এক বছরেই বেড়েছে আড়াই গুণ, দ্রুত প্রতিকার জরুরী- ইভাটিজিং by নাজনীন আখতার

 গাছে-ঢাকা বাড়িটিকে দেখলেই বোঝা যায় বাড়ির বাসিন্দারা সংস্কৃতিমনা। দোতলায় উঠতে প্রতিটি সিঁড়িতেই শিকায় ঝোলানো লতানো গাছ, দেয়ালে পেইন্টিংস।
ড্রইংরম্নম জুড়ে শুধুই শিল্পকর্ম, মাটির মটকিতে অাঁকা ছবি, টেরাকোটা। দেয়ালে সাঁটানো পেইন্টিংস ছাড়াও মেঝেতে ঠেস দিয়ে রাখা বড় পেইন্টিংস। একটি পরিবার চিরদিনের জন্য অনুপস্থিত একজন মানুষকে কিভাবে নিজেদের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখেছে তা দেখে থমকে যেতে হয়। বাড়িজুড়ে একজন মানুষের ছোঁয়া। সবই তার করা। শুধু সে নেই। গত ৯ বছর ধরে তার চপলতা, চঞ্চলতা শুধু মা-বাবা, বড় বোন আর দুই ভাইয়ের অনুভবের মধ্যে বেঁচে আছে। মাঝেমধ্যেই স্বপ্নে মাকে দেখা দেয়-আকুতি নিয়ে বলে, 'মা, ওদের জন্য বাঁচতে পারলাম না।
আর তোমরা ওদের কিছুই করলে না?' ৯ বছর আগে ইভটিজিংয়ে শিকার হয়ে আত্মহননকারী চারম্নকলার ছাত্রী সিমি বানুর পরিবারজুড়ে এখনও হাহাকার। সিমির বয়সী মেয়ে দেখলে মা জরিনা বেগমের আবেগ আপস্নুত আচরণ কিংকতর্ব্যবিমূঢ় করে তোলে উপস্থিত লোকদের। এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য সিমিদের খিলগাঁওয়ের নবীনবাগের ২৪৮/৬ নং বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রত্যেকের হাহাকার আর ৯ বছরেও বিচার না পাওয়ার চাপা ৰোভ উপলব্ধি করা যায়। অনবরত চোখের জল ফেলছিলেন মা জরিনা বেগম। বললেন, স্বপ্নে দেখা সিমিকে আমি কোন জবাব দিতে পারি না। মৃতু্যর আগে আমি ওদের ফাঁসি দেখে যেতে চাই। বখাটেদের ফাঁসি না হলে সিমির মতো মেয়েরা আত্মহত্যা করতেই থাকবে।
আসলেই কি তাই? ইভটিজিং-সমাধান কি আত্মহত্যায় ? প্রশ্ন সব মহলের। সংশিস্নষ্টরা ইভটিজিংকে এখন আর সামাজিক ব্যাধি বা মূল্যবোধের অবৰয় হিসেবে নয় চিহ্নিত করছেন সামাজিক বিপর্যয়রূপে। রাষ্ট্র নিরাপত্তা না দিতে পারলে কিশোরী, তরম্নণীরা পাড়ায় রাসত্মায় বখাটেদের উত্ত্যক্ততার শিকার হতেই থাকবে। বাড়বে অপমানের গস্নানিতে আত্মহননকারী মেয়ের সংখ্যা। বাড়বে আত্মহত্যার আগে অভিমানীদের চিরকুটের সংখ্যা। যেমন পিংকি লিখেছে, ' তোমাদের সম্মান বাঁচাতে চলে যাচ্ছি।'
শুধু গত এক বছরেরই এক হিসাবে দেখা যায়, ইভটিজিংয়ের ঘটনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এক বছরেই ইভটিজিংয়ের ঘটনা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। ১১টি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডবিস্নউএলএ) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৮ সালে দেশে ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে ১২টি। আর ইভটিজিংয়ের ফলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৯টি। মোট ২১টি ঘটনার মধ্যে মাত্র ২টির ৰেত্রে আত্মহত্যার মামলা হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ২০০৯ সালে ইভটিজিং আড়াই গুণ বেড়েছে। মোট ঘটনা ঘটেছে ৫৪। এর মধ্যে আত্মহত্যা করেছে ৭ জন। আত্মহত্যার তিনটিসহ মোট মামলা হয়েছে ১০। ঘটনার শিকার এবং আত্মহত্যাকারী মেয়েদের ৯০ শতাংশই স্কুল পড়ুয়া।
