খুলনায় ১০ গম্বুজ মসজিদের প্রাচীন স্থাপনার সন্ধান

দুই সপ্তাহ পরীক্ষামূলক খননের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার ফুলতলা উপজেলার পায়গ্রাম-কসবা গ্রামে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) নির্মিত ১০ গম্বুজ মসজিদের প্রাচীন স্থাপনার সন্ধান পেয়েছে খুলনা আঞ্চলিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। ৭ ডিসেম্বর প্রাচীন স্থাপনা উদ্ধারের লক্ষ্যে মাটির নিচে পরীক্ষামূলক খনন কাজ শুরু হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক শিহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর জানান, ১৫ দিনের চেষ্টায় তারা ৫০


দশমিক ৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ ফুট প্রস্থ জায়গা পরীক্ষামূলক খনন শেষে ১০ গম্বুজ মসজিদের ভিত্তি গাঁথুনি উন্মোচিত করতে পেরেছেন। এ ছাড়া এখানে চারটি পিলারের বেস এবং দেওয়ালের পুরুত্ব পাওয়া গেছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ জমসের আহাম্মদ খন্দকারের উপস্থিতিতে তারা খননকাজ সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, সুলতানি আমলে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) কর্তৃক নির্মিত এ প্রাচীন স্থাপনা সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য আগামী সপ্তাহে তিনি সংশ্লিষ্ট অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানাবেন।
আঞ্চলিক পরিচালক জানান, তার নেতৃত্বে সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী খননকাজে অংশ নিয়েছেন। ইতিহাস থেকে তারা জানতে পেরেছেন পঞ্চদশ শতকে তুরস্ক থেকে শ্রীলংকা হয়ে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) বাংলাদেশের দক্ষিণে গিয়ে পেঁৗছান। তিনি বাগেরহাটে খলিফাতাবাদ শহর এবং খুলনার ফুলতলা উপজেলায় আরেকটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন।
পায়গ্রাম-কসবা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, অনেক আগে এখানে মাটির ঢিবি ছিল। ঢিবির ওপর টিনশেড ও দেওয়ালের কাঁচা-পাকা মসজিদ ছিল। পরে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। তারা জানান, মসজিদটির নাম হজরত খানজাহান আলী (রহ.) নামে নামকরণ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে মসজিদ কমিটি পুরনো মসজিদটি ভেঙে সেখানে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনতা মাটি খনন শুরু করলে প্রায় ৪-৫ ফুট মাটির নিচে প্রাচীন মসজিদ বা দরবার হলের অংশবিশেষের সন্ধান পায়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে মাটি খনন ও মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.