খুলনায় একই ব্যক্তির দুই শিাপ্রতিষ্ঠানের পদ দখল!

সরকারি বিধি উপো করে দুই শিাপ্রতিষ্ঠানে অধ্য ও প্রভাষক পদে কর্মরত থাকার ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও গত সাত মাসেও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে দীর্ঘ দিনেও তদন্ত শেষ না হওয়ার সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে রূপসা মহিলা কলেজে অধ্য (অস্থায়ী) হিসেবে কর্মরত মো: সিরাজুল ইসলাম তার পদ রায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিাজীবনে দু’টি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের  ২১ এপ্রিল খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ-বাইনতলা কলেজিয়েট স্কুলে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ লাভ করেন। পরে একই স্থানে তিনি ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল প্রভাষক পদে চাকরি গ্রহণ করে এমপিওভুক্ত হন। এ চাকরির কথা গোপন রেখে সিরাজুল ইসলাম অবৈধ আঁতাতের মাধ্যমে পাশের রূপসা উপজেলার রূপসা মহিলা কলেজে অধ্যরে চাকরি গ্রহণ করে এমপিওভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে রূপসা মহিলা কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হামিদুল হক অধ্য সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে একই সাথে দুই শিাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ এনে শিা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি একই অভিযোগে খুলনার সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানি আপিল বিভাগে মামলা করেন। পরে সিরাজুল ইসলাম আদালতের মাধ্যমে ওই মামলার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করান এবং আদালতে আপিল করা হলে ওই আদেশ স্থগিত করা হয়। এখনো মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রূপসা মহিলা কলেজের প থেকে শিা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেেিত শিা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৬ জুলাই খুলনা সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অধ্য মো: আবুল বাশারকে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু গত সাত মাসেও কোনো ধরনের তদন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে রূপসা মহিলা কলেজের অধ্য (অস্থায়ী) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মতাসীন দলের নেতাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে তদবির শুরু করেছেন। ওই শিকের প্রতারণার বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তাদের শায়েস্তা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের অধ্য মো: আবুল বাশার মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমি দুই পরেই কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এখনো তদন্ত করতে পারিনি। শিগগির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অস্থায়ী অধ্য পদে কর্মরত সিরাজুল ইসলাম।

No comments

Powered by Blogger.