দুই কোচই খুশি

স্পোর্টস রিপোর্টার: গেলো মওসুমে একঝাঁক তারকা ফুটবলার সঙ্গে বিদেশী কোচ নিয়ে ফেডারেশন কাপ শুরু করেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফলাফল ছিল ফাইনালে আবাহনীর কাছে ৫-৩ গোলের হার। মওসুমের প্রথম শিরোপা হারানোর মাশুল দিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন সার্বিয়ান কোচ ক্রাইভিচ। এবার নেই সেসব তারকা ফুটবলার। নেই বিদেশী কোচও। মাঝারি মানের ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি শেখ জামালের দায়িত্ব এখন সাইফুল বারী টিটুর হাতে। দায়িত্ব নিয়ে তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দলটি একটি ইউনিটে দাঁড় করিয়েছেন টিটু। নেপালের পোখরা গোল্ডকাপে শিরোপা জিতে তার ছাপও রেখেছিলেন টিটু। এবার ঘরোয়া ফুটবলে  সেরা সেরা ক্লাবকে পেছনে ফেলে ফেডারেশন কাপের শিরোপা তুলে নিয়েছে তারা। গতকাল ফাইনালে টিম বিজেএমসিকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গতকাল টিম বিজেএমসিকে হারিয়ে উল্লসিত টিটু জানান, এই ম্যাচে আমার ফুটবলাররা ক্লান্ত ছিল। তাই প্রথমার্ধে দৌড়ে পারছিল না ওদের সঙ্গে। বিরতিতে একটা কথাই বলেছি, তোমরা যদি গতিতে না পারো, তবে এই ম্যাচে ওখানেই হেরে যাবো। এ কথাটায় ওরা উজ্জীবিত হয়ে খেলেছে দ্বিতীয়ার্ধে। শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করেছে। এ কারণেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে গেছি। সেট পিছ থেকে পাওয়া গোলটাই টার্নিং পয়েন্ট। একগোল পাওয়ার পরে একটু হিসেবী ফুটবল শুরু করে আমার দল। শেষদিকে বিজেএমসি’র মিডফিল্ড থেকে ইকাঙ্গা অ্যাটাকে চলে যাওয়ায় ফেমিকে বসিয়ে দীর্ঘদেহী ভাসানীকে নামিয়েছিলাম। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে কেস্টার গোল পেলে আমরা নিশ্চিন্ত হই।
এদিকে শেখ জামালের কাছে হেরে মোটেও  অতৃপ্ত নন বিজেএমসির কোচ জাকারিয়া বাবু। ‘পুরো ম্যাচ ডমিনেট করেছি, সুযোগও অনেক পেয়েছি। কিন্তু প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি বলে হেরেছি। সোজা কথা ভাগ্য আজ আমাদের সহায় ছিল না বললেন- বাবু। বাবুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন দলটির অধিনায়ক বর্ষীয়ান আলফাজ আহমেদ। ‘ভাগ্যটাই মূল বিষয়। আজকে আমরা ভাগ্যের কাছে হেরে গেছি’। ফাইনালে চাপাছিল না বলেই জানান এই ফুটবলার। ‘ফাইনাল বলে কোন চাপ ছিল না। কারণ এই দলের প্রত্যেকেরই ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বললেন আবাহনী থেকে বিজেএমসিতে নাম লেখানো এই ফুটবলার।

No comments

Powered by Blogger.