তেজগাঁওয়ে কার্টন ভর্তি বোমায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ কয়েকজন আহত

বড় ধরনের পরিকল্পিত নাশকতার উদ্দেশ্যে কার্টন ভর্তি পেতে রাখা বোমায় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ ক'জন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
মানুষ হত্যা ও পোশাকশিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লৰ্যে বোমাগুলো পেতে রাখা হয়েছিল। ভয়াবহ বিস্ফোরণের হাত থেকে রৰা পেয়েছেন কয়েক শ' পোশাক শ্রমিক। শুক্রবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন মহাখালী-গুলশান লিঙ্ক রোডের কানিজ গার্মেন্টসের কয়েক শ' শ্রমিক ভয়াবহ বিস্ফোরণের হাত থেকে রৰা পান। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টার দিকে তিনি গার্মেন্টসে যান। ঢুকতেই গার্মেন্টসের মূল গেটে একটি কাগজের কার্টন পড়ে থাকতে দেখা যায়। গেটের কাছে কার্টন পড়ে থাকতে দেখে হাঁকডাক দেই। কিন্তু কারও কোন সাড়া পাওয়া যায় না। পরে কার্টনটি গেট থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার চেষ্টা করি, যাতে যার মাল সে অনায়াসে পেয়ে যান। যখনই কার্টন অন্যত্র সরাতে যাই তখনই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিস্ফোরণে সাইফুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। ঠিক এ সময় কয়েক সন্ত্রাসী দ্রম্নত তাঁর মাথায় পিসত্মলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে। এ সময় সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সে সময় গার্মেন্টসে কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়। বিকট শব্দে পুরো এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ যে যার যার মতো প্রাণে বাঁচতে দৌড়াতে থাকে।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দারা দ্রম্নত ঘটনাস্থলে পেঁৗছে। পরে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, কার্টনটিতে অনত্মত ২০টি হাতবোমা ধারণৰম। এর মধ্যে ৪/৫টি বোমা বিস্ফোরিত হয়। পুরো কার্টনে থাকা বোমাগুলো একসঙ্গে বিস্ফোরিত হলে দু'চারজনের মৃতু্য হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। উদ্ধারকৃত বোমাগুলো হাতে তৈরি শক্তিশালী বোমা। এ ধরনের বোমা পেতে রাখার ঘটনা ঢাকাতে এই প্রথম। পরিকল্পিত নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো পেতে রাখা হয়েছিল। তাতে কোন সন্দেহ নেই।
এ ব্যাপারে বিস্ফোরণে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাপ্পু ওরফে চন্দন, দিপু, লতিফ মোলস্না, বেবী মিজান, বাদশাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরম্নদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী অভিযোগ ইসলামী ছাত্র শিবির বা অন্য কোন জঙ্গী গোষ্ঠী হত্যাকা- বা পোশাক শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লৰ্যে পরিকল্পিতভাবে বোমাগুলো পেতে রাখতে পারে। পরিকল্পিত হত্যাকা- চালানোর চেষ্টাকারীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

No comments

Powered by Blogger.