আওয়ামী লীগ নেতারা জেলা পরিষদে প্রশাসক হচ্ছেন by শাহেদ চৌধুরী

ক্ষমতার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগক্ষণে আদি ও আসল নেতাদের মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। এ ক্ষেত্রে তাদের জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে আওয়ামী লীগের ত্যাগী
নেতাদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সিদ্ধান্তে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শনিবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের তিনজন সমকালকে জানান, জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু এবং শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করা হবে। বর্তমানে এ আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সংশোধনীতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান বহাল রাখা হচ্ছে।
বিদ্যমান জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ৮২ ধারায় বলা আছে, এ আইনে যা কিছু থাকুক না কেন জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার জেলা পরিষদে একজন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।
সংশোধিত আইনেও এ ধারাটি হুবহু বহাল রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ সরকার যে কাউকে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নিয়োগ দিতে পারবে।
আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে বলা হয়েছে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌরসভা মেয়রসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগের সুযোগ পাবেন না। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের বেলায় মনোনয়নবঞ্চিত নেতা এবং রাজনৈতিক বিবেচনার পাশাপাশি যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সবার আগে আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিবেচনায় আনা হবে। সেই ক্ষেত্রে যেসব সাংগঠনিক জেলায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন, তারা প্রাধান্য পাবেন। কোনো জেলার সভাপতি নির্বাচিত সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা পৌরসভার মেয়র হয়ে থাকলে সাধারণ সম্পাদকই হবেন জেলা পরিষদ প্রশাসক।
আবার কোনো সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকলে জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রাধান্য পাবেন। সহ-সভাপতি না থাকলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ সাংগঠনিক পদানুক্রম বিবেচনায় আনা হবে। তবে সভাপতিদের মধ্যে কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে সাধারণ সম্পাদক প্রাধান্য পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদে প্রশাসক পদে নিয়োগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন। গত ২৩ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরে যাওয়ার আগে এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় তিনি জেলা পরিষদে প্রশাসক পদে সম্ভাব্যদের তালিকা তৈরিরও তাগিদ দিয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে ৬৪টি জেলায় সম্ভাব্য প্রশাসক হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে, এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ৪৯টি জেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ১৫টি বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। রোববার এ খবর জানাজানির পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছেন। অনেকে তদবিরের জন্য ঢাকায় ছুটেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান খান শাহজাহানের নাম সম্ভাব্য তালিকায় থাকলেও তিনি অসুস্থ। তার জায়গায় বিকল্প হিসেবে জেলার সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুকের নাম রয়েছে। জামালপুর জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীর নাম আলোচনায় এসেছে।
শেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দন পাল সম্ভাব্যের তালিকায় রয়েছেন। এ জেলার সভাপতি আতিউর রহমান আতিক এমপি। ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি হওয়ায় জেলা সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারের সম্ভাবনা বেড়েছে। নেত্রকোনা জেলা সভাপতি মতিয়ার রহমান খান মোটামুটি নিশ্চিত।
কিশোরগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামের নামও রয়েছে সম্ভাব্য তালিকায়। তিনি এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচা। মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন ও মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বেশ এগিয়ে আছেন। ঢাকা জেলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গাজীপুর জেলা সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি এবং অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বাদ পড়ছেন। এ ক্ষেত্রে ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামানের নাম আলোচনায় রয়েছে। নরসিংদী জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান নিশ্চিত। নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক এসএম আকরাম পদত্যাগ করায় যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলামের নাম আলোচনায় এলেও সিদ্ধান্ত হয়নি। মফিজুল ইসলাম শয্যাশায়ী।
রাজবাড়ী সভাপতি জিল্লুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী এমপি। এ ক্ষেত্রে সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ রফিকুচ্ছ সালেহীনের নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা সভাপতি কাজী জায়নুল আবেদীন, গোপালগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বাটু এবং মাদারীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার অবস্থান বেশ সংহত। শরীয়তপুর জেলা সভাপতি আবদুর রব মুন্সী মেয়র হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে বিকল্প হয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহারুল হক প্রধান দু'জনই এমপি। তাদের বিকল্প হিসেবে জেলা সহ-সভাপতি মনিরুল কাদেরের নাম থাকলেও ভিন্ন প্রস্তাবনা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন পানিসম্পদমন্ত্রী। এ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী রয়েছেন সম্ভাব্যের তালিকায়।
দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইমাম চৌধুরী শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। এ কারণে জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আহসান লালের নামও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। নীলফামারী জেলা সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ মেয়র। তাই জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল ইসলাম বেশ নিরাপদে রয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা সভাপতি মোতাহার হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তার বিকল্প হয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। রংপুর জেলা সভাপতি আবুল মনসুর আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আ আমিন ও গাইবান্ধা জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামসুল আলম হিরু অনেকটাই নিশ্চিত।
