মুমূর্ষু রোগীর দ্রুত চিকিৎসা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা এড়িয়ে দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রয়াত অধ্যাপক মৃদুলকান্তি চক্রবর্তীর পরিবারকে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ ল্যাবএইডের প্রতি দেওয়া একটি রুলের শুনানি শেষে গতকাল রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।


গত ১৫ আগস্ট ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক মৃদুলকান্তি মারা যান। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হলে পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃদুলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দেয়। রায়ে আদালত মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালের প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশ জারি করতে বলেছেন। কেউ চিকিৎসায় অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি তদারকি করতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত। শুনানি শেষে আদালত বলেন, এ মামলাটিকে আমরা কন্টিনিউয়িং মেন্ডামাস (চলমান) হিসেবে রেখে দেব।
মৃদুলকান্তির মৃত্যুর পরে একটি মানবাধিকার সংগঠন ল্যাবএইড হাসপাতালের বিরুদ্ধে ১৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাতে মৃদুলকান্তির চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না_ তা জানতে চাওয়া হয়। পরদিন ১৮ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃদুলকান্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দেয়। আদালতে ল্যাবএইডের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আনিসুল হক এবং রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

No comments

Powered by Blogger.