ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গিলানি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে। এমনকি তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হতে পারেন—এ আশঙ্কাও ব্যক্ত করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে এক সমাবেশে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আমরা ক্ষমতায় থাকি আর না


থাকি, এ দেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’ গিলানি এমন এক সময় এসব কথা বললেন, যখন গোপন স্মারকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আবারও বসে। অবশ্য পরে আজ শুক্রবার পর্যন্ত কোর্ট মুলতবি করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গত মে মাসে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সংকুচিত করতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির এক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
৬ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য দুবাই যান জারদারি। তাঁর অনুপস্থিতিতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, অসুস্থতাজনিত কারণে জারদারিকে চাপের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে। দুই সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে গত সোমবার দেশে ফেরেন জারদারি। কিন্তু তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ওই গুজব এখনো রয়েই গেছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলসস পার্টি (পিপিপি) জয়লাভের পর থেকে গিলানি ও জারদারির বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই বিরোধীরা এ সরকারের পতনের দাবি জানিয়ে আসছে।
আগামী ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, আগামী বছরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ এ পর্যন্ত দেশটির কোনো নির্বাচিত সরকারই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে কয়েক দিন আগে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
এ ক্ষেত্রে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেনা শাসকেরা অন্তত চারবার ক্ষমতা দখল করে।
তবে এ রকম কিছু হবে না ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এই বাহিনী সংবিধান অনুসরণ করে চলবে। তারা সরকারের অধীনে রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.