ফের ফাইলপত্র ছুড়ে বিরোধীদলের ওয়াকআউট

দ্বিতীয় দিনের মতো সংসদে যোগ দিলেও মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে আবারও ফাইল-কাগজপত্র ছুড়ে ওয়াকআউট করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল। রবিবার সংসদ শুরম্ন হওয়া মাত্রই 'স্বাধীনতার ঘোষক' ও কবরে 'জিয়ার লাশ' নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক, শাণিত আক্রমণ পাল্টাআক্রমণাত্মক বক্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ অধিবেশন।
জমজমাট ও প্রাণবনত্ম অধিবেশনে স্পীকার উদারভাবে বিরোধী দলকে ফোর দিলেও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম দাঁড়িয়ে 'কবরে জিয়ার লাশ নেই, একটি বাক্স মাটি চাপা দেয়া হয়েছে' ইতোপূর্বে তাঁর দেয়া চ্যালেঞ্জের কথা উলেস্নখ করলে ৰোভে ফেটে পড়ে বিরোধী দল। তীব্র হৈ চৈ, চিৎকার, হট্টগোল, ফাইল-কাগজপত্র ছুড়ে সংসদ থেকে তাঁরা ওয়াকআউট করে আর ফিরে আসেনি। ওয়াকআউটের সময় বিএনপির এক মহিলা এমপি চিৎকার করে হুমকি দেন_ '১৯৭৫ সালে একবার দেখাইছি। আবারও দেখাব।'
বিএনপির পরিকল্পিতভাবে সংসদে যোগ দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং মিথ্যাচারের সমালোচনা করে মহাজোটের জ্যেষ্ঠ নেতারা স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে সংসদে বিসত্মারিত আলোচনার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, এভাবে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আদালত রায় দিয়েছে, সংসদেও বিষয়টি সুরাহা হওয়া উচিত। এ সময় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এজেন্ডা অনুযায়ী সংসদ পরিচালনার জন্য স্পীকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
সরকারী দলের এ দাবি গ্রহণ করে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, সবাইকে আলোচনার সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে আমি উদার। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে দু'তিন দিন আলোচনার সুযোগ দেব। সরকার ও বিরোধী দলকে আবারও শালীনতার মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে সংসদ চলছে, এভাবে চললে আমি তো সবার মুখ সেলাই করে দিতে পারি না। কেউ অসাংবিধানিক বক্তব্য রাখলে তা পরীৰা-নিরীৰা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে। তবে কেউ যদি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে চলে যায়, সেৰেত্রে আমার কিছু করার নেই।
দু'দিন বিরতির পর বিকেল সোয়া তিনটায় স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরম্ন হয়। শুরম্নতেই অধিবেশনে যোগ দেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তবে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন না। কোরান তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পরপরই বিরোধী দলের পৰ থেকে পয়েন্ট অব অর্ডারের জন্য দাঁড়ান জয়নুল আবদিন ফারম্নক ও শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। স্পীকার একজনকে সুযোগ দিতে চাইলে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ নিজেই দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবারের মতো আবারও গত জাতীয় নির্বাচনকে কারচুপি, অদ্ভুত নামে আখ্যা এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পুনরায় স্বাধীনতার ঘোষক বলে অভিহিত করলে এ উত্তপ্ত বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
জয়নুল আবদিন ফারম্নক পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, মঈনুদ্দিন-ফখরম্নদ্দিনের সাজানো কারচুপি ও অদ্ভুত কারচুপির নির্বাচনে মহাজোট সরকার ৰমতায় এলেও দেশ, জাতি ও সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদে যোগ দিয়েছি। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুরম্নচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। জিয়াকে 'স্বাধীনতার ঘোষক' এবং ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কারচুপি-অদ্ভুত নির্বাচন বলায় সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা ৰোভে ফেটে পড়েন।
তীব্র হৈচৈয়ের মাঝে তিনি বলেন, এ সংসদে সংসদ নেতা ও শেখ সেলিমও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য রেখেছেন। লাশ কবরে আছে কিনা, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছে বলেই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে, সংসদনেত্রী আজ প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানসহ খালেদা জিয়া, তারেক ও কোকোর নামে দেয়া সকল বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
