সিলেটে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ ॥ আহত ২০ গ্রেফতার ১২

 সিলেটে জামায়াত-শিবির ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে র্যাব, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ২০ জন। গ্রেফতার হয়েছে ১২ শিবির ক্যাডার।
শুক্রবার সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্ট ও চৌহাট্টা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসশেল নিপে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে নূরম্নল পাশা, হাফিজ মেজবাহ, ঈসা মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, হারম্নন অর রশীদ, মাহমুদুল হাসান, শফিকুল ইসলাম, মিজবাউর রহমান, আব্দুল মাজিদ, হাবিবুর রহমান, আফজাল হোসেন ও বদরম্নজ্জামান। তাদের বিরম্নদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল বের করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবির নেতা শাহীন, চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াত-শিবির এ মিছিল বের করে। পরপরই তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জুমার নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে শিবির ক্যাডাররা মিছিলসহকারে বের হয়েই নগরীর কোর্টপয়েন্ট এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জামায়াত-শিবিরকমর্ীরা পুলিশকে ল্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিপে করতে থাকে। পরে মিছিলটি নগরীর চৌহাট্টায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে ফের পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় শিবির ক্যাডাররা। এ সময় চৌহাট্টা , রিকাবীবাজারসহ পুরো এলাকায় রণেেত্র পরিণত হয়। এ সময় শিবিরের ইটের আঘাতে দৈনিক শ্যামল সিলেটের ফটোসাংবাদিক শাবি্বর আহমদ ফয়েজ, বাংলাভিশনের প্রতিনিধি এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু, এনটিভির সিলেট বিভাগীয় প্রধান মইনুল হক বুলবুল, র্যাবের ডিএডি শাহজাহান, পুলিশ কনস্টেবল রম্নহুল আমিন ও আর্মড পুলিশের কনেস্টবল সোহেল আহমদ আহত হন। পথচারীদের মধ্যে কমপ ে১৫ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব যুবায়েরসহ ১৮ শিবির ক্যাডারকে আটক করে। পরে জামায়াত নেতা যুবায়েরসহ ৬ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। গ্রেফতার দেখানো হয় ১২ জনকে। তাদের বিরম্নদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে। সিলেট মহানগর জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি ফখরম্নল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শানত্মিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় ও কমর্ীদের ওপর হামলা চালায়। এতে জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন আহত হন। তিনি দাবি করেন, পুলিশ যাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে এদের বেশিরভাগই পথচারী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, পুলিশের ওপর হামলা চালানোর দায়ে তাদের আটক করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শিবিরকর্মী ।

No comments

Powered by Blogger.