জায়গা বুঝে ঘর সাজাই by মারুফ ইসলাম

ন্দরসজ্জা নিয়ে শহুরে মধ্যবিত্ত যে বেশ ঝামেলাতেই আছে, সে কথা আর দিব্যি দিয়ে না বললেও চলে। কারণটাও জানা, অ্যাপার্টমেন্টগুলোর স্বল্পায়তন। তাই দু-চারটি আসবাব রাখার পরই মনে হয়, ঘরে আর পা ফেলার জায়গা নেই। এ বিপদ এড়াতে এখন অনেকেই অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞকে ডেকে আনছেন ঘর সাজানোর জন্য।


কিন্তু যাঁর সেই সময় কিংবা সামর্থ্য নেই, তাঁর কী হবে? তাঁর ঘর কি অগোছালোই থাকবে? না, ঘটে বুদ্ধি থাকলে তিনিও স্বল্পায়তনের ঘরটা সাজাতে পারেন নানান আসবাব দিয়ে। এ বিষয়েই কথা হচ্ছিল অটবির চিফ ভিজ্যুয়াল মার্চেন্ডাইজিং অফিসার ম্যারি প্যাট্রিসিয়া এফ রিয়েসের সঙ্গে। ‘আমাদের একটি অতি পুরোনো ধারণা যে, এক ঘরে বিভিন্ন ধরনের আসবাব রাখলে ঘরে জটলা তৈরি হয়। এ ধারণা আসলে ভুল। আপনি একই ঘরের একটা পাশ ব্যবহার করতে পারেন ড্রয়িং রুম আর অন্য পাশটা ডাইনিং রুম হিসেবে। এতে এক ঘরে দুই ধরনের আসবাব রাখতে হবে বটে, তবে তা মোটেও জটলা তৈরি করবে না।’ বলছিলেন ম্যারি প্যাট্রিসিয়া। সুতরাং শোবার ঘরের এক কোনায় পড়ার টেবিল থাকলে ক্ষতি কী! ক্ষতি নেই তার পাশে একটি বুকশেলফ থাকলেও। একটি ঘরই তখন প্রয়োজন মেটাবে শোবার ঘর ও পড়ার ঘরের। একইভাবে রান্নাঘরের একটা পাশ পর্দা দিয়ে আড়াল করে বানাতে পারেন খাবার ঘর।তাতে আপনার বুদ্ধিমত্তাই প্রকাশ পাবে দারুণভাবে। তবে এসবের পাশাপাশি ঘরের দেয়ালের রংও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন এই অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ।
রঙের বৈচিত্র্য মানুষের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে বিস্তর। তাই শোবার ঘরটা হোক সবুজ, তাতে মনে আসবে প্রশান্তি। বসার ঘরের হলুদ রং মনে ফুর্তি ধরে রাখবে সারাক্ষণ। আর খাবার ঘরটা কমলা রঙের হলেই ভালো’—পরামর্শ ম্যারি প্যাট্রিসিয়ার। এসব রঙের বিপরীতে যেকোনো আসবাব রাখলে তা নান্দনিক হয়ে উঠতে বাধ্য।
‘এই ভাবনা থেকেই অটবি তার প্রতিটি শোরুমে রাখছে অন্দরসজ্জার প্রদর্শনী। আপনার ঘরটি ৬০০, ৮০০ কিংবা ১২০০ বর্গফুটের—যেমন আয়তনেরই হোক না কেন, তা কীভাবে আসবাব দিয়ে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো যায়, তা দেখে যেতে পারেন অটবির যেকোনো শাখা থেকে। তারপর নিজেই সাজাতে পারবেন নিজের ঘর।’ বললেন অটবির পরিচালক সোহানা নূর।

No comments

Powered by Blogger.