এ সময় সরকারী দলের একাধিক সদস্য ফোরের দাবিতে দাঁড়ালে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের উদ্দেশে স্পীকার বলেন, আগেই সিদ্ধানত্ম জানিয়েছি যে, যদি কেউ অসাংবিধানিক ও বিধিবহিভর্ূত বক্তব্য রাখেন তা এক্সপাঞ্জ করা হবে। এজন্য পরীৰা-নিরীৰার প্রয়োজন পড়বে। তা ছাড়া যদি প্রতি কথায় কথায় এক্সপাঞ্জ করি তবে তো কেউই কথা বলতে পারবেন না। আর আপনিও (জয়নাল আবদিন ফারম্নক) নির্বাচনকে কারচুপিসহ অনেক কথা বলছেন। নির্বাচন অবৈধ হলে তো সরকারও থাকে না, আপনার বিরোধী দলও থাকে না, আমাকেও তো এ আসন ছেড়ে বাসায় যেতে হয়। এভাবে তো চলতে পারে না।
এ সময় পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখার জন্য দাঁড়ান আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও বিএনপির শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। এ সময় স্পীকার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ফোর দিলে এ্যানি চিৎকার করে বলেন, আপনি (স্পীকার) নিরপেৰভাবে সংসদ চালাচ্ছেন না। জবাবে পরে তাঁকে ফোর দিতে চাইলে তিনি বসে পড়েন।
বিরোধী দলের বক্তব্যের জবাব দিতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্প্রতি হাইকোর্টের প্রদত্ত রায়ের কিছু অংশ পাঠ করে বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। ২২২ পৃষ্ঠার ঐতিহাসিক এ রায় স্পীকারসহ প্রতিটি সংসদ সদস্য, সরকারের না মেনে উপায় নেই। ওই রায়ে ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত স্বাধীনতার দলিলপত্রে একটি অংশে 'জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন'_ মর্মে লেখা শব্দগুলোকে অসাংবিধানিক উলেস্নখ করে তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব শব্দ যেসব গ্রন্থে লেখা বা মুদ্রিত রয়েছে তা বাতিল করে সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছে। তাই জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা আদালত অবমাননার শামিল।
এ সময় সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, হাইকোর্ট ওই রিট মামলা সম্পর্কে অবজারভেশন দিয়েছে। কিন্তু এ রায়ের বিরম্নদ্ধে আপীল করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে বিষয়টি এখনও চূড়ানত্ম করা হয়নি। তাই আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সংসদে কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়া অনুচিত। জনগণকে বিভ্রানত্ম ও জিয়াউর রহমানকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই এসব বলা হচ্ছে।
পাল্টা জবাবে ফোর নিয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমি সংসদে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, চন্দ্রিমা উদ্যানে যদি জিয়ার লাশ থাকে তা বিএনপি প্রমাণ করম্নক। এ চ্যালেঞ্জের কোন জবাব না দিয়ে বিরোধী দল মায়া কান্না করছে। আমি বলেছি, জিয়ার কবরে লাশ নেই, একটি বাক্সকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের সদস্য একযোগে দাঁড়িয়ে চিৎকার, চেঁচামেচি ও ফাইল-কাগজ ছুড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকলে সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তীব্র চিৎকার, হৈচৈয়ের মধ্যে শেখ সেলিম বলেন, ওই কবরে জিয়ার লাশ থাকলে তাদের কাছে ছবি থাকার কথা। তা দেখাক। আমি শুধু সত্য বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বলেছি। তিনি বলেন, জিয়া কোথাকার ঘোষক? জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক। এর বাইরে বিরোধী দলের সমসত্ম বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য স্পীকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
শেখ সেলিমের বক্তব্য শেষ হওয়ামাত্রই স্পীকার ফোর দেন বিএনপির শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা শেখ সেলিমের বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়ে চিৎকার, চেঁচামেচি, হট্টগোল ও ফাইল ছুড়ে মেরে বিকেল পৌনে চারটায় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