মামলায় আশানুরূপ বিচার না হওয়ায় ইভটিজিংয়ের শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে স্বজন হারানোর স্থায়ী শূন্যতার পাশাপাশি বিরাজ করে আতঙ্ক, ৰোভ। পাড়ার বখাটে ছেলেদের সামনে গত ১৯ জানুয়ারি পাশের বাড়ির ড্রাইভার বখাটে মুরাদের হাতে চড় খেয়ে গস্নানিতে আত্মহননকারী স্কুলছাত্রী পিংকির পরিবার এখন অনবরত হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনাটিকে লোকজনের সহানুভূতি কেড়ে হাল্কা করার জন্য পুলিশের সহায়তায় পিংকির সঙ্গে মুরাদ প্রেমের গল্প সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পিংকির চাচা আলী আশরাফ। এমন মর্মস্পশর্ী ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কোন সহায়তা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শ্যামলী ২ নং রোডের ১৫২/ক-সি, চাকলাদার বাড়ির দোতলায় পিংকিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকে মুহ্যমান পুরো পরিবার। সঙ্গে আতঙ্কও রয়েছে। প্রথমে এ প্রতিবেদককে বাড়িতে ঢুকতে দিতে দ্বিধা করছিলেন তাঁরা। কথা বলতেও সতর্ক ছিলেন তাঁরা। পরে সংশয় কাটতেই ৬৫ বছর বয়সী পিংকির দাদি এ প্রতিবেদকে বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখান পিংকির শোবার রম্নম, পিংকির ছবি, আত্মহত্যার স্থান, গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নেয়া পিংকির বোর্ডের বই। পুরনো ক্যালেন্ডারের পাতা কেটে বইগুলোতে নিজেই মলাট লাগিয়েছিল শ্যামলী আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী পিংকি। ঝকঝকে মলাটের বইগুলো তেমনি পড়ে রয়েছে। বইগুলো জড়িয়ে ধরে আহাজারি করে উঠলেন দাদি, 'চোৰের সামনে শুধু পিংকি ভাসে। রাইতে ঘুমাইতে পারি না।' তার আফসোস, সেদিন পেনশনের টাকা তুলতে না গেলে বাসাও খালি থাকত না, মা মরা মেয়েটাও মরত না। তিনি বাড়িতে থাকলে মুরাদের চড় মারা আর অন্য বখাটেদের হাসাহাসির কথা নিশ্চয় তাকে বলত। পিংকির আবদার মতো পেনশনের টাকা দিয়ে দর্জির দোকানে থাকা জামা তিনি নিয়ে এলেও তা পড়ে আনন্দ করার মানুষটি নেই। পিংকির চাচা জানালেন মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানান ফোন থেকে তাদের হুমকি দেয়া হয়। সিমির মা বললেন, নয় বছরেও মামলা তুলে না নেয়ায় অভিযুক্ত দোয়েল, কোয়েল, শাওন ঢিল ছুড়ে বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। গত ঈদ-উল-আযহায় সিমির বাবা আলী এমদাদকে মেরে একটি দাঁত ভেঙ্গে দেয়। সম্প্রতি বাড়ির পোষা কুকুরকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে মামলার আসামিরা।
বিভিন্ন সময়ে ইভটিজিং গত ১০ বছরে ইভটিজিংয়ের আলোচিত ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রত্যেক ৰেত্রেই আত্মহননকারী মেয়েরা প্রথমে পরিবার এবং পরে এলাকাভিত্তিক সালিশীর মাধ্যমে বিচার চেয়েছে। কিন্তু প্রহসনমূলক সেসব সালিশীতে 'উগ্র চলাফেরা, স্বাধীনচেতা মনোভাব, অশালীন পোশাক' ইত্যাদির দোহাই দিয়ে দোষী সাব্যসত্ম করা হয়েছে উল্টো মেয়েটিকেই। বিশেষ করে উত্ত্যক্তকারীর স্বজনেরা দায়ী করেছে নিযর্াতনের শিকার মেয়েটিকে। ২০০৪ সালের ২৮ জুন রাজধানীর ডেমরা থানার ধলপুর সুতিরখালপাড় এলাকায় বখাটে রাজুর উৎপাতে মেরী ইউসুফ শারমীন আত্মহত্যা করার পর রাজুর বোন তাকে 'খারাপ মেয়ে' বলতেও দ্বিধা করেনি। জানা যায়, এলাকার সন্ত্রাসী রাজু ও তার সঙ্গীদের উৎপাতে এক বছর ধরে বিভিন্ন বাসা বদল করেও রৰা পায়নি শারমিনের পরিবার। বিয়ের প্রসত্মাবে রাজি না হওয়ায় রাজু এক পর্যায়ে শারমিনের ছোট ভাইকে অপহরণ করে। ভাইকে ছাড়াতে ছুটে যায় সে। কিন্তু রাজুর অশালীন প্রসত্মাবে রাজি না হওয়ায় ভাইকে ছাড়াতে ব্যর্থ হয়। অপমানের জ্বালা জুড়াতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
