বরিশাল মেডিকেল কলেজ- রাতে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে দুই ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের (ছাত্রলীগের গঠন করা পরিষদ) সহসভাপতি (ভিপি) ও উপ-সহসভাপতি (প্রো-ভিপি) রোববার গভীর রাতে কলেজের ছাত্রীনিবাসে ঢুকে সাধারণ ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্রীরা গতকাল সোমবার ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং মানববন্ধন করেন। এ ছাড়া ১০ দফা দাবিতে কলেজ প্রশাসনের কাছে সঞ্চারকলিপি দিয়েছেন ছাত্রীরা। পরে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
সাধারণ ছাত্রীদের ভাষ্যমতে, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সহসভাপতি আবুতালেব মো. আবদুল্লাহ এবং উপ-সহসভাপতি আবদুল্লাহ বাকি অনুমতি ছাড়া ছাত্রীনিবাসে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা তিনতলার বিশেষ কয়েকটি কক্ষে যেতে চান। একপর্যায়ে তাঁরা চারতলায় একটি কক্ষে ঢুকে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় তাঁরা কয়েকটি কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রীদের হুমকি দেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে ৭৭ জন ছাত্রী স্বাক্ষর করেন। ছাত্রীদের দাবির মধ্যে রয়েছে: গভীর রাতে ছাত্রীনিবাসে ঢোকা আবুতালেব মো. আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ বাকির উপযুক্ত শাস্তি, ছাত্রীনিবাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা।
পঞ্চম বর্ষের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষের বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মঙ্গলবার (আজ) থেকে আমরা আন্দোলনে নামব।’
আবুতালেব মো. আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, অনেক ছাত্রীর নামে কক্ষ বরাদ্দ না থাকলেও তাঁরা কিছু কক্ষ দখল করে রেখেছেন। তাঁদের অন্য কক্ষে যেতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে রাত ১০টায় তিনি ছাত্রীনিবাসে গিয়েছিলেন। তবে তিনি তিন বা চারতলায় ওঠেননি।
রাতে কেন ছাত্রীনিবাসে গিয়েছিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে আবুতালেব মো. আবদুল্লাহ কোনো উত্তর দেননি।
অন্যদিকে আবদুল্লাহ বাকি বলেন, ‘আমি সেখানে যাইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।’
কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগে বলেছেন তাঁদের হোস্টেলে রাতে দুই ছাত্র গেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments

Powered by Blogger.