জয়পুরহাট জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল আলম দুদুর নাম রয়েছে। তবে এ নিয়ে তিনি তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে তিনি তার জায়গায় জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম সোলায়মান আলীর নাম প্রস্তাব করেছেন। দুদু আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন।
বগুড়া জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ও নওগাঁ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী বেশ এগিয়ে আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এনামুল হক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে জেলা সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মণ্ডল মোটামুটি নিশ্চিত।
রাজশাহী জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, নাটোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান ও সিরাজগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থান বেশ সংহত। পাবনা জেলা সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ এমপি। জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে জেলা সহ-সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নুর নাম প্রাধান্য পেলেও পানজাব বিশ্বাসের নামও রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিয়া জান আলী মোটামুটি নিশ্চিত। এ জেলার সভাপতি জয়নাল আবেদীন এমপি। কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী রয়েছেন সম্ভাব্যের তালিকায়। এ জেলার সভাপতি রশীদুজ্জামান দুদু এমপি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ারদার ছেলুন এমপি। জেলা সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ক্ষেত্রে মির্জা সুলতান রাজা, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের নাম রয়েছে সম্ভাব্যের তালিকায়।
ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি আবদুল হাই এমপি হওয়ায় জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের ভাগ্য খুলেছে। তিনি আছেন সম্ভাব্যের তালিকায়। যশোর জেলা সভাপতি আলী রেজা রাজু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও তার অবস্থান বেশ সংহত।
মাগুরা জেলা সভাপতি আলতাফ হোসেন মেয়র এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সিরাজুল আকবর এমপি হওয়ায় দু'জনের কেউই সুযোগ পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে শফিকুজ্জামান বাচ্চু এবং সৈয়দ শরিফুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে। নড়াইল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস এগিয়ে আছেন।
বাগেরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকুর সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। এ জেলার সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি। খুলনা জেলা সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদের অবস্থান বেশ সংহত। সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় জেলা সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদের নাম আলোচনায় এসেছে।
বরগুনা জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর বেশ এগিয়ে আছেন। এ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি। পটুয়াখালী জেলার সাধারণ সম্পাদক খান মোশাররফ হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। এ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলুও শতভাগ নিশ্চিত। এ জেলার সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু উপজেলা চেয়ারম্যান। বরিশাল জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান এবং পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকরাম হোসেন অ্যাডভোকেট নিরাপদে রয়েছেন। ঝালকাঠি জেলা সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলমের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল।
সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মতিউর রহমান এমপি হওয়ায় জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট আলোচনায় এসেছেন। সিলেট জেলা সভাপতি আবদুজ জহুর চৌধুরী সুফিয়ান অনেকটা নিশ্চিত। মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ চিফ হুইপ হওয়ায় জেলা সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদের ভাগ্য খুলেছে। হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এমদাদুল বারী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) জহিরুল হক খান বীরপ্রতীক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থাকায় এ জেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
চাঁদপুর জেলা সভাপতি ড. শামসুল হক ভূঁইয়া এগিয়ে থাকলেও সাংবাদিক শফিকুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে। নোয়াখালীর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি হওয়ায় বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলা সহ_সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন লাতু ও বেগমগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ডা. এবিএম জাফর উল্লাহর নাম বিবেচনায় রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা সভাপতি এম আলাউদ্দিন এগিয়ে থাকলেও জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কামাল তার শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে আছেন। ফেনী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহমেদ চৌধুরী নিশ্চিত অবস্থানে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম অথবা দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন আহমদের মধ্যে একজন প্রশাসক হবেন। উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আকতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপি।
কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহম্মদ হোছাইন এগিয়ে আছেন। খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি হওয়ায় তার জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম।
রাঙামাটি জেলার সভাপতি দীপংকর তালুকদার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। এ কারণে জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সম্ভাব্যের তালিকায় রয়েছেন। বান্দরবানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা।

No comments

Powered by Blogger.