খালেদার কারামুক্তি দিবসের আলোচনায় ফখরুল- সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে

গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সরকার সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) যখন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরকার পরিবর্তনের কথা বলছি, তখন সরকার ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।’
রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার কথা উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এ সময় লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম ও ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারি দল হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় উপাচার্যের নির্লিপ্ততার তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক দল আয়োজিত এক আলোচনায় মির্জা ফখরুল আবারও দাবি করেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।
নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে বাধ্য করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ খালেদা জিয়াকে জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংযোজিত সংবিধানের ১২৩(৩) ধারার উল্লেখ করে বলেন, এক সংসদ কার্যকর রেখে আরেকটা সংসদ নির্বাচন করা পৃথিবীর কোথাও নেই।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.