বিরোধীরা সংসদে আসবেন শুনে ভালো লাগছে-সাক্ষাৎকার by মোঃ আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : সজল জাহিদ মোঃ আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোরগঞ্জের নিকলী জিসি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং ঢাকার সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।


শিক্ষাজীবন শেষে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৫ সালে সহ-সভাপতি হন। ১৯৭৮ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। সপ্তম জাতীয় সংসদে প্রথমে ডেপুটি স্পিকার এবং পরে স্পিকার নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই দায়িত্ব পালন করছেন। সমকালের সঙ্গে তিনি জাতীয় সংসদ কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেছেন
সমকাল :নবম জাতীয় সংসদের তিন বছর সংসদ কেমন চলল?
স্পিকার : ভালো-মন্দ মিলিয়েই চলেছে। অনেক কিছুই হয়নি। আবার অনেক কিছু হয়েছেও। সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে তিনটি বছর। ব্যর্থতা এই অর্থে যে, আমার যা প্রত্যাশা ছিল তার কিছু কিছু করতে পারিনি। তবে আগের যে কোনো সংসদের সঙ্গে তুলনা করলে সাফল্যের সংখ্যা মোটেই কম হবে না।
সমকাল : এমন কোনো ইস্যু কি এবার পেয়েছেন, যেটা আপনাকে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে বা অনেক বেশি মন খারাপ করে দিয়েছে?
স্পিকার : আনন্দ পাওয়া বা খারাপ লাগা দুটি বিষয়ই সংসদে ভরপুর। এ নিয়ে আসলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যাবে। আলাদা করে কিছু বলতে চাই না।
সমকাল : শপথ নেওয়ার পরপরই বলেছিলেন, বিরোধী দলকে সংখ্যা দিয়ে মূল্যায়ন করবেন না। কিন্তু বাস্তবে সেটাই ঘটছে, এমন অভিযোগ তো আমরা শুনতেই পাই। এটা কি অমূলক বলা যাবে?
স্পিকার : কেউ কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। তাদের মুখ তো আর আমি বন্ধ করে দিতে পারি না। তারা স্বাধীন রাজনৈতিক দল। যেমন খুশি বলতে পারেন। কিন্তু বিরোধীদের যে আমি সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করিনি এর প্রমাণ তারা নিজেরাই। আমি বিরোধী দলকে যতটা কথা বলার সুযোগ দিয়েছি, অতীতে সংসদে কোনো বিরোধী দল এত সুযোগ পায়নি। অষ্টম সংসদে আওয়ামী লীগ যখন ৬০ আসন নিয়ে বিরোধী দলে, সে সময়ের স্পিকার আমাদের বলেছেন, এক-পঞ্চমাংশ সময় সুযোগ দেওয়া হবে। তাহলে তো নবম সংসদে বিরোধী দলের ৩০ জনকে মোট সময়ের এক-দশমাংশ সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি সেটি বলিনি এবং বাস্তবে করিওনি।
তাদের যারা কথা বলতে চান তাদের প্রত্যেককেই সুযোগ দেওয়া হয়। তবে তারা যদি না থাকেন তাহলে কথা বলবেন কীভাবে? কথা বলতে হলে তো আগে সংসদে আসতে হবে।
সমকাল :এই সংসদের শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল ডেপুটি স্পিকারের পদ বাড়ানো হবে। সেখানে একজন মহিলা এবং একজন বিরোধীদলীয় সদস্য নেওয়ার কথাও এসেছিল। সেটি কী কারণে হলো না বলে মনে করেন?
স্পিকার :এটি একটি পলিটিক্যাল ইস্যু। সিদ্ধান্ত আসতে হবে রাজনৈতিক দলের পর্যায় থেকে। এখানে আমার অবস্থান থেকে কিছুই বলার নেই। তা ছাড়া সংবিধানে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার বিষয়ে বলা আছে। বলা নেই যে, ডেপুটি স্পিকার মহিলা হতে পারবেন না বা বিরোধী দল থেকে হতে পারবেন না। সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও কিছু বলা নেই। আর আমার অবস্থান থেকেও এ বিষয়ে কিছুই বলার নেই। সরকার এবং বিরোধী দলকেই এ বিষয়টি ঠিক করতে হবে। তারা আলোচনার মাধ্যমে এগুলো ঠিক করে নিক। আর কেন এ বিষয়টি পরিণতি লাভ করেনি সেটাও আমার জানা নেই।
সমকাল :এমন সংসদের স্বপ্ন কি দেখেন যেখানে বিরোধী দল থেকে স্পিকার নির্বাচিত হবেন? এই বাস্তবতা থেকে আমরা কতটা দূরে রয়েছি?
