‘এ রহম কেউ দেয় না’‘এই শীতি একটা কম্বলের জন্যি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কিন্তুক কেউ দিল না। তুমরা বাড়ি যাইয়ে কম্বলের কাগজ দিয়ে আইছো। বাবারে এরহম কেউ দেয় না। ঠান্ডায় কম্বলডায় খুব কাজ লাগবি।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে এভাভেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন মাগুরার শহরতলির হালিমা খাতুন (৮০)। গতকাল সোমবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্ধুসভার সদস্যরা গোপালগঞ্জ, বদরগঞ্জ, চাঁদপুর, মাগুরা ও শরীয়তপুরে ৮৫৮ জন শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী উপজেলার ১০টি গ্রামে ২০০ গরিব মানুষকে কম্বল এবং ১০০ জনকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। ত্রাণ কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন হানিফ সিদ্দিকী, রাজপাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুকৃতি মজুমদার, পরিচালনা পরিষদের সদস্য সামস আল দুলাল, হুমায়ুন কবীর, মামুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বদরগঞ্জ (রংপুর): দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার তুফানুপাড়া, চটকুপাড়া, মোস্তফাপুর, আসমতপাড়া, বিষ্ণুপুর, কালুপাড়া ও হাড়িভাঙ্গা গ্রামের ৩১৭ জন দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। এ সময় পাঠানেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী, তুফানুপাড়া জামে মসজিদের ইমাম গোলজার হোসেন ও বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর): মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ১৫০ জন দুস্থ মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাগুরা: সকালে মাগুরা শহরতলিতে ৫১ জন গরিব মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় বন্ধুসভার উপদেষ্টা মফুজার রহমান, আবদুল আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শরীয়তপুর: গতকাল বিকেলে শহরের কিশলয় কেজি স্কুলমাঠে ৪০ জন দুস্থ মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় বন্ধুসভার উপদেষ্টা আলী আকবর মিয়া, সভাপতি রতন কুমার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সহায়তা অব্যাহত: দুস্থ ব্যক্তিদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও শীতবস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ১৮০ টাকা। এ টাকায় কম্বল কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তহবিলে জমা পড়েছে চার হাজার ৭০১টি কম্বল, ৪৩৩টি সোয়েটার ও ১৮ বস্তা পুরোনো কাপড়। গতকাল ডা. মাহমুদা নাসরীন ৭০টি কম্বল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ৭০ সেট শীতের কাপড় দিয়েছে। মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং সাঈদ নিজাম এক হাজার ৩৫০ টাকা ও ১০টি কম্বল দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ১৬৫ জনকে কম্বল ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে। সহায়তা করতে চাইলে: সমাজের দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট ত্রাণ তহবিলে শীতবস্ত্র প্রদান ও আর্থিক সহায়তা করতে পারেন। প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া পাঠাতে পারেন প্রথম অলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল হিসাব নম্বর: (২০৭.২০০.১১১৯৪) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকায়। প্রয়োজনে প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ, মুঠোফোন: ০১৯১৪৬০০৭৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

‘এই শীতি একটা কম্বলের জন্যি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কিন্তুক কেউ দিল না। তুমরা বাড়ি যাইয়ে কম্বলের কাগজ দিয়ে আইছো। বাবারে এরহম কেউ দেয় না। ঠান্ডায় কম্বলডায় খুব কাজ লাগবি।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে এভাভেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন মাগুরার শহরতলির হালিমা খাতুন (৮০)।
গতকাল সোমবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্ধুসভার সদস্যরা গোপালগঞ্জ, বদরগঞ্জ, চাঁদপুর, মাগুরা ও শরীয়তপুরে ৮৫৮ জন শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী উপজেলার ১০টি গ্রামে ২০০ গরিব মানুষকে কম্বল এবং ১০০ জনকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। ত্রাণ কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন হানিফ সিদ্দিকী, রাজপাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুকৃতি মজুমদার, পরিচালনা পরিষদের সদস্য সামস আল দুলাল, হুমায়ুন কবীর, মামুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বদরগঞ্জ (রংপুর): দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার তুফানুপাড়া, চটকুপাড়া, মোস্তফাপুর, আসমতপাড়া, বিষ্ণুপুর, কালুপাড়া ও হাড়িভাঙ্গা গ্রামের ৩১৭ জন দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়। এ সময় পাঠানেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী, তুফানুপাড়া জামে মসজিদের ইমাম গোলজার হোসেন ও বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর): মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ১৫০ জন দুস্থ মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরা: সকালে মাগুরা শহরতলিতে ৫১ জন গরিব মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় বন্ধুসভার উপদেষ্টা মফুজার রহমান, আবদুল আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুর: গতকাল বিকেলে শহরের কিশলয় কেজি স্কুলমাঠে ৪০ জন দুস্থ মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় বন্ধুসভার উপদেষ্টা আলী আকবর মিয়া, সভাপতি রতন কুমার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তা অব্যাহত: দুস্থ ব্যক্তিদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও শীতবস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ১৮০ টাকা। এ টাকায় কম্বল কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তহবিলে জমা পড়েছে চার হাজার ৭০১টি কম্বল, ৪৩৩টি সোয়েটার ও ১৮ বস্তা পুরোনো কাপড়। গতকাল ডা. মাহমুদা নাসরীন ৭০টি কম্বল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ৭০ সেট শীতের কাপড় দিয়েছে। মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং সাঈদ নিজাম এক হাজার ৩৫০ টাকা ও ১০টি কম্বল দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ১৬৫ জনকে কম্বল ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে।
সহায়তা করতে চাইলে: সমাজের দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট ত্রাণ তহবিলে শীতবস্ত্র প্রদান ও আর্থিক সহায়তা করতে পারেন। প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া পাঠাতে পারেন প্রথম অলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল হিসাব নম্বর: (২০৭.২০০.১১১৯৪) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকায়। প্রয়োজনে প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ, মুঠোফোন: ০১৯১৪৬০০৭৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

No comments

Powered by Blogger.