২০০৪ সালের ২ আগস্ট স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটেদের অত্যাচারে আত্মহত্যা করে ঝিনাইদহের ১৫ বছর বয়সী নাছিমা খাতুন। একই বছরের ২০ আগস্ট নিজ বাড়িতে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যা করে নওগাঁর কাঁশোপাড়া গ্রামের স্কুল শিৰিকা সেলিনা আক্তার। ২০০৩ সালে ৩০ আগস্ট রাজবাড়ি আদর্শ মহিলা কলেজের ছাত্রী খালেদা আক্তারকে একা পেয়ে গৃহশিৰক শফিকুল তার সঙ্গে অরম্নচিকর ছবি তুললে বিষপানে আত্মহত্যা করে খালেদা। একই বছরে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে কিশোরগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আলপিনা, গোপালগঞ্জের হেমেলা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবি হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মিনু। ২০০২ সালে একই কারণে আত্মহত্যা করে গোপালগঞ্জের কল্পনা, মানিকগঞ্জের শেফালী, রাঙামাটির আয়েশা এবং নওগাঁর বিলকিস। ২০০৭ সালের মে মাসে রাজধানীর পূর্ব দোলাই পাড়ের নাসিরউদ্দিন লেনে বাড়ির কেয়ারটেকারের অশস্নীল প্রসত্মাবে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করে ১৩ বছরের রীনা। মৃতু্যর আগে লেখা চিরকুটে সে দায়ী করে গেছে কেয়ারটেকার হারম্ননকে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বখাটেদের অত্যাচারে একই বছরে আত্মহত্যা করে নরসিংদীর সালমা। পিছু লাগা বখাটেদের কারণে ২০০৮ সালের জুন মাসে গাইবান্ধার তৃষার মতো পানিতে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করে কক্সবাজারের কিশোরী মিনু আরা। ২০০৯ সালের মার্চে হবিগঞ্জের মাদ্রাসা ছাত্রী ১৪ বছরের সাজনা ও মে মাসে খুলনায় কলেজ ছাত্রী সোমা একই কারণে আত্মহত্যা করে। আত্মহননকারীর তালিকায় আছে, ঢাকার পলস্নবীর ফাহিমা, লিজা, স্বপ্নাসহ আরও অনেকে। সংশিস্নষ্টরা বলছেন, ইভটিজিংয়ে আইনের প্রয়োগ হতাশাজনক, গাইবান্ধার তৃষা ও রাজশাহীর রম্নমি ছাড়া আর কারও শাসত্মি হওয়ার নজির নেই। ঘটনা অনুপাতে দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি হয়নি। গুরম্ন অপরাধে লঘু দন্ড পেয়েছে উত্ত্যক্তকারী অপরাধীরা। সিমি আত্মহননের ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে মাত্র এক বছরের কারাদ- দিয়েছিল আদালত। এমনকি যার কটু বাক্যে আঘাত পেয়ে সিমি বিষ খেয়েছিল সেই এনায়েত চৌধুরী পেয়েছিল বেকসুর খালাস।
'মেয়ে প্রতিবাদী হও, পিস্নজ আত্মহত্যা কর না' প্রতিবাদী হওয়ার মতো সাহস সঞ্চয় ও সচেতনতা ছাড়া এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্টরা। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারের কারণে আত্মহত্যায় উদ্যত দু'জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, পরিবার থেকেই মেয়েটির জন্য সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। পরিবারে আস্থা না পেলে মেয়েটি অসহায় হয়ে পড়ে। স্কুল, কমিউনিটি, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং পরিবারের সকলে মিলে কাউন্সিলিং করলে মেয়েরা আর আত্মহত্যায় ঝুঁকবে না। তাদের বোঝাতে হবে আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। একমাত্র প্রতিবাদের মাধ্যমেই এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
মনোবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হামিদা আখতার এ প্রসঙ্গে বলেন, সাধারণত উঠতি বয়সী মেয়েরাই পথে ঘাটে চলতে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়। বয়স কম থাকার কারণে তারা আবেগপ্রবণ থাকে। ফলে সাধারণভাবে কটূক্তি বা অশস্নীল বাক্যবানে তারা সঙ্কুুচিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পরিবার ও সমাজের অসহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব তাদের আরও শঙ্কাগ্রসত্ম করে তোলে। তিনি বলেন, ইভটিজিংয়ের শিকার মেয়েদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করা এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানসিক সমর্থন দেয়া সবচেয়ে জরম্নরী। আর উত্ত্যক্তকারীর অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া উচিত তাদের ছেলে যেন কোন মেয়ের প্রাণহানির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

আইনে যা আছে গত বছর ১৫ মে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ নীতিমালায় কর্মৰেত্র, শিৰাৰেত্র এবং ঘরের বাইরে যেকোন বয়সী নারী ও শিশু নিপীড়ন রোধে কয়েক দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। আদালতের রায়ে বলা হয়, নারী ও শিশুদের হয়রানিমূলক নিপীড়ন করা যাবে না। সংসদে নতুন করে আইন পাস না হওয়া পর্যনত্ম এ নীতিমালা আইন হিসেবে কাজ করবে। অশোভন অঙ্গভঙ্গি, ইঙ্গিতমূলক আচরণ ও উস্কানিমূলক কথাবাতর্া বলা যাবে না। কর্মৰেত্রে বা বাইরে উৎপাত, অশালীন ই-মেইল, ফোনে বিরক্তি, কাউকে ইঙ্গিত করে সুন্দরী বলা যৌন নিপীড়নের আওতায় পড়বে।
বাংলাদেশে প্রচলিত দ-বিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী কেউ যদি কোন নারীর শালীনতার অমযর্াদা করার জন্য কোন মনত্মব্য বা অঙ্গভঙ্গি বা কোন বস্তু প্রদর্শন করে তাহলে ওই ব্যক্তি এক বছর কারাদ- বা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হবে। উৎপাতের ফলে কেউ যদি মানসিক বা শারীরিকভাবে ৰতিগ্রসত্ম হয়, দ-বিধির ৩৫২ ধারায় উৎপাতকারীকে শাসত্মি দেয়া যাবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত), ২০০৩-এর ১০(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোন পুরম্নষ তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারীর শস্নীলতাহানি করলে বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি করলে তার জন্য এ কাজ হবে যৌন হয়রানি এবং এ কাজের জন্য ওই পুরম্নষকে অনধিক সাত বছর অনূ্যন তিন বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া যেতে পারে।
ঢাকা মহানগরীর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ রাসত্মায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে কোন মহিলাকে পীড়ন করে বা তার পথ রোধ করে অথবা অশালীন ভাষা ব্যবহার করে, অশস্নীল আওয়াজ বা অঙ্গ-ভঙ্গি বা মনত্মব্য করে তবে সেই ব্যক্তি এক বছর পর্যনত্ম মেয়াদের কারাদ- বা দুই হাজার টাকা পর্যনত্ম জরিমানা বা উভয় প্রকার দ-ে দ-িত হবে।

No comments

Powered by Blogger.