মা-দাদির লাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে বেঁচে গেল শিশুটি

গাড়ির পেছনের সিটে পড়ে আছে মা ও দাদির গুলিবিদ্ধ নিথর শরীর। পাশেই বাবার লাশ। আর বড় বোনটি গাড়ির দরজার নিচে গুরুতর আহত। চার বছরের ছোট্ট মেয়েটি মা-দাদির শরীরের নিচে লুকিয়ে ছিল। পুলিশ প্রথমে বড় বোনকে উদ্ধার করলেও তার সন্ধান পায়নি।


ঘটনার আট ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যায় সে। ফ্রান্সের আল্পসের পর্যটন এলাকা লেক অ্যানসির কাছে গত বুধবার ঘটে এ ঘটনা। সন্ত্রাসীরা পুরো পরিবারের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।
ফ্রান্সের পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ গাড়িটি দেখার পর প্রথমে তারা ওই এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। গাড়ির পাশ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আট বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনো চার বছরের শিশুটির কোনো সাড়া তারা পায়নি। সে গাড়ির পেছনের সিটে পড়ে থাকা মা ও দাদির শরীরের নিচে গুটিসুটি মেরে ছিল। বুধবার মধ্যরাতের পর গাড়ি থেকে তিনজনের লাশ বের করার সময় অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ওই এলাকা থেকে আরো এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা।
হামলার শিকার হওয়া পরিবারটি ব্রিটিশ বলে জানিয়েছে পুলিশ। সরকারি কৌঁসুলি এরিক মেইলো জানিয়েছেন, ব্রিটিশ পরিবারটি সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে সেখানে গিয়েছিল। শিশুটি আট ঘণ্টা ধরে একই অবস্থায় ছিল। কোনো প্রকার নড়াচড়াও করেনি। তিনি বলেন, ছোট্ট মেয়েটি ইংরেজিতে কথা বলে। সে গুলি ও শোরগোলের শব্দ শুনেছে। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারেনি।
কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত উদ্ধার করা চতুর্থ জন স্থানীয়। তিনি বাইসাইকেলে ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আক্রান্ত পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান এবং সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.