স্পিকার :হতেও পারে; সংসদ সদস্যরা যদি এমন যোগ্য কাউকে পেয়ে যান, যিনি সরকারি বা বিরোধী যে কোনো দল থেকেই স্পিকার হতে পারেন। আর বাস্তবতা থেকে দূরত্ব বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না। হয়তো আমরা অনেক দূরে, আবার হয়তো খুব কাছাকাছিই আছি।
সমকাল :রাজনৈতিক সংকট যেভাবে ঘনীভূত হচ্ছে, আর স্পিকার নিজেও যখন এই রাজনীতির বাইরে নন, সেখান থেকে উত্তরণে স্পিকার কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
স্পিকার :স্পিকার হিসেবে সংসদের বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে আমি ভূমিকা রাখতে পারি না। রাজনৈতিকভাবে আমি নিরপেক্ষ। আমি এখন না সরকারি দল, না বিরোধী দল। তবে সংসদের ভেতরে কিছু হলেই কেবল আমি ভূমিকা রাখতে পারি। এখানে কেউ কথা বলতে চাইলে আমি কেবল বিধি অনুসারে কথা বলার সুযোগ করে দিতে পারি। তা ছাড়া আমার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
সমকাল :তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন আলোচনায় স্পিকার কি উদ্যোগ নিতে পারেন না?
স্পিকার :এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি এই বিতর্কের অংশ হতে চাই না। সরকার-বিরোধী দল, বুদ্ধিজীবী যারা আছেন_ এসব বিষয়ে তারাই বলছেন, বলবেন। তাদের সবার কথা আমি শুনি। কথা শোনাই আমার কাজ। কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিরোধী দল চাইলে বেসরকারি বিল এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে আলোচনা করতে পারে। এমন হলে আমার আর কিছু বলার থাকবে না।
সমকাল : সব মিলে সাতটি সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচটিতে সাধারণ সদস্য আসনে থেকে কথা বলার সুযোগ পেলেও স্পিকার হওয়ার কারণে দুটিতে পাচ্ছেন না। সংসদে এসে কথা বলতে না পারলে কেমন লাগে?
স্পিকার : আমি তো জেনেশুনেই বিষপান করেছি। স্পিকার হওয়ার আগেই তো জানতাম কথা বলতে পারব না। কথা শুনতে হবে। সুতরাং ভালো-খারাপ বিবেচনার সুযোগ নেই।
সমকাল : আবারও কি সাধারণ সদস্য আসনে বসে কথা বলার জন্য প্রস্তুত আছেন?
স্পিকার : এটি এখনও অনেক দূরের আলোচনা। আবার নির্বাচন করব কি-না সেটিই এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। ভোট তো পরের কথা। আগে ওই পর্যায় পর্যন্ত আসুক তারপর না হয় কথা বলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
সমকাল : আমাদের সংসদে আলোচনার যে মান_ অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টের সঙ্গে তুলনায় আমরা কোন পর্যায়ে রয়েছি?
স্পিকার :যতটা দেখেছি তাতে আমাদের মতো যেসব দেশ, তাদের সংসদের তুলনায় আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। তবে এটাও তো মথায় রাখতে হবে যে, আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র খুব বেশি দিনের নয়।
সমকাল : একই সঙ্গে নবম সংসদের আলোচনার মানকে আগের আটটি সংসদের সঙ্গে তুলনা করতে বললে কীভাবে বলবেন?
