রগ কাটার রাজনীতি চালু করতে দেয়া হবে না- সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগ কমর্ী ফারম্নক হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
তিনি বলেন, খুনী জিয়া-মোশতাকের ছত্রছায়ায় রাজনীতির অধিকার ফিরে পাওয়া জামায়াত-শিবির চক্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নস্যাত করার জন্যই একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যতই ষড়যন্ত্র করম্নক বাংলাদেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের নৃশংস হামলা, তা-ব ও ছাত্র হত্যার সম্পর্কে বৃহস্পতিবার ৩০০ বিধিতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তবে তাঁর বক্তব্যে জিয়া-মোশতাককে খুনী বলায় বিরোধী দলের সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে ফোরের দাবিতে তাঁরা ফোর চাইলে স্পীকার এ্যাডভোকেট আব্দুুল হামিদ বলেন, সংসদে কোন মন্ত্রীর ৩০০ ধারায় প্রদত্ত বিবৃতি নিয়ে কোন বক্তব্যে রাখার সুযোগ নেই। প্রতিবাদে এক পর্যায়ে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে বিরোধী দল।
৩০০ ধারায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনী জিয়া-মোশতাকের ছত্রছায়ায় এদেশে রাজনীতির অধিকার ফিরে পাওয়া জামায়াতে ইসলামী দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য একাত্তরে যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ফেলে রেখেছিল, বিডিআর পিলখানায় যেমন সামরিক বাহিনীর চৌকষ অফিসারদের হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়েছিল- ঠিক সেই একই কায়দায় জামায়াত-শিবির গোষ্ঠী মেধাবী ছাত্র ফারম্নককে নির্মমভাবে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে রাখা হয়।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের বর্বরতা একাত্তরের নৃশংস হত্যাকা-ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরম্ন করতে যাচ্ছে, সে সময় এ প্রক্রিয়াকে নস্যাত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
বিবৃতি দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, '৮০-এর দশকে জামায়াত-শিবির চক্র এ দেশে রগ কাটার রাজনীতি চালু করেছিল। আজ আবারও এই অপশক্তির রগ কাটার রাজনীতি চালু করেছে। কিন্তু এটা হতে দেয়া যায় না। শিৰাঙ্গনে নৈরাজ্য, হত্যাযজ্ঞ ও অস্থিতিশীল করতে কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না। এসব কর্মকা-ের সঙ্গে যেই জড়িত থাকবে, তাদের কঠোরহসত্মে দমন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

No comments

Powered by Blogger.