বাগদাদে পৃথক বোমা হামলায় নিহত ৫৭


রাকের রাজধানী বাগদাদে গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক ১০টি স্থানে বোমা হামলায় অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং প্রধানমন্ত্রীর জোট ভেঙে দেওয়ার হুমকিতে সৃষ্ট চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই এসব হামলার ঘটনা ঘটল। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার কয়েক দিন পর বেশ কয়েকটি সমন্বিত বিস্ফোরণ ও দিয়ালা প্রদেশে একই


পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছে। এসব সহিংস ঘটনায় দেশটির দুর্বল রাজনৈতিক চুক্তি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
কর্মকর্তারা জানান, বাগদাদের আলাওয়ি, বাব আল-মুয়াথাম, কারাদা, আদহামিয়া, শুলা, শাব, জাদরিয়াহ, গজালিয়াহ, আল-আমিল ও দুরা এলাকায় ওই হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, চার মাসের মধ্যে বাগদাদে গতকালের হামলাগুলো ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। এসব হামলার অধিকাংশই সকালের কর্মব্যস্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিস্ফোরণস্থলগুলোকে ঘিরে রেখেছে। গত ১৫ আগস্ট ইরাকের ১৭টি শহরে হামলায় ৭৪ জন নিহত ও আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াদ তারিক বলেন, ১০টি হামলার ঘটনায় অন্তত ৫৭ জন নিহত ও আরও ১৭৬ জন আহত হয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সেসব হামলায় ৬৩ জন নিহত ও আরও ১৮৫ জন আহত হয়েছে।
বাগদাদের নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র মেজর জেনারেল কাসিম আতা বলেন, ‘আক্রমণকারীরা কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানস্থলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেনি। শিশুদের বিদ্যালয়, দিনমজুর ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাকে তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।’ তিনি আরও বলেন, বাগদাদজুড়ে কারা এসব হামলা চালিয়েছে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ভোরে দিয়ালা প্রদেশের বাকুবায় দুর্বৃত্তরা একই পরিবারের পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মা-বাবা ও তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এদের মধ্যে বাবা ও ছেলে আল-কায়েদাবিরোধী মিলিশিয়া গোষ্ঠী সাহওয়ার সদস্য ছিলেন। সহিংসতা প্রতিরোধে এ গোষ্ঠীটি ২০০৬ সাল থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছে।
গত সোমবার সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল-হাশেমির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় দেশটির রাজনীতিকেরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। অবশ্য হাশেমি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি কুর্দি কর্তৃপক্ষকে সুন্নি আরব নেতা হাশেমিকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কুর্দি অঞ্চলে আত্মগোপন করে আছেন। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.