যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তদনত্ম শেষে প্রকাশ করা হবে আইনমন্ত্রী

 তদন্ত শেষে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। আইন উপেৰা করে যাই করা হোক না কেন, সেটাই অপরাধ। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা একই ধরনের অপরাধের মধ্যে গণ্য হবে।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়টি তদন্ত করবে। তদনত্মের পরই জানা যাবে, কারা অপরাধী এবং কাদের বিচার হবে। তদনত্মের মাধ্যমেই অপরাধীদের তালিকা চূড়ান্ত করা যাবে। তালিকা চূড়ান্ত করে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সন্ত্রাস বিরোধী সমন্বয়কারী গিলস ডি কার্সভের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তারা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিং প্রদান করেন।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি অজ্ঞ, আমার কিছু জানা নেই। তালিকার বিষয়ে আমার আলোচনাও হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আইনজীবী নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক কার্যাবলী প্রক্রিয়াধীন আছে। যত দ্রম্নত সম্ভব বিষয়টি সরকার চূড়ানত্ম করবে। সন্ত্রাস দমনে আইন যথেষ্ট হলেও আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে হচ্ছে না স্বীকার করে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তদনত্মের ৰেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তদনত্মকারী কর্মকর্তারা যথাযথভাবে তদনত্ম করে রিপোর্ট দিচ্ছেন না।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গঠনের প্রসত্মাব দেন। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, "প্রসত্মাবের পরিপ্রেৰিতে আমাদের বিচার বিভাগের দৰতার কথা তাদের জানিয়েছি। তারপরও তাদের প্রসত্মাব লিখিত আকারে পেলে, এ নিয়ে আমরা যথাযথ পদৰেপ নেব।

No comments

Powered by Blogger.