মুরসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় বিরোধীরা

মিসরে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে বিরোধীরা। প্রধান বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের (এনএসএফ) অন্যতম নেতা মোহাম্মদ এল বারাদি গতকাল বুধবার এ আহবান জানান।
এর দুই দিন আগেই জাতীয় সংলাপে বসার বিষয়ে মুরসির আহবান নাকচ করেছিল বিরোধীরা। এ অবস্থায় চলমান সংকট নিরসনে তাদের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল এক ঝটিকা সফরে বার্লিন ঘুরে গেছেন মুরসি। রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এমইএনএ জানায়, জার্মানিতে মুরসির দুই দিনের সফর নির্ধারিত ছিল। তবে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে সফরসূচি কাটছাঁট করে দুই ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হয়। বার্লিনে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুরসি।
তবে মুরসির সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ হয়েছে বার্লিনে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মীরা মুখে গ্যাসরোধী মুখোশ পরে 'একনায়ক' মুরসির জার্মান সফরের বিরোধিতা করেন।
মুরসির আগের সফরসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা ছিল। তাও বাতিল করা হয়েছে। এই দিন দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে এনএসএফ। তবে জোটের অন্যতম নেতা নোবেলজয়ী এল বারাদির আলোচনায় বসার ব্যাপারে আহবান জানানোর পর আগামীকালের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে কি না, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি।
গতকাল রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনের সহিংসতায় কায়রোয় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে। আর সারা দেশে মারা গেছে কমপক্ষে ৬০ জন। তবে এ ব্যাপারে সঠিক সংখ্যা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। পোর্ট সাইদের একটি ফুটবল মাঠে দাঙ্গার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত শনিবার থেকে চলমান সহিংসতার শুরু। এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় দেশজুড়ে মারা যায় ১১ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরই মধ্যে পোর্ট সাইদসহ সুয়েজ ও ইসমালিয়ায় ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ও সান্ধ্য আইন জারি করেছে সরকার। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.