স্পিকার : এ বিষয়ে আমার কিছু বলা কি ঠিক? আমার তো নিজের ঢোল পেটানো ঠিক হবে না। আমি তো ভালোই চালাচ্ছি। আর সংসদ সদস্যদের কথাবার্তা-আলোচনা এসবই তো আপনারা শুনছেন। মান নিয়ে বলতে গেলে যারা বাইরে থেকে দেখেন, সাংবাদিক, সুধীসমাজ, বিজ্ঞজন তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
সমকাল : এই সংসদেই স্পিকারের কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত হলো। সংসদকে সবার সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনে এটি কতটা ভূমিকা রেখেছে নাকি এটি কেবলই কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা?
স্পিকার : গত সংসদে যা হয়েছে তার তদন্ত হয়েছে। তার আগের কিছু বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হয়েছে। আমার নির্দেশ অনুসারে ১৯৭২ সালের পর থেকে সব বিষয় নিয়ে এখন অডিট হচ্ছে। আর এখন আমিও যদি কিছু করে থাকি তাহলে আগামী সংসদ এসে এ বিষয়ে তদন্ত করুক। আমার যদি অন্যায়-ভুলভ্রান্তি কিছু হয়, এটি বের করতে পারলে খারাপভাবে নেব না, এই কথা আমি দিচ্ছি। বরং আমি অভিনন্দন জানাব। কারণ আমার কিছু ভুল থাকলেও থাকতে পারে।
আমি জবাবদিহিতা করতে চাই। জবাবদিহিতায় আমি বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে যদি অন্য কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে বা আমি যদি আবার স্পিকারের আসনে বসতে না পারি অবশ্যই আমার সময়ের কার্যক্রমের তদন্ত হওয়া উচিত। আর তখন যদি তদন্তে আমার বিষয়ে কিছু বেরিয়ে আসে, কথা দিচ্ছি আইনানুসারে যা হয় মাথা পেতে নেব। কোনো উচ্চবাচ্য করব না।
সমকাল : সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানরা বারবার কমিটির ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলছেন। এ বিষয়ে স্পিকারের অফিস বা সংসদ কি কোনো উদ্যোগ নেবে? এর মাধ্যমে কি সংসদকেই আরও বেশি কার্যকর এবং ক্ষমতাসম্পন্ন করা যেত না?
স্পিকার :এটি পুরোপুরি সরকারের ওপর নির্ভর করে। কমিটির ক্ষমতা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পিকারের একেবারেই কিছু করার নেই। আমি কেবল বলতে পারি, রুলস অব প্রসিডিউর অনুসারে যারা যে ক্ষমতা পেয়েছে সেটির যেন কোনো অপব্যবহার না হয়। রুলস অব প্রসিডিউর অনুসারে তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই তারা আগে পালন করুক। এর বাইরে তারা কোনো ক্ষমতা চাইলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে পারে। তবে রুলস অব প্রসিডিউর অনুসারেও যে ক্ষমতা রয়েছে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি তাদের কেউ বাধা দেয় তাহলে অবশ্যই আমি তাদের পাশে দাঁড়াব। কিন্তু ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্পর্কে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সমকাল : নবম সংসদে এ পর্যন্ত ২৫৪ কার্যদিবসে ৮ হাজার মিনিটের চেয়েও বেশি সময় নষ্ট হয়েছে সময়মতো অধিবেশন শুরু করতে না পারার কারণে। এটি কি অনেক বেশি অপচয় নয়, যেখানে সংসদের প্রতি মিনিট সময়ের দাম ৩০ হাজার টাকা?
