নিজামীর মাধ্যমে ঢোকা পুলিশরা কি এখন রাজশাহীতে?

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকমর্ীকে হত্যা এবং রগ কেটে তা-বলীলা চালানোর ঘটনার পর জামায়াত শিবির জেলায় জেলায় এবার গোপন দুর্গ গড়ে তুলছে।
অপরদিকে রাজশাহীর ঘটনায় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের বিরম্নদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সুষ্ঠু তদনত্মের দাবি উঠেছে। কারণ সাবেক শিল্পমন্ত্রী নিজামীর হাতে অনেক শিবির ক্যাডার চারদলীয় জোট সরকারের সময় পুলিশে চাকরি নিয়েছিল । তাদের কর্মস্থল এখন কি রাজশাহীতে। এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে জামায়াত শিবির কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে গোপন বৈঠক করে পরবতর্ী কর্মসূচী ঠিক করছেন। বুধবার এমন কিছু গোপন বৈঠক হয়েছে উত্তরের বেশ কিছু জেলায়। সে সব বৈঠকে বেশ কিছু রাজাকার উপস্থিত ছিল। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, জামায়াত শিবির প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ মাঠে নেমে প্রতিদিন মিছিল-মিটিং করছে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে। এটা মোকাবেলা করত শিবিরকে জেলায় জেলায় শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, রংপুর, থেকে বেশ কিছু শিবির ক্যাডারকে বিভক্ত করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি সাবধান করে দেয়া হয়েছে যে, প্রকাশ্যে রাসত্মায় চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গ্রেফতার হওয়া বা গণপিটুনির কবলে যাতে কেউ না পড়ে। বিভিন্ন স্থানের খবর মতে, জামায়াত শিবির অফিসগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেলেও তারা অবস্থান করছে গোপন স্থানে। সূত্রমতে প্রতিটি জেলায় জামায়াত শিবিরের অফিসগুলো সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ও সুরৰিত। সেখানে একজন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা পশুপাখিও প্রবেশ করতে পারে না। জামায়াত শিবিরের কর্মকা- দেশের সাধারণ মানুষ যে এখন কত ৰিপ্ত হয়ে উঠেছে তা রাজশাহীর ঘটনার পর প্রকাশ পেয়েছে। এখন নিজেদের অসত্মিত্ব রৰায় তারা মারমুখী অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় জামায়াত শিবিরের অবস্থান এবং তাদের কর্মকা-ে তিৰ্ন দৃষ্টি রাখছে এবং সরকারের কাছে প্রতিদিনের রিপোর্ট পেশ করছে।
জামায়াত শিবিরের সেস্নাগান_ আলস্নাহ্র আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই।। আবার জেএমবি জঙ্গী গোষ্ঠীর সেস্নাগান মানুষের তৈরিীআইন মানি না। দু'টি সেস্নাগানকে বিশেস্নষণ করলে এর মানে দাঁড়ায় একই । চারদলীয় জোটের সময় জামায়াতের আমির সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর হাত দিয়েই পুলিশ বাহিনীতে বেশ কিছু লোক নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা হামলা, রগ কাটা, আর খুন করে ম্যানহোলের ভেতর লাশ ফেলে দেয়া সব কিছুই যেন একই সূত্রে গাঁথা। সচেতন মহল মনে করছে শিবির আর জঙ্গীর সঙ্গে ওই সময়ের পুলিশে লোক নিয়োগে যারা জামায়াতের হয়ে স্থান পেয়েছে তাদের ওপর সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। অবশ্যই নিজামীর পুলিশের লোকজন রাজশাহী রয়েছে। নিজামীর রাজশাহী সফরে গোপন বৈঠক ছিল। এমন অভিযোগ আসলেই ফেলে দেয়া যায় না। এর সূত্র ধরে তদনত্ম এগিয়ে নিলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

No comments

Powered by Blogger.