বিরোধী দলের ওয়াকআউটের পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হলে জাতি কষ্ট ও দুঃখ পায়। তাছাড়া এ কথা সবাই জানে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এ সত্য সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মেজর জিয়ার কণ্ঠ জাতি শুনেছে। এর আগে কেউ তাঁকে চিনত না। কিন্তু তার আগের দিন ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এসব কিছু সারা দুনিয়ার মানুষের জানা। তাছাড়া জিয়া নিজেও জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি। আজ তিনি জীবিত থাকলে লজ্জা পেতেন। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট রায় না দিলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে এটাই বাসত্মবতা। তোফায়েল স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য দিনৰণ নির্ধারণের প্রসত্মাব দিয়ে স্পীকারের উদ্দেশে বলেন, চারদলীয় জোটকেও জিজ্ঞেস করম্নন তারা কবে আলোচনা করতে চায়।
জাসদের মাঈনুদ্দিন খান বাদল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ইতিহাস নিয়ে সংসদে বিসত্মারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঊষালগ্নেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এসব বিষয়ে বিসত্মারিত আলোচনা হওয়া দরকার। সংসদে রেকর্ড থাকুক। তিনি বলেন, '৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যনত্ম প্রত্যেকটা ঘটনার ব্যাখ্যা হোক। কে কোথায় কি করেছে সেটা জানা থাকা দরকার। তারা এখন নিজেদের প-িত হিসেবে জাহির করছেন। ওই সময় মেজর জিয়া এবং মেজর মীর শওকত আলী কেন কক্সবাজার গেলেন, জিয়া কেনই-বা তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন- সেটাও বুঝতে হবে। কর্নেল অলি সংসদে আছে, প্রয়োজনে বিরোধীদলীয় সদস্যরা যদি মনে করেন আরও কাউকে নিয়ে আসতে পারেন। আলোচনা হবে। প্রত্যেক দিন একই ইতরামি সহ্য করা যায় না।
বিরোধী দলের ওয়াকআউটকে বাদল 'সিংহের গুহায় বানরের বাঁদরামি' উলেস্নখ বলেন, তিন চারজন সদস্য সংসদের পরিবেশ নষ্ট করছে। ওয়াকআউটের সময় বিরোধী দলের এক সদস্য বলে যাচ্ছে, '১৯৭৫ সালে একবার দেখাইছি। আবারও দেখাব।' তিনি বলেন, আমি ওই মহিলাকে চিনেছি। বৃহস্পতিবারও তিনি এমনভাবে ধারালো ফাইল ছুড়ে মেরেছেন যে জাতীয় পার্টির সদস্য নওয়াব আলী যদি মাথা না সরিয়ে নিতেন তাহলে তাঁর ঘাড়ে লাগত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেলিভিশন কেন এ বিষয়টি দেখাতে পারল না। টিভি কি তখন আকাশে ছিল? বিরোধী দলের এসব আচরণ জনগণ দেখুক, তারাই এসব দেখে সিদ্ধানত্ম নেবে।
স্বাধীনতার ঘোষকসহ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সরকারী দলের আলোচনার দাবি প্রসঙ্গে স্পীকার বলেন, এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দিতে তিনি সম্মত আছেন। সরকার ও বিরোধী পৰকে শালীনতার ভেতরে থেকে সংসদীয় ভাষায় কথা বলতে হবে। অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি করে ওয়াকআউট করলে সমস্যার সমাধান হবে না। সবাইকে গভীরে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন সত্যকে ঢেকে রাখা যায়; কিন্তু তা চিরস্থায়ী হয় না। সত্য সত্যই থাকবে। চেষ্টা করেও সত্যকে ঢেকে রাখা যাবে না। স্পীকার বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে তিনিও অনেক কথা জানেন। কিন্তু নিরপেৰতার কারণে অনেক কথা বলতে পারেন না। এরপরে দিনের পরবতর্ী কাজে হাত দিলে অধিবেশনের প্রাণবনত্ম ও উত্তপ্ত বিতর্কের অবসান হয়।

বিরোধী দলের প্রেস ব্রিফিং
ওয়াকআউটের পর বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা সভাক েবৈঠকে বসে রবিবার আর অধিবেশনে যোগ না দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরার সিদ্ধানত্ম নেন। পরে মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারম্নক বলেন, ৬৪ কার্যদিবস পর আমরা সংসদে গিয়েছিলাম। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কথা বলতে সুযোগ না দেয়ায় আমরা ওয়াকআউট করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশস্নীল বক্তব্য এক্সপাঞ্জ না করে স্পীকার পপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন। তাই তাঁরা ওয়াকআউট করেছেন। তিনি আরও বলেন, দেশের সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের লাশের জানাজার কোন্টায় লোক হয়েছিল তা দেশবাসী জানেন। শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ ছয় ঘণ্টা পড়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কবে সংসদে যোগ দেব সেটা পরে সিদ্ধানত্ম নেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.