চিঠিপত্র-নাগরিক নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ভাবনা

ণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে সফল করে। সাধারণ জনগণের সমর্থন পেয়ে সরকার গঠিত হয় এবং জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির প্রতি তারা সচেষ্ট হয়। সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে ব্যর্থ বলে গণ্য হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো তাদের সামর্থ্য ও চেষ্টা অনুযায়ী উন্নতি সাধনে চেষ্টা করলেও সফল হতে পারছে না মূলত


দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে। অনুন্নয়নশীল দেশগুলো মূলত প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই তাদের প্রাপ্য অবস্থান থেকে অনেক দূরে। বাংলাদেশ এর অন্যতম উদাহরণ। বর্তমান সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকেই অনেক বিষয়ে সফলতার ছোঁয়া পেলেও প্রশাসন ও দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় আশানুরূপ ফল পায়নি। প্রশাসনের জনবল পর্যাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তা অপরাধ দমনে কার্যকরী না হওয়ায় মূলত তা প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ এমনভাবে বেড়ে চলেছে, যার নজির আমরা সংবাদমাধ্যমগুলো প্রত্যক্ষ করলেই অনুধাবন করতে পারি। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও প্রশাসনের কেন্দ্রীয় চালকরা একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে ক্ষমতা ও পদে টিকে থাকার চেষ্টা করছে এবং থাকছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলেও সরকারের আদরপুষ্ট হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় পদত্যাগের দাবি কিছু জনসাধারণ জানালেও চেষ্টা সফল হয়নি। কিন্তু প্রশাসন চালকদের ভুলে গেলে চলবে না যে সমর্থন পেয়ে তারা বর্তমান আসনে সেই অসমর্থনের কারণেই তাদের পতন যে নিশ্চিত, তা অনিবার্য। সাময়িক স্বার্থ ও অজুহাত না দেখিয়ে কঠোরভাবে অন্যায়, সন্ত্রাসীমূলক কার্যকলাপ ও অবিচার দমন করতে পারলেই জনগণের আস্থা ও সমর্থন ধরে রাখা সম্ভব।
মোঃ ফিরোজ সোহাগ
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পোস্টার রাজনীতি
পোস্টার লাগানোর রেওয়াজটা বহুকাল ধরেই চলে আসছে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষ যাদের কথা সমাজপতিদের কান পর্যন্ত পেঁৗছে না তারাই দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে দাবি-দাওয়ার কথাগুলো জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে পরবর্তী সময় এই পোস্টার রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। সাদা-কালো রঙের পোস্টারগুলো দেখে তখন অনেকের মন আন্দোলিত হতো। এখন সময় পাল্টেছে। রাজীতিবিদরা যেমন শৌখিন হয়েছেন, তেমনি সাদা-কালোর জায়গা দখল করেছে চার রঙের রঙিন পোস্টার। রাস্তায় বেরোলে আজকাল প্রায়ই দেখা যায় ওয়ার্ড বা থানা পর্যায়ের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী ধরা পড়লে তার ছবিসহ ধরে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত কিংবা কোনো মন্ত্রী বা সাংসদের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ার মুহূর্তটিকে পোস্টারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর জন্য স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতা, বেতনভুক্ত চিত্রগ্রাহকও রাখছেন। এ ছাড়াও পোস্টারে মাথার ঠিক উপরের দিকে বর্তমান দলপ্রধান, আগের দলপ্রধান এবং উত্তরসূরির ছবিও দেওয়া হয়। বিষয়টি যে পদলেহন পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এভাবে পোস্টার রাজনীতি আর কতদিন চলবে?
বোরহান বিশ্বাস
খিলগাঁও, ঢাকা
শিক্ষামন্ত্রীর দৃৃষ্টি আকর্ষণ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। তারই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও সহকারী লাইব্রেরিয়ান/গ্রন্থাগারিক নামে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়, যার নিয়োগ কার্যক্রমও শুরু করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েক মাস হলো সহকারী লাইব্রেরিয়ান/গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওকরণ করা হচ্ছে না। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বলা হচ্ছে, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে সহকারী লাইব্রেরিয়ান/ গ্রন্থাগারিক পদের এমপিও স্থগিত রয়েছে। আবার ডিজি থেকে বলা হচ্ছে, আগামী অর্থবছর ছাড়া এমপিও হবে না। এমতাবস্থায় বেতন না পেয়ে খুব কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার মতো হয়তো আরও অনেকে ওই পদে নিয়োগ পেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, এ অর্থবছরেই সহকারী লাইব্রেরিয়ান/গ্রন্থাগারিক পদের এমপিওকরণের বিষয়টি বিবেচনা করুন।
তুহিন
গোপালগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.