বিইআইয়ের সম্মেলনে মজিনা-বাংলাদেশকে উদারপন্থী হিসেবে এগিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, ধর্মীয় মৌলবাদের বিপরীতে বাংলাদেশকে একটি উদারপন্থী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার ধর্মীয় মৌলবাদ দমনবিষয়ক এক আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।


মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল মিলিটারি রিলেশন্সের (সিসিএমআর) সহায়তায় বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে এ সম্মেলন হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসবাদ আজ শুধু কারও একার সমস্যা নয়। এককভাবে প্রতিটি দেশ আর সম্মিলিতভাবে উদারপন্থী, সহনশীল, সমৃদ্ধ ও অবাধ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব দেশ কাজ করছে, তাদের সবার অভিন্ন শত্রু সন্ত্রাসবাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন এমন সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি, তখন সমাজের একটি অংশ সহিংসতার মাধ্যমে তাদের উগ্রবাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের স্বপ্ন ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অবাধ, মুক্ত ও সহনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের নিজেদেরই স্বপ্নটা রক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রসঙ্গে মজিনা বলেন, ‘অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য ধর্মীয় মৌলবাদের বিপরীতে একটি উদারপন্থী, সহনশীল, অবাধ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া। এ লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করছে। এ জন্য আমরা চলতি বছর ১৮০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহযোগিতা বাংলাদেশকে দিয়েছি। এভাবে অংশীদারি বাস্তবায়িত হলে ঘৃণা ও হানাহানির আদর্শে বিশ্বাসীদের বিচরণের জন্য কোনো ঠাঁই হবে না বাংলাদেশে। ধর্মীয় মৌলবাদী আদর্শ প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাফল্য মানুষকে আশাবাদী করে তুলতে পারে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো আত্মগোপন করে অহিংস উপায়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। সরকারকে বিপদে ফেলতে এসব সংগঠন দেশে দুর্যোগের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদসহ সব ধরনের সহিংস তৎপরতা মোকাবিলায় এ অঞ্চলে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে যোগাযোগ কর্মকৌশল নির্ধারণ।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন বিইআইয়ের সভাপতি ফারুক সোবহান ও সিসিএমআরের কর্মসূচি সমন্বয়ক পল ক্লার্ক।

No comments

Powered by Blogger.