মশিউর সস্পর্কে বিকালে জানাবে ইআরডিঃ অর্থমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের অবস্থান সম্পর্কে আজ বিকালে বিবৃতি দিবে বলে জানিয়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। রোববার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার কমিটির বেঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস  প্রেসিডেন্ট চলতি মাসেই বাংলাদেশে আসবেন। পদ্মা  সেতু প্রকল্পের যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো তিনি আসার আগেই শেষ করা হবে। 
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যে সমঝোতার হয়েছে তার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থ বিষয়ক উপদেস্টা ড. মসিউরের বিষয় আজ বিকালে আনুষ্টানিকভাবে  ই আর ডি থেকে জানানো হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে  খন্দকার,  প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্কান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসাময়িক বিমান পরিবহন ও পযটন মন্ত্রী  মুহাম্মদ ফারুক খান ও বিনিযোগ বোর্ডের নিবাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিলের পর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় তাদের সিদ্ধামত্ম পরিবর্তন করে।।


অন্য কয়েকটি শর্তের সঙ্গে এ প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি অ্যাডভাইজর মসিউরকে ছুটিতে পাঠানোর কথাও বলেছিল বিশ্ব ব্যাংক।


গত ১৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, মসিউর রহমান ছুটিতে গেলে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নের পথ সুগম হবে।


১৭ সেপ্টেম্বর মসিউর ছুটিতে যাওয়ার পরই বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা প্রকল্পে ফিরে আসার কথা জানায়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা প্রকল্পে ফেরার ঘোষণা দিলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতুসহ অর্থ সংক্রামত্ম সরকারি সব ধরনের কর্মকান্ড থেকে মসিউরকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এর এক মাসের মাথায় ১ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়ে মসিউর জানান, এক মাসের ছুটি শেষে কাজে ফিরেছেন তিনি।

শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমি ছুটি শেষে কাজ যোগ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে যে সিদ্ধান্ত নিতে বলবেন  সেই মোতাবেক কাজ করব।’’

তবে মসিউরের এক মাস ছুটিতে থাকা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই স্পষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি। তাকে এক মাসের ছুটিতে পাঠানো হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে যে কথা বলা হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকে তাও স্বীকার করা হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.