মহিউদ্দিনের লাশ নিতে শিবিরের ব্যর্থ চেষ্টা ॥ সংঘর্ষ থমথমে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সমর্থক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুম হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নগরব্যাপী নানা গুঞ্জন শুরম্ন হয়ে যায়।
শিবিরের ধারালো অস্ত্রের শিকার হয়েছে মেধাবী এই শিক্ষার্থী। অথচ শিবিরের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন মাসুম তাদের কর্মী দাবি করা হয়েছে। এ দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতেই চমেক হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে যাবার চেষ্টা করে মহানগর শিবিরের নেতারা। কিন্তু পুলিশী বাধার মুখে তা আর সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা কমর্ীরা সংগঠিত হয়ে বিােভ মিছিল করে। এ সময় শিবিরের হামলায় পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ বিােভ মিছিল থেকে জামায়াত ও শিবিরের ৯৬ জনকে গ্রেফতার করলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যনত্ম ৮৫ জনকে মামলার আওতায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার রাতে পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালি থানা হাজতে রাখা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরম্নদ্ধে বিশেষ মতা আইনে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশী তথ্য থেকে জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরের নেতাকমর্ীরা বৃহস্পতিবার রাতেই চমেক হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগ সমর্থক মহিউদ্দিন মাসুমের লাশ নিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু চমেক হাসপাতালের মর্গে সিএমপি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকমর্ীরা লাশ নিয়ে যেতে পারেনি। শুক্রবারও সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চমেক হাসপাতাল এলাকায় মহিউদ্দিন মাসুমের গায়েবানা নামাজে জানাজা আদায় করে। এদিকে, সকালে মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গায়েবানা জানাজা আদায় করে।
শুক্রবার সকাল থেকেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তৎপর ছিল মহিউদ্দিন মাসুমকে নিজেদের দলভূুক্ত করার জন্য। এক পর্যায়ে এ চেষ্টা বার বার ব্যর্থ হবার পর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের পরিকল্পনা পাল্টে ফেলে। এরই অপচেষ্টা হিসেবে নগরব্যাপী নেতাকর্মীরা জড়ো হবার পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সরকারের ভাবমূর্তি ুণ্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। নগরীর জামাল খান এলাকায় বিােভ মিছিলটি পেঁৗছলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে মিছিল থেকে পুলিশকে ল্য করে ইটপাটকেল নিপে শুরম্ন করলে পুিলশের প্রায় ১০ সদস্য আহত হয়। এরই জের ধরে পুলিশ শিবির কর্মীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গ্রেফতার অভিযান চালায়। বিকেলে কোতোয়ালি থানা কম্পাউন্ডে গ্রেফতারকৃতদের আত্মীয়স্বজন অবস্থান নিলে নির্দোষ শিার্থী ও পথচারীদের ১৩ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকিদের ৩টি থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে শিবিরের বিােভ মিছিল ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে দিনভর নগরব্যাপী থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গাড়ি চলাচলও অনেকটা হ্রাস পায়।

No comments

Powered by Blogger.