স্পিকার : এমন ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয়। আগের সংসদগুলোর সঙ্গে তুলনা করে কথাটা বলা প্রয়োজন। আগের যে কোনো সংসদের চেয়ে এই সংসদে বরং সময় কম অপচয় হচ্ছে বলেই আমি মনে করি। এক-আধদিন হয়তো কোনো কারণে পাঁচ-দশ মিনিট দেরিতে অধিবেশন কার্যক্রম শুরু হয়ে থাকতে পারে। এটি অত বড় করে দেখলে চলবে না।
সমকাল : কিন্তু মন্ত্রীরা তো ধারাবাহিক অনুপস্থিত থাকছেন। এমনিতেই তারা সংসদে থাকছেন না। আর প্রধানমন্ত্রী না থাকলে লাগাতার অনুপস্থিতি নজরে আসে।
স্পিকার : এ বিষয়ে আগেই আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি। চিফ হুইপকেও বলা হয়েছে মন্ত্রী-এমপি, সরকারি দল-বিরোধী দলে যারা আছেন তারা যেন নিয়মিত ঠিক সময়ে সংসদে উপস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জেনেছেন। সব সদস্য সময় মেনে সংসদে আসবেন এবং ঠিকঠাক সংসদকার্যে অংশ নেবেন এটিই কেবল আশা করি আমি। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।
সমকাল :মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তিকরণ এবং উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করার বিষয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
স্পিকার : এ ক্ষেত্রে যিনিই কথা বলবেন, তাকে সংবিধান এবং রুলস অব প্রসিডিউর সম্পর্কে জেনে কথা বলতে হবে। অনেক বুদ্ধিজীবী-পণ্ডিত ব্যক্তি বেতার ও টেলিভিশনে আমার অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তাদের যে রুলস অব প্রসিডিউর সম্পর্কে ধারণা নেই, সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত।
স্পিকার একবার কার্যসূচির মধ্যে ঢুকে গেলে কারও জন্য অপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের সীমাবদ্ধতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কেও সমালোচকদের জানতে হবে। আগে থেকে ট্রেনের টিকিটের রিজারভেশন নিয়ে সময়মতো যদি কেউ ট্রেনে না উঠতে পারে তার জন্য ট্রেনকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। কারও জন্যই ট্রেন থেমে থাকবে না। সংসদও এখানে ট্রেনের মতো। কথা বলতে হলে সময়মতো সংসদে থাকতে হবে।
বিরোধী দলও যদি এ ইস্যুতে বাইরে সমালোচনা না করে সংসদে এসে কথা বলত আমি অবশ্যই তাদের সময় দিতাম। তা ছাড়া রাশেদ খান মেনন, মঈনউদ্দিন খান বাদল বা ফজলুল আজিম সাহেবদের তো কেবল নোটিশ দিয়ে রাখলেই হবে না। কথা বলতে হলে তাদের তো সময়মতো অধিবেশন কক্ষে থাকতে হবে। টিকিট কেটে হাতে রেখে দিলেই ট্রেন কারও জন্য থেমে থাকবে না।
সমকাল : বিরোধীদলীয় সদস্যদের এবার সংসদে উপস্থিতি অন্য যে কোনো সংসদের তুলনায় অনেক কম। তাদের প্রতি আপনার আহ্বান কী?
স্পিকার : বিরোধী দলের প্রতি আমার সব সময়ের আহ্বান, সংসদে এসে কথা বলুন। নতুন বছরের শুরুর সংসদেও আমি চাইছি তারা যেন সংসদে আসেন। যতটা জানতে পেরেছি, তারা সংসদে আসবেন। শুনে ভালো লাগছে।
সমকাল : বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুপস্থিতি ১৩০ দিন পেরিয়ে গেছে। তার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন?
স্পিকার : আমি তার সদস্যপদ থাকবে নাকি চলে যাবে, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেব না। যে লোকটি গ্রেফতার আছেন, তিনি কীভাবে সংসদে আসবেন? তিনি মুক্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে হিসাব শুরু হবে।
সমকাল : পরবর্তী স্পিকারের জন্য কী পরামর্শ রেখে যাবেন বলে স্থির করেছেন?
স্পিকার : পরবর্তী স্পিকার যদি আমার কাজের মধ্যে ভালো কিছু পান তাহলে সেটিই তিনি গ্রহণ করতে পারেন। আবার নাও গ্রহণ করতে পারেন। এখানে আমার তার জন্য রেখে যাওয়ার কিছু নেই। তবে আমি চাই বাংলাদেশের সংসদ আরও অনেক এগিয়ে যাক, সেটি যে কোনো স্পিকারের হাত ধরে হলেও।
সমকাল : সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।
স্পিকার : সমকাল পাঠকদের শুভেচ্ছা।

No comments

Powered by Blogger.