসের।
ইংল্যান্ডের ওরসটারের বাসিন্দা ড্যারিয়াস। ৬০ বছর বয়সী মনিব অ্যানেট এডওয়ার্ডসের বাড়িতে আছে সে। ৮ এপ্রিল তিন বছর পূর্ণ হয়েছে খরগোশটার। প্রতিদিন ১২টি করে গাজর খায় ড্যারিয়াস। আরও খায় তিনটি করে আপেল ও একটি বাঁধাকপি। সঙ্গে পছন্দসই অন্যান্য খাবার তো আছেই।
গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, খরগোশের ইতিহাসে এর আগে এত বড় খরগোশ পাওয়া যায়নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ড্যারিয়াস কিন্তু এখনো বেড়েই চলেছে। গত এক বছরে লম্বায় প্রায় এক ইঞ্চি বেড়েছে সে।
ড্যারিয়াসের মনিব অ্যানেট এডওয়ার্ডস বলেন, ‘ড্যারিয়াস বেশি বেশি খাবার খেয়ে যে এমন হয়েছে তা নয়, ওর মায়ের ধাঁচ পেয়েছে ও।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খরগোশ হিসেবে সাবেক রেকর্ডধারী অ্যালিসের ছেলে ড্যারিয়াস। গায়েগতরে এত বড় হয়েও হামবড়া ভাব নেই ড্যারিয়াসের। অন্য সব খরগোশের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করে সে। বাড়ির ছোট পোষা কুকুরটার সঙ্গেও তার বেশ ভাব। এই সুন্দর ব্যবহারের জন্য সবাই খুব আদর করে ড্যারিয়াসকে।
 শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
ডেইলি মেইল

No comments

Powered by Blogger.