রিয়ালের জয় বার্সার হার

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ঠিক রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না বার্সেলোনার। শুধু তাই নয়, জোড়া গোল করে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের রোনালদোর সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে থাকতে বার্সেলোনার মেসির সামনেও গোলের বিকল্প ছিল না; কিন্তু কোনোটাই হয়নি। বার্সেলোনা জয় পায়নি, মেসিও গোল পাননি। ফলে স্প্যানিশ লীগে ১৩ ম্যাচ শেষ হতে না হতেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনা ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল। আর গোলসংখ্যায়


মেসিকেও পেছনে ফেলে দিলেন রোনালদো। শনিবার রাতে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গেতাফের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। এর ফলে এ মৌসুমে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো বার্সেলোনাকে। একই রাতে এ ম্যাচের আগে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পরও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পর্তুগিজ স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জোড়া গোল করেছেন, দুটোই পেনাল্টি থেকে। রিয়ালের হয়ে অন্য দুটো গোল করেন দুই আর্জেন্টাইন গঞ্জালো হিগুয়াইন ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। এ ম্যাচে ছিল কার্ডের ছড়াছড়ি। গোলরক্ষকসহ অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের দু'জন পেয়েছেন লাল কার্ড। আর হলুদ কার্ড দেখা তাদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল পাঁচ। এ জয়ের ফলে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ শীর্ষ অবস্থানটা একটু হলেও নিরাপদ করেছে। অন্যদিকে বার্সেলোনা ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
রোনালদোর জোড়া গোল
বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের জন্য কঠিন এক প্রতিপক্ষ। বার্নাব্যুর ম্যাচ মানেই অ্যাথলেটিকোর তিক্ত স্মৃতি। গত ১২ বছরই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিতে হয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে। এবার সেটার ব্যতিক্রম হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। চমৎকার এক আক্রমণের ফসল হিসেবে ১৫ মিনিটে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এগিয়ে গিয়েছিল। অড্রিয়ান লোপেজ করেছিলেন গোলটি। ডিয়াগোর পাস থেকে রিয়ালের অফসাইড ফাঁদকে ফাঁকি দিয়ে গোলটি করেন তিনি। লোপেজের গোলের সুবাদে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এগিয়ে গেলেও ম্যাচের ফল যে কী হতে পারে, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে। ২৪ মিনিটে করিম বেঞ্জেমার পা থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় গোলরক্ষক থিবাট কোর্টোইসের অবৈধ বাধায় বেঞ্জেমা পড়ে যান। রেফারির সঙ্গে সঙ্গে কোর্টোইসকে লাল কার্ড দেখান। পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোল করে সমতা ফেরান। একজন বেশি নিয়ে খেলেও এ অর্ধে আর গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হঠাৎ করে পাওয়া সুযোগ থেকে দলকে এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ৬৫ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় গঞ্জালো হিগুয়াইন গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন। অ্যাথলেটিকোর জন্য ম্যাচে আরও একটা দুঃসংবাদ বয়ে আনেন রেফারি। এবার দিয়াগো গোডিন বহিষ্কার হন। হিগুয়াইনকে অবৈধভাবে বাধা দেন তিনি। এবারও পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনালদো।
গেতাফে পা কাটল বার্সার
বার্সেলোনার জন্য এবারের মৌসুমটা আগের মতো মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। সে অস্বস্তিটা গেতাফের মাঠে এবার আরও বিব্রতকর হলো। হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো। ৬৭ মিনিটে বার্সেলোনার হৃদয় ভেঙে দেওয়ার কাজটি করেন হুয়ান ভালেরা। কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন তিনি। যদিও সমতা ফেরার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল; কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। ৯০ মিনিটে লিওনেল মেসির গোল অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়। ইনজুরি সময়ে মেসির আরও একটা শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

No comments

Powered by Blogger.