ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা ডিবিতে, গ্রেফতার ৩

ছাত্রলীগের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখার সভাপতি এবিএম ফারুক হোসেন হত্যা মামলা ডিবিতে পাঠানো হয়েছে। ফারম্নক হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশ এনায়েতসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ। এদিকে ডিবি পুলিশ দারোয়ান গোলাপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ফারম্নক হত্যা মামলাটি রবিবার তাদের হাতে এসেছে। এদিকে ফারম্নক হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এনায়েতসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের এডিসি মোলস্না নজরম্নল ইসলাম। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আধিপত্য বিসত্মার, মাদক ব্যবসা, জুয়া ও সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করেই ফারুক খুন হয়। ফারম্নক হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিরাপত্তা কর্মী গোলাপ, ক্যান্টিন মালিক শাহাদাত, সোহেল ও জামায়াতে ইসলামীর রোকন এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি হোসনে আরা জানান, আটককৃতদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর রোকন এ্যাডভোকেট মনিরম্নল ইসলামকে ৫৪ ধারায় ও সোহেলকে চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত এ দু'জনকে জেলহাজতে পাঠায়। অপরদিকে আটককৃত দারোয়ান গোলাপ ও ক্যান্টিন মালিক শাহাদতকে ডিবি পুলিশের কাছে হসত্মানত্মর করা হয়েছে।
মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউর রহমান জানান, শাহাদতকে জামিনে মু্ক্তি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে দারোয়ান গোলাপকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে ফারম্নক হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের ডিসি মাইনুল হাসান জানান, গোলাপকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি রাতে ছাত্রলীগের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখার সভাপতি এবিএম ফারম্নক হোসেনকে মানিকদি আদর্শ বিদ্যানিকেতনের মাঠে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। বুলেটে তাঁর বুক ও পেট ঝাঁঝরা হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯টি বুলেটের খোসা উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ফারম্নককে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.