আগামী প্রজন্মের রোবট by নোমান

আগামী প্রজন্মের রোবট তৈরির জন্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও জেনারেল মোটরস একযোগে কাজ করছে। উন্নত রোবট ও সংশিস্নষ্ট প্রযুক্তি অটোমোটিভ ও এ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হবে।
নাসা ও জেনারেল মোটরসের প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীরা স্পেস এ্যাক্ট এগ্রিমেন্টের আওতায় হিউস্টনে সংস্থার জনসন স্পেস সেন্টারে কাজ করছেন। তাঁদের লৰ্য মানুষের পাশাপাশি কাজ করতে সৰম মানুষের মতো একটি রোবট তৈরি করা। আগামী দিনের এসব রোবট মহাশূন্যচারীদের বিপদসঙ্কল স্পেস মিশনে কাজ করতে যেমন সহায়তা করবে, তেমনি জেনারেল মোটরসকে নিরাপদ গাড়ি ও পস্নান্ট তৈরিতে সাহায্য করবে।
এই দুই সংস্থা হিউস্টনের ওসেনিয়ারিং স্পেস সিস্টেমস-এর প্রকৌশলীদের সহায়তায় ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক রোবোনাট তৈরি করেছে। মহাশূন্যচারীদের কাজে সহায়তার লৰ্যে তৈরি এই রোবটের নাম রোবোনাট ২ বা আর ২। এটা আগের যে কোন রোবটের চাইতে দ্রম্নত কাজ করতে সৰম। অধিক দৰ এবং প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক বেশি উন্নত। নতুন প্রজন্মের এই রোবট অবিকল মানুষের মতো তার হাত ব্যবহার করতে পারে।
আর টু নিরাপদে মানুষের পাশাপাশি জটিলসব কাজ করতে সৰম। পৃথিবী ও মহাশূন্য উভয় ৰেত্রে এই অত্যাধুনিক রোবটের প্রয়োজন রয়েছে। ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরে এক্সপেস্নারেশন সিস্টেমস মিশন ডাইরেক্টরেট-এর সহযোগী প্রশাসক ডুগ কুক বলেন, এই অত্যাধুনিক রোবট প্রযুক্তি শুধু নাসার জন্যই বিশাল অঙ্গীকার রৰা করছে না, গোটা জাতির জন্যও অঙ্গীকার পূরণ করছে। তিনি বলেন, আমি এই বহুমুখী রোবটের ব্যাপারে খুব শিহরিত।
নাসা ও জেনারেল মোটরস আগামী প্রজন্মের রোবট তৈরির লৰ্যে একযোগে কাজ করছে। রোবোনাট টু নামের এই রোবট মানুষের বিকল্প হিসাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে এসব রোবটকে পৃথিবী ও মহাশূন্যে মানুষের পাশাপাশি কাজ করার ৰমতা দেয়া হয়েছে।
জেনারেল মোটরসের আনত্মর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যালান টব বলেন, জিএম'র জন্য এর ভূমিকা হবে অপেৰাকৃত নিরাপদ গাড়ি ও নিরাপদ পস্নান্ট তৈরি। সূক্ষ্ম কাজে মানুষের মতো হাত ব্যবহার করতে সৰম দৰ রোবট তৈরির ধারণা এ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নয়। মানুষের মতো মূল রোবটটির ডিজাইন করা হয় মহাশূন্য অভিযানে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। দশ বছর আগে ডিফেন্স এ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সির সহযোগিতায় রোবটিক্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে এটি তৈরি হয়। গত দশকে রোবট তৈরিতে নাসা উলেস্নখযোগ্য প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জন করে। রোবট তৈরির এই সাফল্য নাসাকে মহাশূন্য গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করতে সহায়তা করবে।
জনসন্স মোটরের ডাইরেক্টর মাইক কোটার বলেছেন, আজ আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এমন যন্ত্র তৈরি করা যা মানুষকে মহাশূন্য গবেষণায় সহায়তা করতে সৰম। রোবনাটের মতো যন্ত্র মানুষের পাশাপাশি থেকে কাজ করবে কিংবা এমন স্থানে যাবে যেখানে যাওয়া মানুষের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবে রোবোনাট নির্মাণ ও আবিষ্কারে আমাদের যোগ্যতাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।
নাসা ও জিএম ষাটের দশকের শুরম্ন থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। এ্যাপোলো মিশনের নেভিগেশনে সিস্টেমও ছিল এই যৌথ সহযোগিতার ফল। জিএম চন্দ্রাভিযানে ব্যবহৃত লুনার রোভার ভেহিকল উদ্ভাবনেও গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

No comments

Powered by Blogger.