বুড়িগঙ্গায় পড়া ১৩৮টি বর্জ্য নির্গমন পথ বন্ধের সুপারিশ

বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়া ঢাকা শহরের ১৩৮টি বর্জ্য নির্গমন পথ বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি। গতকাল সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য বীরেন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে ১৩৮টি মুখ দিয়ে ঢাকা শহরের হাজারীবাগের ও অন্যান্য এলাকার কলকারখানার বর্জ্য বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ছে, যে কারণে নদীতে পানিদূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।


কমিটি নদীর পানিদূষণ রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার এসব নির্গমন পথ বন্ধ করে বিকল্প বর্জ্য নির্গমনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।’ এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদে চলমান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।
বীরেন শিকদার জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এমন প্রচুর মালামাল পড়ে আছে, যা মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে নিচ্ছেন না। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যেসব মালামাল পড়ে আছে, আইনগতভাবে সেগুলোর মালিক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাই কমিটি ছয় মাসের মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা মালামাল নিলামে তোলার সুপারিশ করেছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন বন্দরগুলোয় অটোমেশন কার্যক্রম চালু এবং মোটিভেশন কার্যক্রম জোরদারের সুপারিশও করা হয়।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একসময় সারা দেশে নৌযান চলার উপযোগী নদীপথের দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ হাজার কিলোমিটার। এখন তা কমে এসে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। কমিটি নৌপথের দৈর্ঘ্য বাড়াতে নদীগুলোতে সারা বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিং চালু রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।

No comments

Powered by Blogger.