নালায় নবজাতকের লাশ!

রিবারিক অভাবের তাড়নায় কিংবা বাড়তি অর্থের লোভে বাধ্য হয়ে অনেক অসহায় নারী নিজের সম্ভ্রম বিক্রি করেন। কেউবা আবার বাধ্য হয়ে আসেন পতিতাবৃত্তিতে। গ্রাম কিংবা শহরের অনেক নাম না জানা স্থানে এদের অবাধ বিচরণ। আর সেখানে যাতায়াত করে মানুষ নামধারী কিছু নরপিশাচ।

আবার প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনেক নারী প্রতারিত হন প্রেমিকের দ্বারা। অনেক ক্ষেত্রেই তখন আর সমাজে মুখ দেখানোর উপায় থাকে না তাদের।

লোকলজ্জার ভয়ে মাতৃগর্ভেই হত্যা করা হয় নিষ্পাপ শিশুকে। আবার কথনওবা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীর আলো থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নবজাতককে। আলো দেখতে দেয়া হয় না তাকে পৃথিবীর। কারণ পাপের বোঝা কেউই মাথায় নিতে চায় না।

অথচ নিস্পাশ হয়েই জন্ম নিয়েছিল শিশুটি। এ দায় কে নেবে?

এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে সমাজে। তবুও সমাজপতিদের মাথা ব্যথা নেই নির্মম এসব ঘটনা নিয়ে।

এনই ঘটনা ঘটল বুধবার বিকেলে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালের পাশে। সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া একটি নবজাতকে ফেলে রাখা হয়েছে নালার মধ্যে।

শিশুটির লাশ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। তবে আইনি জটিলতার ভয়ে কেউই শিশুটির লাশ তুলছেন না। শিশুটি পড়ে আছে নালার নোংরা পানিতে।

স্থানীয় বাস শ্রমিকরা জানান, দুপুর থেকে নবজাতকের লাশ নালায় পড়ে রয়েছে। হয়তো রাতের আঁধারে কেউ ফেলে রেখে গেছে শিশুটিকে।

বাস যাত্রী মনজু বলেন, হয়তো কোনো হতভাগ্য মা লোক-লজ্জার ভয়ে ইচ্ছে করেই ফেলে রেখে গেছে শিশুটির লাশ।

স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান বলেন, কে দাফন করবে লাশটি। হয়তো শেষ পর্যন্ত বেওয়ারিশভাবেই দাফন সম্পন্ন হবে।

ভোলা থানার ওসি মোবাশ্বের আলী বাংলানিউজকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকত হোসেন বলেন, প্রশাসন হস্তান্তর করলে আমরা দাফনের কাজ সম্পন্ন করবো।

No comments

Powered by Blogger.