আজ থেকে হুমায়ূনের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’

সদ্যপ্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র 'ঘেটুপুত্র কমলা' মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। প্রথমে চলচ্চিত্রটি ঢাকার বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড ও স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী মুক্তি পাবে। ছবিটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।

চলচ্চিত্রটির শুভমুক্তি উপলক্ষে গত ৫ সেপ্টেম্বর বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে এক প্রিমিয়ার শো'র আয়োজন করা হয়েছিল। এতে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গ।
এ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, মাসুদ আখন্দ, তমালিকা কর্মকার, শামিমা নাজমিন, প্রাণ রায়, বাউলশিল্পী কুদ্দুস বয়াতী ও তার দল, অনি, প্রাপ্তি, আইনুন নাহার পুতুল, আব্দুল্লাহ রানা, রফিকুল ইসলাম, এহসান প্রমুখ। 'ঘেটুপুত্র কমলা'র কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা শিশুশিল্পী মামুন।

গল্পে দেখা যাবে, প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সংগীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচগান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, যেখানে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এ সংগীত ধারায় নারীবেশী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত হতে শুরু করেন। একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিনদার মানুষ জলবন্দী সময়টায় কিছুদিনের জন্য হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন এ বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শৌখিনদার মানুষের স্ত্রীরা ঘেটুপুত্রকে দেখতেন সতীন হিসেবে।

ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান খান। সম্পাদক ছলিম উল্লাহ ছলি। আবহসংগীত ইমন সাহা। সংগীত পরিচালক মাকসুদ জামিল মিন্টু ও এস আই টুটুল। কণ্ঠশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, শফি মণ্ডল ও প্রান্তি। কোরিওগ্রাফি মেহের আফরোজ শাওন। শিল্প নির্দেশক মাসুম রহমান। রূপসজ্জা খলিলুর রহমান। পোশাক পরিকল্পনা এস এম মাঈনুদ্দিন ফুয়াদ। শব্দগ্রহণ ও পূর্ণ শব্দ সংযোজন ধ্বনি চিত্র লিমিটেড।

No comments

Powered by Blogger.