বিহারে বিধায়ককে ছুরি মেরে হত্যা করল এক নারী

ভারতে বিহার রাজ্যে এক বিধায়ককে গতকাল মঙ্গলবার ছুরি মেরে হত্যা করেছে এক নারী। পূর্ণিয়া শহরে নিজের বাসায় দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক কিশোর কেশারির ঘাড়, পেট ও বুকে ছুরি বসিয়ে দেন রূপম পাঠক নামের ওই নারী।
মাস ছয়েক আগে কেশারির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন ৪০ বছর বয়সী রূপম।
পূর্ণিয়া শহর থেকে নির্বাচিত বিধায়ক কেশারি গতকাল সকালে তাঁর সিপাহীতলার বাসভবনে বসে নিজের নির্বাচনী এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে হাজির হন স্কুল শিক্ষিকা রূপম। পাটনা পুলিশের মহাপরিচালক নীলমণি পিটিআইকে জানান, রূপম দর্শনার্থী বেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি কেশারির কক্ষে প্রবেশ করেই তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। দ্রুত কেশারিকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, কেশারি বেঁচে নেই।
৫১ বছর বয়সী কেশারি চতুর্থবারের মতো বিধায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক রেকর্ড ছিল বেশ ভালো। তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। কেশারিকে ছুরিকাঘাত করার পর সেখানে উপস্থিত লোকজন রূপমকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশি পাহারায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ জানায়, গত বছর মে মাসে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে রূপম কেশারির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। কেশারির সঙ্গে তাঁর দুই বছর সম্পর্ক থাকারও দাবি করেন তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের সব রাজনীতিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। তিনি শোক প্রকাশ করে কেশারির সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের বিজেপি প্রেসিডেন্ট সি পি ঠাকুর বলেছেন, 'আমরাও এ হত্যার তদন্ত করব। তাঁর মৃত্যুতে বিজেপি একজন তরুণ ও নিবেদিত প্রাণ নেতাকে হারাল।' সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ, বিবিসি ও এনডিটিভি।

No comments

Powered by Blogger.