সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে তিন নিরপেক্ষ আরবিট্রেটর নিয়োগ- ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ মেটাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ by সোহেল রহমান

অবশেষে বঙ্গোপসাগরের অমীমাংসিত সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসায় সালিশ নিষ্পত্তি আদালতের তিনজন নিরপে আরবিট্রেশন নিয়োগ দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দি সী (আইটিএলওএস) প্রেসিডেন্ট জামর্ানিতে সংস্থাটির সদর দফতরে তিনজন নিরপে আরবিট্রেটর (সালিশ নিষ্পন্নকারী) নিয়োগের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আদালত গঠনের কাজ শেষ হয়েছে।
নিয়োগ পাওয়া তিন আরবিট্রেটর হলেন জার্মানির রম্নডিগার উলফ্রাম, ইতালির টুলিও ট্রেভেজ, অস্ট্রেলিয়ার ইভান শিয়েরার। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশর প েব্রিটিশ আইনজীবী লুইভন এবং ভারতের পক্ষে ভূতত্ত্ববিদ ও সমুদ্র আইনবিশেষজ্ঞ শ্রীনিবাস রাওকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মি. উলফ্রামের নেতৃত্বে পাঁচ আরবিট্রেটরে সমন্বয়ের গঠিত আদালতে মাধ্যমেই সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। এর আগে দফায় দফায় বৈঠকের পরও সমঝোতার মাধ্যমে নিরপে আরবিট্রেটর নিয়োগে ব্যর্থ হয় দুই দেশ।
সূত্র জানায়, আদালত গঠনের কাজ শেষ হওয়ার পর এখন নিয়ম অনুযায়ী আইটিএলওএস প্রধান উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের কার্যক্রম শুরম্ন করবেন। নেদারল্যান্ডসের দি হেগে স্থায়ী আরবিট্রেশন আদালতে সালিস নিস্পত্তি কার্যক্রম শুরম্ন হবে। বাংলাদেশের কর্মকতর্ারা আশা করছেন, সালিশ নিষ্পত্তি আদালতে মাধ্যমে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসা হবে। এদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসায় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আনত্মর্জাতিক ট্রাইবু্যনাল অন ল অব দি সীর কার্যক্রম শুরম্ন হবে। আগামী জুনের মধ্যে বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমার দাবি সংক্রানত্ম সকল তথ্যউপাত্ত আদালতের কাছে জমা দিতে হবে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই আদালতে দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে।

No comments

Powered by Blogger.