ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদ ডা. মিলনকে স্মরণ-বিচার দেখে যেতে চান মা

ফুলেল শ্রদ্ধাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২১তম শাহাদাতবার্ষিকী। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের শেষভাগে ২৭ নভেম্বর ডা. মিলনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়কদ্বীপের কাছে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।গতকাল রবিবার দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধি এবং ঢাকা


বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়কদ্বীপের কাছে মিলন স্মৃতিস্তম্ভে ভিড় করেন মিলনের সহযোদ্ধা, সতীর্থসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা উভয় স্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া তাঁর সমাধি প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই চলে দোয়া পাঠ।
সকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে দলের নেতারা শহীদ মিলনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, এম এ আজিজ, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. মিলন সংসদের পক্ষে শহীদ মিলনের মা সেলিনা আখতার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তখন মিলনের ছোট ভাই শাহ আলম খান ও বোন স্বপ্না, ডা. মিলন সংসদের সম্পাদক ডা. আবদুল হানিফ টাবলু, ডা. মুকুট, ডা. কামরান হাসান জায়গীরদার উপস্থিত ছিলেন। ডা. মিলনের মা সেলিনা আখতার বলেন, মিলন যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়ে গেছে তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ছেলে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিচার না হলে মিলনের আত্মা শান্তি পাবে না।
এ ছাড়া ডা. আনোয়ার কামাল সাদি ও অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ চিকিৎসক পরিষদ, অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজের নেতৃত্বে ড্যাবের পক্ষ থেকে ডা. মিলনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.