কোথায় চলেছি আমরা...by গোলাম কুদ্দুছ

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান সম্প্রতি ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রস্তাব করেছেন, প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হোক। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একদিকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং একই সঙ্গে যুক্তিহীনতার আশ্রয় নিয়েছেন।


কোন সিদ্ধান্ত যখন সর্বসম্মতভাবে কিংবা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে না নিয়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় তখনই তা অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং অগ্রহণযোগ্য হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা, পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান, সর্বোচ্চ আদালতের রায়, জাতীয় সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্ত, বিরোধীদলের নির্বাচন বর্জনের হুমকি- এসব নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি। এমনি অবস্থায় রাজনীতি এবং দেশ শাসনে লটারির প্রস্তাব সর্বত্র কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। এ প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয় যে, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভাগ্য কি নিয়ম-নীতি, যুক্তি পরিহার করে শেষ পর্যন্ত লটারির দিকেই ধাবিত হবে? তবে জ্ঞান-বিজ্ঞান আর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের স্থান কোথায়? ড. আকবর আলি খানের মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাবের অবতারণা করেন তখন বুঝতে হবে এর পক্ষে কোন যুক্তি নেইÑ আইনগত ভিত্তি নেই।
মানুষের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের মতের প্রতিফলন ঘটবে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একটি কুচক্রীমহল বেআইনীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। শুধু ক্ষমতা দখল করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য জাতীয় চার নেতাকেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে অর্থ, পেশী ও ক্ষমতার জোরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, হ্যাঁ-না ভোট, মিডিয়া ক্যু, ভোটারবিহীন নির্বাচন, কত না কা- এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আন্দোলন, সংগ্রাম এবং বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে আন্দোলনরত তিনটি জোটের রূপরেখা মোতাবেক তৎকালীন শাসক জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই সরকারের দায়িত্ব ছিল তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দু’টি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং সমালোচনা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলসমূহ, গণমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষ নির্বাচন দু’টিকে মেনে নেয়।
তবে ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ও বিতর্কের সূত্রপাত হয়। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি ১৩ জন গুরুত্বপূর্ণ সচিবকে বদলি করে দেন। এই সময় সদ্য-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসার বিদ্যুত, টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন, বেতার এবং টেলিভিশন সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান এবং সরকারের রুটিন কাজসমূহ সম্পাদন করার কথা থাকলেও বিচারপতি লতিফুর রহমানের সরকার সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তদন্ত অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শুধু শেখ হাসিনা নন, গণমাধ্যমেও বিভিন্ন তথ্য এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবার সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন নেমে এসেছিল তা কি দেশবাসীর স্মরণে নেই? তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি সে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়নি? বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা গ্রহণের পর হত্যা, সন্ত্রাস, নির্যাতনের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি, এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম, এ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে এ সময় হত্যা করা হয়। গুম, খুন, জঙ্গীবাদের উত্থান, একই সময়ে দেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা, বিভিন্ন আদালত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। চরম দলীয়করণ, ঘুষ-দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, পাবলিক টয়লেট এমনকি গোরস্থানের জায়গা দখলের ঘটনাও এ সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট উপলব্ধি করল যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের জেতার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে একটি সাজানো নীলনকশার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা একটি আজ্ঞাবহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন গঠনে নানা ফন্দিফিকির আঁটতে লাগল। দলের সাবেক নেতা বিচারপতি আব্দুল আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের নামে এক কোটি ভুয়া ভোটার নিবন্ধিত করা হয়। নিজেদের পছন্দের লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মনোনীত করার জন্য চাতুরির মাধ্যমে বিচারপতিদের বয়স দু’বছর বাড়িয়ে দেয়া হলো। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দেশবাসী উপলব্ধি করল একটি পাতানো লোকদেখানো নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তি, পেশাজীবী সংগঠন এবং শুভচিন্তার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপরাপর কমিশনারদের অপসারণ এবং প্রকৃত নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলনের মুখে বিএনপি-মনোনীত রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ বিএনপির পরামর্শে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বও গ্রহণ করেন। অপরাপর উপদেষ্টাদের মতামত অগ্রাহ্য করে ড. ইয়াজউদ্দিন নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অগ্রসর হন। দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং সর্বত্র হানাহানির পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকে। এমনি সময়ে নানা চাপের কারণে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে ড. ফখরুদ্দীন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ এবং দেশে জরুরী অবস্থা জারি করেন।
পরের ইতিহাস সকলেরই জানা। দুই জাতীয় নেতা শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা হয়। দুই দলের বহু কেন্দ্রীয় নেতাকে এ সময় গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়, সৎ-অসৎ এ বিবেচনা না রেখেই। সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা-সকল রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ করা হলেও কোন কোন মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় এ সময় নতুন নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হতে দেখা যায়। দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিদায় করার জন্য তথাকথিত ‘মাইনাস্ টু’-ফর্মুলা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ছাত্র-শিক্ষক, বড় বড় ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কারাদ- দেবার ঘটনাও ঘটে এ সময়। সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারী অনুমতি গ্রহণের বিধান চালু করা হয়। এ সময় পুলিশী বাধার মুখে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় শোভাযাত্রা, ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় পথ নাট্যোৎসব, ১ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মে দিবসের অনুষ্ঠান, রমনার বটমূলে পৌষমেলা পুলিশী বাধায় প- হয়ে যায়।
৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করে বিদায় নেবার কথা থাকলেও ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দু’বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে। পরবর্তীতে গণদাবির কারণে দু’নেত্রীকে কারামুক্তি প্রদান এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়। নাগরিক সমাজের যে সকল ব্যক্তি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন তারা কি সে সময় গণতন্ত্র বিরোধী, অমানবিক সব কর্মকা-ের বিরোধিতা করেছিলেন? তাঁরা কেন বলেননি অনির্বাচিত দায়বদ্ধহীন সরকার দু’বছর ক্ষমতায় থাকা অন্যায়-বেআইনী। মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাÑএ সকল দাবি কয়জন উচ্চারণ করেছিলেন সে দিন? মিনিকেট চালের দাম তখন প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, দ্রব্যমূল্য ছিল আকাশচুম্বীÑতখনকি এসবের প্রতিবাদ হয়েছিল? সে সময় কারা কারা সরকারী নিয়োগ পেয়েছিল, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সুবিধা নিয়েছিলÑ মানুষ কি তাদের চেনে না?
শুরু করেছিলাম শ্রদ্ধেয় ড. আকবর আলি খানের কথা দিয়ে- শেষও করতে চাই তাঁকে নিয়েই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক এবং জ্ঞানী মানুষÑ তাঁর প্রতিটি কথাই মূল্যবান এবং বিবেচনার দাবি রাখে বলেই এই নিবন্ধ রচনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে যে সব আলোচনা করা হলো সবই ড. আকবর আলি খানের জানা। তিনি এও জানেন, সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক ও বেআইনী ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে আদালত এ অভিমতও প্রদান করেছে যে, সংসদ চাইলে আগামী দু’মেয়াদের জন্য এ পদ্ধতি বহাল রাখা যেতে পারে। আদালতের রায়ের পর সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে বাদ দেয়ায় এখন সংসদের বাইরে কথা বলে কোন লাভ নেই। সমঝোতা করতে হলে সংসদের ভেতরেই করতে হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলেও সংসদেই মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সংসদের বাইরে লটারি বা অন্যকোন পদ্ধতি আমাদের সংবিধান অনুমোদন করে না।
যাইহোক, লটারি-ঝাড়ফুঁক কিংবা অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে যে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় না এ সত্য আজ প্রতিষ্ঠিত। আমরা চাই একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং এর জন্য সবচাইতে জরুরী স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় অর্থ, লোকবল এবং আইনী স্বাধীনতা দেয়া হলে সরকার পদ্ধতি নিয়ে শঙ্কিত হতে হবে না। আর গণতন্ত্রের জন্য চাই জবাবদিহিতা। যে সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই সে সরকার কখনও ভালও সরকার হবে এ চিন্তা অলীক ছাড়া কিছু নয়।

লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট

ঊ-সধরষ: ময়ঁফফঁংনফ@মসধরষ.পড়স

No comments

Powered by Blogger.