নিউ মার্কেটে সমিতির নামে চাঁদাবাজি by আমিনুল ইসলাম

নিউ মার্কেটে সমিতির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সমিতির নেতাদের দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ না করলে কেউ দোকানে কেনাবেচা, ভাড়া বা অন্য কোনো ধরনের কাজ করতে পারছেন না।
কোনো ব্যবসায়ী দাবিকৃত চাঁদা না দিয়ে দোকানে কেনাবেচা বা ভাড়া দিতে বা নিতে চাইলে ওই সব নেতার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা মারধর করে। অনেক ব্যবসায়ী ভয়ে এসব নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ করতে পারছেন না। ঠিক তেমনি সমিতির নেতাদের চাঁদা না দেয়ায় গত মাসের ২৮ তারিখ মিজানুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একইভাবে চাঁদা না দেয়ায় নজির আহম্মদ নামে এক ব্যবসায়ী দোকান ক্রয় করে সেখানে উঠতে পারছেন না। তিনিও নিউ মার্কেট থানায় একটি জিডি করেছেন। তবে এ বিষয়গুলো অস্বীকার করেছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি আবু তাহের।

সূত্র জানায়, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট উত্তর ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি নামে একটি সংগঠন রয়েছে। মূলত দোকান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সুবিধার জন্য মালিকদের সমন্বয়ে ওই সমিতি গঠন করা হয়। বিগত দিনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মাধ্যমে দোকান মালিকেরা উপকৃত হয়ে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমান কমিটি গঠনের পর সমিতির নেতাকর্মীরা দোকান থেকে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায় শুরু করেছেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে দোকান মালিকদের ওপর নেমে আসছে নির্যাতনের খড়গ।

ডি-ব্লক ১৪০/১৪১ নম্বর আল আমিন স্টোর নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তাজুল ইসলাম জানান, তার ভাই মিজানুর রহমানকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তারা পাশের ১৩৯ নম্বর দোকানটি ভাড়া নিয়ে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি তারা ওই দোকানটি ক্রয় করতে যান। এতে বাদ সাধেন সমিতির সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান কবির হোসেনসহ অন্য নেতারা। তারা ওই দোকান কেনা-বেচার জন্য তাজুল ইসলামের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তারা সমিতিকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ জানুয়ারি সমিতির নেতারা বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসেন। পরে মিজানুর রহমান দোকান থেকে বের হলেই ওই সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। মিজানকে বেধড়ক মারধর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মিজানুর রহমানের ভাগ্নে আক্তার হোসেন মামাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে অন্য দোকানের মালিক-কর্মচারীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত দু’জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে সেন্ট্রাল হাসপাতালে  চিকিৎসা নেন।

অপর দিকে সমিতির নেতাদের চাঁদা না দেয়ায় নজির আহম্মদকে তার ক্রয় করা দোকানে বসতে দেয়া হচ্ছে না। দোকানে বসতে চাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি এ কথা জিডিতে উল্লেখ করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার ও সমিতির মর্যাদা ুণœ করতে  প্রতিপক্ষ একটি নাটক সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি বা তার কমিটি এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত নন।

No comments

Powered by Blogger.