অজানা তথ্য- ক্ষুদ্রতম রঙিন ডাইনোসর- তাহেরা নয়ন

চীনে ১০ কোটি বছরেরও বেশি আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানদং প্রদেশের ঝুচেং গিরিখাতে তিন মাস ধরে খননকার্য চালিয়ে প্রত্নত্ত্ববিদ ও জীবাশ্মবিদরা এই আবিষ্কার করেন।
এই গিরিখাতে ডাইনোসরের ৩ হাজারেরও বেশি পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। পায়ের ছাপের দৈঘর্্য ১০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার (৪ থেকে ৩২ ইঞ্চি)। এখানে কমপৰে ছয় ধরনের ডাইনোসরের বিচরণ ছিল। টিরানোসরাসও এর মধ্যে রয়েছে। চীনের এই এলাকায় রয়েছে ডাইনোসরের হাড়ের জীবাশ্মের সবচেয়ে বড় ৰেত্র। চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর উর্ধতন প্রকৌশলী ওয়াং হাইজুন বলেন, শিকারি প্রাণীদের হামলার পর তৃণভোজী এই ডাইনোসর সম্ভবত দলে দলে অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করে কিংবা আতঙ্কিত হয়ে পালাতে থাকে।
প্রত্নতাত্তি্বকরা ঝুচেং শহরের ৩০টি স্থানে ডাইনোসরের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। শহরটি ডাইনোসর সিটি নামে খ্যাতি লাভ করেছে। এ এলাকায় চীনা কর্তৃপৰ শীঘ্রই একটি ফসিল পার্ক বা জীবাশ্ম পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন।
এদিকে একদল জীবাশ্মবিদ রঙিন পালক ও ঝুটিওয়ালা সবচেয়ে ৰুদে ডাইনোসরের সন্ধান পেয়েছেন। জীবাশ্মবিদরা নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এই ডাইনোসরের পালকের রং বের করেন। সম্প্রতি 'সায়েন্স' সাময়িকীর অনলাইন সমন্বয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১৫ কোটি বছর আগে এই ৰুদে ডাইনোসর চীনে বিচরণ করত। রঙিন পালকবিশিষ্ট এই ডাইনোসরের দৈঘর্্য ছিল মাত্র ১২ সেন্টিমিটার। গবেষকদের জানামতে এটা পৃথিবীর ৰুদ্রতম ডাইনোসর। এর দেহের রং ছিল ধূসর, ঝুঁটি লালচে বাদামী এবং মুখে রঙিন ফুটকি। ডানার সাদা পালকের মাথায় ও পায়ে ছিল কালো রঙের উজ্জ্বল পালক। এছাড়া চীনের গোবি মরম্নভূমিতে পাওয়া গেছে ৩ মিটার দীর্ঘ এক নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের কঙ্কাল। 'আলভারেজসরিডে' পরিবারের এই ডাইনোসর ছিল দেখতে অনেকটা পাখির মতো। গবেষকরা মনে করেন এই ডাইনোসরের ডানা ছিল বেশ খাটো এবং নখর ছিল অনেক লম্বা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা এই শ্রেণীর ডাইনোসর সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে বিবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ এই বিশেষ শ্রেণীর ডাইনোসর অনেক আগেই পাখি থেকে আলাদা হয়ে গেছে। বিবর্তনবাদের নির্ধারিত ছকে দেয়া সময়ের চাইতে তা ছিল বেশ আগে।

No comments

Powered by Blogger.